somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেইন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা গুলো

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যটি কোথায় দেখেছেন? আমি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের এক খণ্ড দ্বীপ, যার নাম সেন্ট  মার্টিন, এর নামটা বলতে আর এক মুহূর্ত ভাববো না। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং এটি মূলভূখন্ডের সর্ব দক্ষিণে এবং কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যার আকার মাত্র  ১৭ বর্গ কিলোমিটার। স্থানীয় ভাষায় সেন্টমার্টিনকে নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকা হয়। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত এ দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। নীল আকাশের সাথে সমুদ্রের নীল জলের মিতালী, সারি সারি নারিকেল গাছ এ দ্বীপকে করেছে অনন্য। এই সুন্দর দ্বীপে যাওয়ার প্ল্যান অনেক আগে থেকেই ছিল। তবে, বিভিন্ন কারণে আমাদের আর  যাওয়া হয়ে উঠে নাই। তবে শেষমেশ এই বছরে বৌকে নিয়ে যাওয়া হলো।আজকে সেই সেইন্ট মার্টিন ট্রিপের গল্প বলতে এসেছি। সেখানে আমরা কিভাবে গিয়েছি, কীভাবে হোটেল বুক করেছি। ৩ দিনের ট্রিপ এ কই কি করা যায়, ভালো মন্দ , খরচাপাতি সহ আরও বেশি কিছু ইনফরমেশন নিয়ে আমাদের এই ব্লগ। আর দেরী না করে সামনে আগানো যাক।




কিভাবে যাব?

সেইন্ট মার্টিন এ যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে কক্সবজারের টেকনাফ। ঢাকা থেকে টেকনাফ যাওয়ার বেশ কিছু উপায় আছে। কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন ট্রেইনে এ করে কক্সবাজার নেমে সহজেই টেকনাফ যাওয়া যায়। ট্রেনের টিকেট অনলাইনে কেটে নিতে পারেন। তবে আমরা গিয়েছিলাম ঢাকা থেকে ডিরেক্ট বাস এ করে টেকনাফ। ঢাকার প্রায় সবকটি বাস স্ট্যান্ড থেকেই টেকনাফের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টার আগেই বাসগুলো  ছেড়ে যায়। এখানে বলে রাখা ভাল যে টেকনাফ এ আপনার লঞ্চ ছেড়ে দেয়ার আগেই বাস থেকে নেমে ফেরিঘাট পর্যন্ত যেতে হবে। এর জন্য সন্ধ্যা বা রাত ৮ টার আগের বাসে উঠে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সাধারণত বাসে করে যেতে প্রায় ১২ ঘণ্টার মত সময় লাগে। আর যাত্রাপথে ২ বার বিরতি পাওয়া যায়।




আমরা বাসের টিকেট কেটেছিলাম অনলাইনে (shohoz.com) থেকে। একেবারে পিক সিজন না হলে চাইলে অফলাইনেও কিনতে পারেন । AC স্লিপার বাসের ভাড়া ছিল ২৫০০ টাকা করে। স্লিপার কোচ এর দাম তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি। নরমাল এশি বা নন এসি বাসের ভাড়াও যে একেবারে কম তাও না।  AC (3 seat) , AC (4 Seat) ও  Non-AC বাস এর ভাড়া পর্যায়ক্রমে ১৬০০, ১২০০ ও ৮৫০ টাকা। আমাদের বাস ছেড়েছিল মতিঝিল থেকে আর  আমাদের নামতে হয়েছিল টেকনাফ ফেরিঘাটের কাছেই বাস স্ট্যান্ড এ। নেমেই ব্রেকফাস্ট করে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা বিজিবির একতা রেস্টুরেন্ট এ ব্রেকফাস্ট সেরে নেই।


