দিন শুরু হ্য় ২টা সিগারেট আর এক মগ ব্ল্যাক কফি দিয়ে। নীল চোখ খুব পছন্দ তাই প্রতিদিন সকালে ব্লু কনট্যাক্ট পড়ে অফিসে যাওয়া হয় তার। অফিসে মোটামুটি সবার সাথে ভালই ভাব তার। গ্র্যাজু্য়েশন শেষ না করেই জব শুরু করার ফলে খুব একটা প্রমোশন ও হয় না তাই নিজের উপর যথেষ্ট বিরক্ত সে..তবুও অফিসে সবার সাথে কোনো প্রবলেম হওয়া ছাড়াই ৮ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়াতে ও খুব খুশি, আর কাজের চাপ তেমন থাকে না। তারপর বাসায় আসার কথা ভাবতেই ওর রাগ উঠে, কান্না পায় খুব। বাসায় এখন মা আর বাবা আছে, তবে বেশি দিন নাই। থাকে ও বাবার বাসায়, আর বাবা রিটায়ার্ড করায় এখন তাকে নিজের ঠিকানা খুজতে হবে। আর ওর যা বেতন তাতে একা চলা খুব কঠিন এখানে.... তাই মা সারাদিন তার বিয়ে নিয়ে কান্না করে। ও বিরক্ত হয়ে মা কে বকা দিলে মা কান্না জুরে দেয়..... উফ কি জালা বেচারির

.... । তখন মা বলে - কি হবে তোর এত কষ্ট করে এখানে থেকে? তার চেয়ে চল আমরা সবাই দেশের মানুষ দেশে যাইগা

.... । কি বলে ও মাকে বুঝাবে যে ও আর আগের মতো নাই.... কিভাবে ও সারাদিন ঘরে বসে থাকবে

??আর বাবার যা অবস্থা , তাতে ওকে পড়াইতেও পারবে না বাবা। ওকে পড়াইলে কিভাবে ব্যাংকের লোন দিবে আব্বু??? মা যে বুঝে না ঠিক তাও না কিন্তু নিজের মেয়েটাকে কিভাবে সে এই মাঝ সাগরে রেখে চলে যায় সে

? বিদেশে মানুষ বলে খুব ভাল থাকে

...... কই ও তো ভাল নাই??? আর যত মানুষ দেখলো সে, তাদের ও প্রায় একই দশা

।
বাসায় যেয়ে কানে হেডফোন দিয়ে মোবাইলে চ্যাট করে। মাথা ঠিক মতো কাজ করে না , কি করবে আর সে? রুমমেট খুজতেছে এখন, পাইলে থাকার খরচটা একটু কমবে.... আর ৩টা মাস শুধু বাকি, তারপর ও একা। কখনো থাকেনি ও আপন কেউ ছাড়া, অনেকেই বলে একা থাকা খুব মজার.... কিন্তু ও জানে একা থাকা খুব কষ্টের... কিভাবে বুঝাবে ও যে ওর মনে কত ভয়.... কাকেই বা বলবে যে ওর কান্না পায়

?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০