প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন ছাত্রলীগের মধ্যে শিবির ছাত্রদল ঢুকে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা ছাত্রলীগের মধ্যে ঢুকে পড়েছে তাদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ ব্যবস্থা নেয়া হবে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি তিনি। ব্যবস্থা নেয়ার কথা তিনি ইতিপূর্বে বহুবার বলেছেন। কিন্তু তার কথার বাস্তবায়ন আমরা দেখিনি।
অন্যদিকে যেহেতু তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কোন ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়ার কথা। তিনি নির্দেশ না দিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আর ছাত্রলীগ সংঘর্ষ করছে একথা স্পষ্ট করে না বলে আর অণ্যের গাঢ়ে দোষ চাপিয়ে তিনি তাদেরকে সংঘর্ষ করার জন্য আশকারা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সংঘর্ষ করার জন্য ছাত্রলীগকে অলিথিত সার্টিফিকেট দিয়ে যাচ্ছেন। আমার ভায়েরা (সবাই জাতির পিতার সন্তান) তোমরা যা ইচ্ছা করতে পার। আমি পরে বলে দেব-" আরে তোমরা তো কিছুই করছ না। এসব ছাত্রদল আর ছাত্রশিবিরের কাজ।"
আবার আমরা এক সময় দেখেছি তিনি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে একটি সুন্দর নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। পরে আবার কখন কিভাবে ফিরে এসেছেন তার তাতো দেশের মানুষ জানে না। না হলে তিনি এবং তার সংগঠনের নেতারা ছাত্রলীগের পক্ষে এতো গলাবাজি করবেন কেন?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা আপা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফূল ইসলামও একই ধরনের কথা ইতিপুর্বে বলেছেন। তারা এদের লিস্ট করার কথাও মাঝে মাঝে বলে থাকেন। আর ছাত্রলীগের নেতারা এসব নিয়ে বিপাকে থাকেন। একে অপরকে সন্দেহ করেন- কে আসলে তাদের মধ্যে ছদ্দবেশ ধরে বসবাস করছে? আবার এক নেতা আরেক নেতাকে পিটিয়ে বলেন, "আমরা শিবির পিটিয়েছি" । তারা সার্বক্ষণিক বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে ভোগেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের অনেক সশস্ত্র সংঘর্ষ দেখেছি। সংঘর্ষের পর নেতারা বলার চেষ্টা করেন-আসলে মারামারিটা ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে হয়নি। হয়েছে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে। আর এধরনের সন্দেহ করার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফূল ইসলাম। তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে বলেছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্তদের চারজন শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে বলেননি আসলে তারা কারা? এ বিষয়টি বিগত আটমাস ধরে অমিমাংসিতই থেকে গিয়েছে।
আবার প্রগলভ আওয়ামী নেতা আশরাফুল ইসলামকে ভিন্ন একটি কথাও বলেতে শুনেছি যে- "ছাত্রলীগের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই।" অন্যদিকে আওয়ামী লীগের তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদককে ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের সব নেতা ছাক্রলীগ আয়োজিত বিভিন্ন প্রোগ্রামে গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে ধন্য করে থাকেন। তাদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য শোনে মনে হয় দেশের সব মানুষ পাগল হয়ে গেছে বুঝি। অথবা তারা এখন জ্ঞানবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে বুঝি। আমি বুঝছি না আসলে কোন বক্তব্য সঠিক ধরে নেবো। পাঠকদের কেউ সঠিক বক্তব্যটা জানা থাকলে আমাকে জানাবেন প্লিজ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




