
"আপোষহীন জননেত্রী" শব্দটা এখন বেশ শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ করেই তাকে মহৎ বানানোর চেষ্টা কেন? যেখানে তিনি পর পর তিন বার দূর্নীতিতে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন, ২০০১~০৬ জঙ্গি তৎপরতা, ২০১১~১৩ জঙ্গি-রাজাকারের পক্ষ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিলেন? শেখ হাসিনার স্বৈরাচারে পরিণত হওয়ার পেছনে খালেদা জিয়ার অবদান কম নয়। জঙ্গি-রাজাকারদের নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে হাসিনা ধীরে ধীরে সব ক্ষমতা সব নিজের হাতে টেনেছেন। আমার ধারণা, হাসিনা পলায়নের পর দেশে সুশীল সম্প্রদায়ের চিন্তাধারার মতো নেতা-নেত্রী নেই বলেই ধর্মগাধায় ভরা দেশে, এই সম্প্রদায়ের মানুষরা হঠাৎ করেই বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে দেশকে তালিবান-শরিয়তি শাসন থেকে তিনি ছাড়া আর কেউ রক্ষা করতে পারবেন না।
অন্যদিকে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া ব্যাক্তি ক্ষমতায় আসাতে এই সুশীল সম্প্রদায় ভেবেছিলো বাংলাদেশ খুব তাড়াতাড়ি সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে, উনাকে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেড় বছর তো শেষই, হয়তো বা তাদের মনের বাসনা পূর্ন হবে - কে জানে? অন্যদিকে নোবেল লরিয়েট হঠাৎ করেই রাজাকার-জঙ্গি দিয়ে দেশ চালানোর ইক্যুয়েশনটা - তারা মিলাতে পারছে না। যেসব সুশীলরা আগে হাসিনার ভালো-মন্দ সব কিছুরই বিচার করতো আজকে হঠাৎই কারন না থাকলেও সব "দোষ হাসিনা" র নাম নিয়ে আসবে, যেখানে বিগত দেড় বছরে দেশে লীগের কোন ছায়া নাই।
সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো, যে দলের জন্মই হয়েছে রাজাকারদের পুনর্বাসনের রাজনীতি থেকে, হাওয়া ভবনের ক্ষমতা, লুটপাট আর জঙ্গিবাদের রাজনীতি গড়ে তুলে - সেই ইতিহাস মুছে দিয়ে এখন "আপোষহীন জননেত্রী" ব্র্যান্ড বানানোর চেষ্টা চলছে। এই সুশীল সমাজ ভান করছে এসব কখন কোনদিন কিছুই হয়নি। হাসিনা পলয়ানের পর "আপোষহীন জননেত্রী"-র পাপ-পূন্য সব একদিনে রিসেট হয়ে গেছে। চিন্তাশক্তি, নৈতিকতাও এমন তলানিতে ঠেকেছে যে, এখন তারা স্বপ্ন দেখছে জঙ্গি-রাজাকারদের হাত ধরেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র বাঁচাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