সেইন্ট মার্টিন জেটি

এরপর হেঁটে বা লাগেজ বেশি হলে কুলীর সাহায্যে ফেরি ঘাটের দিকে যাবেন। ফেরিঘাট বা লঞ্চ টার্মিনালে বেশ কিছু সেইন্ট মার্টিন গামী জাহাজ বা লঞ্চ দেখতে পাবেন। সেইন্ট মার্টিন এর জাহাজ সকাল ৮  টা থেকে ১০ টার মধ্যে একে একে সব ছেড়ে যায়। এর টিকেট জাহাজে উঠার আগে করতে পারেন। তবে এই রিস্ক না নেয়াই ভাল। আমরা অনলাইনের মাধ্যমে আগে থেকেই কেটেছিলাম। অনেকগুলো ওয়েবসাইট থেকেই কাটা যায়। তবে টা আমার launchbd.com ওয়েবসাইট টি  ভালো লেগেছে। এদিক দিয়ে জাহাজের সময় আর সিট গুলো কেমন দেখতে হলে এই ওয়েবসাইটে যাবেন আর পছন্দ মত টিকেট করবেন। তবে আমার কাছে এই অল্প সময় এর জার্নি টা ছাদের উপড়ের সীট থেকেই করা বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়েছে।  এই নীল সমুদ্র আর তার মাঝ দিয়ে ছুটে চলছেন আপনি একঝাক গাংচিল এর সাথে। আমি যখন এই কথা গুলো বলছি, বার বার চলে যাচ্ছি সেই সুন্দর সময়গুলোতে। আমাদের সময় লেগেছিল প্রায় ৪ ঘণ্টা। সেইন্ট মার্টিন  ফেরিঘাটে আমাদের জাহাজ নামিয়ে দেয়।

বেড়ানো:
সেইন্ট মার্টিন এ থাকার প্ল্যান বিভিন্নভাবে করা যায়। অবে যারা দিনে গিয়ে দিনেই সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে আসবেন তারা পরবর্তীতে আফসোস করতে পারেন তাই সবচেয়ে ভালো হয় অন্তত একদিন সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা। এতে যেমন পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারবেন তেমনি এই আনন্দময় ভ্রমণ আপনাকে সবসময় মোহিত করবে। আমরা ২ রাত ৩ দিন থেকেছিলাম, একবার হোটেল পরিবর্তন করি।

কই থাকবেন? 

বর্তমানে সেইন্ট মার্টিন পুরোটা জুড়ে অসংখ্য হোটেল বা রিসোর্ট বানানো হয়েছে। তাই, অপশন যখন বেশি থাকে, পছন্দমত ঠিক করাটাও একটা ভাবনার ব্যাপার হয়ে যায়। একটা জিনিস মাথায় রাখা ভালো যে দ্বীপের উত্তর দিকে ফেরিঘাট ও বাজার, আর এদিকে দক্ষিণ দিকে ছেড়াদ্বিপ। গুগলব  ম্যাপ দেখে আমরা সহজেই পছন্দমত হোটেল বা রাতের থাকার যায়গা নির্ধারণ করতে পারেন। আবার একই কথা বলতে হচ্ছে। পিক টাইম হলে অনলাইনে হোটেল বুক করে আসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা প্রথম রাত থেকেছিলাম জোস্নালয় নামের এক রিসোর্ট এ, আর দ্বিতীয় রাত ছিলাম সিনবাদ এ। টিকেট কেটেছিলাম gozayan.com থেকে আর ফেসবুকের পেইজ থেকে নাম্বার নিয়ে। নিচে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হলো:

জোসনালয়

প্রথম দিন:

