ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পরিবারকে দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি পরিবহন শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয় ঢাবি ছাত্র রেজোয়ান। তার পরিবারকে দেওয়া হয় ২ লক্ষ টাকা।
আবু বকর হত্যায় গঠিত তদন্ত কমিটি দায়সারা গোছের একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে দেয়। তাতে আবু বকর কিভাবে মারা গেলো তা ষ্পষ্টভাবে বলা হয়নি। বলা হয়েছে এর জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এক বছর পার হয়েছে কিন্তু উচ্চতর সেই তদন্ত আজও হয়নি। ফলে আবু বকরের মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী, পুলিশ নাকি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা, তা আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। আবু বকর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারাও জামিনে বেরিয়ে গেছেন। এরফলে বুঝা গেলো বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আবু বকরের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে।
রেজোয়ান হত্যার তদন্তেও যে এরকমের একটি বিষয় ঘটবে তা সহজে অনুমেয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষতো ইতোমধ্যে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে!!
ঢাবি ছাত্রদের জীবনের মূল্য ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, আর এটা ঢাবি কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত মূল্য।
এবার প্রশ্ন হলো সংঘর্ষে অথবা হামলায় যদি ঢাবির প্রক্টর মারা যান(আল্লাহ না করুন) তাহলে কত টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ???
ব্লগের বন্ধুরা আপনারা ইচ্ছা করলে দামাদামি বা বিডিং করতে পারেন।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