সেইন্ট মার্টিন এর একদম মাঝামাঝি একতা যায়গায় জোস্নালয় রিসোর্ট অবস্থিত। এটা ছিল দ্বীপের মাঝামাঝি যায়গা, যা একটু নিরিবিলি আবার পূর্ব বা পশ্চিম হেঁটে এপাশ থেকে ওপাশে আসা যায়।এর পাশে আরও বেশ কিছু রিসোর্ট আছে, যেমন দ্বীপান্তর,উদয়াস্ত ইকো রিসোর্ট, সূর্যস্নান রিসোর্ট ইত্যাদি। আমরা  প্রায় ১২:৩০ টায় আমরা জেটি ঘাত থেকে নেমে বাজারে হেঁটে চলে আসি। এই দ্বীপের যানবাহন বলতে ইজি বাইক আর কিছু রিক্সা, মটর সাইকেল আর ভ্যান। যেহেতু আমাদের সাথে লাগেজ ছিল, তাই ২৫০ টাকা দিয়ে ইজিবাইক ভাড়া করে রিসোর্ট এ চলে আসি।

রিসোর্ট এ এসে যেমন রুম আসা করেছিলাম তেমন টা পাই নি। আমরা যে রুম গুলো ওভার ফোনে ঠিক করেছিলাম, সেগুলো ছিল একদম রাস্তার পাশে, বিচ থেকে দূরে আর স্যাঁতসেঁতে। যাই হোক, এভাবে প্রথমেই ধরা খেয়ে যাব বুঝতে পারি নাই। শুধুমাত্র জোস্নালয় এর সামনের দিকের রুম গুলো ভাল, তবে অপেক্ষাকৃত অন্য রিসোর্টের তুলনায় অনেক বেশি দাম। আমরা ব্যাগ রেখে সকল দুঃখ ভুলে সমুদ্র দেখতে বের হই। এত সুন্দর নীল পানি আর মৃদু বাতাসে মন ভরে যাচ্ছিলো। এদিক দিয়ে পেটে বেশ ক্ষুধা পেয়ে যায়। দ্বীপান্তর নামের এক রেস্টুরেন্ট এ আমরা দুপুরের খাবার খাই। খাবার নিয়ে কিছু বলে রাখি, এই দ্বীপের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ জিনিস হল ডাব যা একাধারে মিষ্টি ও সুস্বাদু। সেন্টমার্টিনে গেলে অন্তত একটা ডাবের পানি পান করা উচিত। যারা মাছ খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সেন্টমার্টিন কোরাল, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদা ইত্যাদি নানান ধরনের ও স্বাদের বাহার নিয়ে অপেক্ষা করছে। আর যদি সুযোগ হয় তবে কুরা খেয়ে দেখতে পারেন। (দেশী মুরগিকে কুরা বলে ডাকা হয়)। এখানে আরও রয়েছে অফুরন্ত লইট্টা, ছুড়ি, রূপচাঁদা, কাচকি ইত্যাদি জানাঅজানা শুঁটকি মাছের ভান্ডার। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারীতে সেন্টমার্টিন গেলে স্থানীয় তরমুজ পাওয়া যাবে।এছাড়াও যেসব হোটেল ও রেস্তোরাঁতে গিয়ে খেতে পারেন তার কয়েকটি হল কেয়ারি মারজান রেস্তোরাঁ, বিচ পয়েন্ট, হোটেল আল্লার দান, বাজার বিচ, আসাম হোটেল, সি বিচ, সেন্টমার্টিন, কুমিল্লা রেস্তোরাঁ, রিয়েল রেস্তোরাঁ, হাজী সেলিম পার্ক, সেন্টমার্টিন টুরিস্ট পার্ক, হোটেল সাদেক, ইউরো বাংলা হোটেল, এশিয়া বাংলা হোটেল ইত্যাদি। মাছ বা সমুদ্রের অন্যান্য আইটেমগুলোই এখানকার মেইন মেনু এবং একটু দাম বেশীই বলা যায়। যেমন আমাদের প্রতিবেলায় জনপ্রতি খরচ হয়েছিল ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা।

দুপুরের খাবার পর আমাদের সমুদ্র দেখতে দেখতে কখন যে সন্ধ্যা নেমে আসে তা টেরই পাই নি। লাল গোধূলির আলোতে বসে বসে আমরা ভাবছিলাম যে সত্যিই প্রকৃতি কতই না সুন্দর। সৈকত এর পাড় থেকে আর উঠে যেতে একদম ইচ্ছেই  করছিল না। কিছুক্ষণ পর আমরা সৈকতের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে আসি বাজারে। সেখানে ইউরো বাংলা রেস্তোরায় বিশাল মাছের আসর বসেছিল।সেখান থেকে আমাদের পছন্দমত মাছ আর লবস্টার বারবিকিউ করতে দিয়ে টুকি টাকি শপিং করতে যাই।এভাবেই শেষ হয় আমাদের প্রথম দিন।

দ্বিতীয় দিন 

পরের দিন সকালে সূর্যদয় দেখার প্ল্যান ছিল আমাদের। এরজন্য আমরা পূর্ব বীচে যাই। সকাল বেলাম মনোরম প্রকৃতি আর শান্ত সমুদ্র দেখতে আমাদের বেশ ভাল লাগছিল। এখানে আমরা সাইকেল ভাড়া করে নেই। ঘণ্টা প্রতি সাইকেল ভাড়া মাত্র ২০০ টাকা। যেহেতু একটু দেরী করে ফেলেছিলাম, তাই আমরা ছেড়া দ্বীপ যাওয়া ক্যান্সেল করে দেই।

রিসোর্টের কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট খেয়ে আমরা চেক আউটের জন্য গুছিয়ে নেই। ব্রেকফাস্টের মেন্যু ছিল খিচুরি আর ডিম ভাজি। সব রিসোর্ট গুলতেই প্রায় একি মেন্যু। এবার আমাদের পরের দিনের রিসোর্ট হলো সিনবাদ হোটেল এন্ড রিসোর্ট। যা কিনা দ্বীপের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। এবার আমরা বাইক ভাড়া করে নেই। বাইকে করে সেইন্ট মার্টিন ঘুরে বেড়ানোও অনেক এডভেঞ্চারাস ছিল।

সিনবাদ একপেরিয়েঞ্চ এন্ড বিয়ন্ড এর রুম গুলো বেশ সুন্দর। আমরা একটা কাঁপল কটেজ রুম নিয়েছিলাম। যার ভাড়া ছিল ৪০০০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ফ্যামিলি বা একটু কম বাজেটের মধ্যেও রুমের ব্যবস্থা আছে। চাইলে তাবুতেও থাকতে পারবেন।

আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিকেল করে বের হয়ে যাই ছেড়া দ্বীপ দেখতে। মজার ব্যপার হল, ছেড়া দ্বীপ এখান থেকে কাছে হওয়ায় আমরা হেঁটেই রউনা হয়ে যাই। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে ছেড়াদ্বীপ জোয়ারের সময় প্রায় ডুবে যায়। তাই জোয়ার ভাটার সময় না দেখে গেলে বিপদে পড়ে যেতে পারেন। আমরা বাংলাদেশের একদম দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পাই। যদি একটু আগে বেড় হলে ভাল হতো। আমাদের মুল দ্বীপ থেকে হেঁটে যেতে সময় লেগেছিল ৪৫ মিনিটের মত।


ছেড়াদ্বীপের পথে

তৃতীয় এবং শেষ দিন

আমাদের আজকের দিনটি শুরু হয় ভোর বেলা সূর্য উঠার আগেই। আমরা হেঁটে চলে যাই দ্বীপের পূর্বদিকে একটি নতুন সূর্যকে দেখার জন্য। প্রবালগুলোর মাঝ দিয়ে সূর্যদয় দেখতে বেশ ভাল লাগছিল আমাদের। আমরা ভাবছিলাম যে একটি নতুন দিনের সূচনা এর চেয়ে আর কত সুন্দর হতে পারে!


আমরা বেশ কিছু লোকাল মানুষদের সাথে কথা বলি। কিভাবে তারা সমুদ্রের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে। আমাদের জন্য যেটা একটুকরো ট্যরিস্ট স্পট সেঁতা তাদের জন্মের ঠিকানা। জুন জুলাই এ যখন সাগর ভয়ংকর রূপ নেয় তখনো তাদের এটাই ঠিকানা বা সেপ্টেম্বর এর সাইক্লোনেও তারা অটল । তারা এখানে আছে বলেই হয়ত আমরা এভাবে এই জীব বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে আসতে পেরেছি, দেখতে পারছি বা নিরাপদে থাকতে পারছি।

এরপর আমরা ব্রেকফাস্ট করতে আবার রিসোর্টে চলে আসি।

আমাদের সমুদ্র দেখা নেশায় পরিণত হয়ে যায়। আবার আমরা পশ্চিম দিকের বীচে চলে যাই। জোয়ার আসছিল বলে ঢেউ গুলো অনেক শক্তিশালী ছিল।

ফিরে আসা 

অবশেষে আমাদের ৩ দিনের ট্যুর প্রায় শেষের দিকে। আমরা ২ তা বাইক ভারা করে নেই। প্রথম বাইকে আমাদের লাগেজ আড় দ্বিতীয় বাইকের ড্রাইভার ভাই কে উঠিয়ে দেই। আর পরের বাইকে আমরা সাগর এর পাড় দিয়ে জোয়ার এর ঢেউ দেখতে দেখতে বাইকের করে দক্ষিণ দিকে বাজার বা জেটি তে চলে আসি। এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর বাইক রাইড।

আমাদের আগে থেকেই শিপের টিকেট কাটা ছিল। জেটিতে  সবগুলো শিপ সারি সারি দাঁড়ানো। আমরা আর দেরী না করে উঠে যাই। আমাদের শিপ ছেড়েছিল দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে। কিছুটা মিশ্র অনুভূতি নিয়ে আমাদের ফিরে আস্তে হয় আবার এই দেশে। ৩ টা দিন মনে হলো যে চোখের পলকেই কেটে গেলো।

আমাদের যেভাবে গাংচিল সাথে করে নিয়ে গিয়েছলো, সেভাবেই তারাই আবার আমাদের যাত্রা সঙ্গী হলো। এরা খুব সুন্দর করে উড়ে উড়ে বিস্কুট খাচ্ছিল। এরাই স্বাধীন, এরাই মুক্ত বিহঙ্গে ডানা মেলে কোন বাধা ছাড়ায় কত না যায়গায় ভ্রমণ করে বেড়ায়।

অবশেষে আমরা সন্ধ্যায় ৬ টায় ফেরি থেকে নেমে বাস টার্মিনালে যাই এবং ঢাকার দিকে ফিরে আসি।

কষ্ট করে পুরোটা পরার জন্য ধন্যবাদ। যেকোন প্রকার জিজ্ঞাসা বা পোস্ট সম্পর্কে সাজেশন থাকলে কমেন্ট এ জানাবেন। আর ভিডিও দেখতে হলে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন
[yt|https://youtu.be/cB4MiQts0GA?si=Hjl_8_E0fZxIEUnq
ব্লগ থেকে ভিডিওটি দেখা না গেলে লিঙ্ক এ ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন
SAINT MARTIN FULL VLOG II সেইন্ট মার্টিন ভ্রমণ ২০২৩


আবার আসবো নতুন কোন ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে।

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১০
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাইনারি চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি: পূর্ণাঙ্গ তুলনার ধারণা এবং এর গুরুত্ব

লিখেছেন মি. বিকেল, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩০



সাধারণত নির্দিষ্ট কোন বস্তু যা শুধুমাত্র পৃথিবীতে একটি বিদ্যমান তার তুলনা কারো সাথে করা যায় না। সেটিকে তুলনা করে বলা যায় না যে, এটা খারাপ বা ভালো। তুলনা তখন আসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×