somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মায়ের ভালবাসা
"মাঝে মাঝে শীতকেও অনুভব করতে হয়, না হলে শীতের পরের উষ্ণতা যে কতটা আরামদায়ক সেটা বোঝা যায় না।।" "দৃশ্যের বাইরেও এমন কিছু অদৃশ্য শক্তি থাকে যার জন্য একজন মানুষও অপরিচিত থেকে অতি আপন হতে পারে, হতে পারে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।।"

“হাবুদের প্রথম দেখা”

২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নিরবও নিভৃতে শ্রান্ত দিন শেষে ক্লান্ত হাবু এখনও মধ্যরাতে অস্থির হয়ে নিজের উপাধানকে চোখের জ্বলে ভাসিয়ে দেয় । ভাসাবেইনা বা কেন – মিতালী নামটি যে ওর হৃদয়ও মন্দিরের স্থান সংকটে থাকা ছোট্ট ডায়রীর একমাএ পাতায় গেথে আছে । হাজারও স্মৃতির গভীরে ডুবে থাকা হাহাকার করা ভেতরে হাবুর যখন মিতালীকে মনে পড়ে নিজের অজান্তেই এখনও প্রথম দেখার সেই দৃশ্যগুলো বর্ণনা করতে থাকে ।

কোন এক ঈদের আগে ফুটন্ত প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করার জন্য মিতালীর মোবাইল থেকে আসা কলের বাজনা বেজে ওঠে হাবুর মোবাইল –এ ।
মিতালীঃ নিজের অজান্তেই তোমার আস্যের ছবি আমি আমার হৃদয়ে এঁকেছি , সেটাকে বাস্তবে মিলিয়ে দেখতে চাই ।
হাবুঃ তো চলে এসো-না……তাহলেই তো মিলিয়ে নিতে পারবে ।
মিতালীঃ তাহলে আসছি ………।
হাবুঃ আচ্ছা ঈদের আগে আসছো…তো……
মিতালীঃ তো কি??
হাবুঃ ঈদ মোবারক করবা তো তুমি আমার সাথে …????
মিতালীঃ দেখা যাক, আসি তো আগে …
হাবুঃ অপেক্ষায় রইলাম তোমার………

দৃশ্যের বাইরের এমনই অদৃশ্য শক্তি সম্পন্ন ওই ভালবাসা, কে জানে ওটার গভীরতা কতটুকু । হাজারও প্রতিবন্ধকতা, দূরত্ব পাড়ি দিয়ে মিতালী একদিন হাজির হয়ে যায় হাবুর শহরে । হাবু তখনও নিজেকে নিয়ে
ব্যস্ত ।
মিতালীঃ কোথায় তুমি...??
হাবুঃ রুম – এ
মিতালীঃ আমি চলে এসেছি ...
হাবুঃ কোথায়??
মিতালীঃ তোমার কাছে ।

একদিকে আনন্দের সাগরে ডুবে থাকা হাবুর কাছে অন্যদিকে যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে । খুবই দ্রুত তৈরী হয়ে চলে গেল মিতালীর কাছে ।
হাবু অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে মিতালীর দিকে । পৃথিবীর সব সৌন্দার্য যেন ভর করেছে মিতালীর উপর ।
হাবুঃ তুমি ছবি থকেও অনেক সুন্দর ।
মিতালীঃ তোমার যে ছবি আমি আমার হৃদয়ে একেছি তার থকেও তুমি অন্যরকম । তোমার দুইটা জিনিস আমার কল্পনার একেবারে বাইরে চলে গেছে...
হাবুঃ কোন দুইটা জিনিস...??
মিতালীঃ তোমার লুকিংটাতে এতটা আবেগ জড়িয়ে আছে যে বলে শেষ করা যাবে না । আর তোমার ঠোঁট দুইটা এততাই আবেগী যে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না ।

গড়াই নদী তিরের বালুচরে হাবুর একে দেওয়া ভালবাসার ছোট্ট ঘর বন্ধ থেকে খোলা চোখে অবাক বিস্ময়ে দেখছিল মিতালী ।

সারাদিনের ঘণ্টার পর ঘন্টা যেন মিনিটের মত কেটে গেল ওদের । চারিদিকে নেমে এল আলোহীন ছায়া ।
মিতালী যাবে না সেদিন, থেকে যাবে হাবুর শহরে । যেই শহরের বাতাসে ছড়িয়ে আছে হাবুর শরীরের গন্ধ, মিতালী যেন ওই বাতাসে সানন্দে এতদিন পরে স্বস্থির নিঃশ্বাস নিচ্ছিল । ভালবাসার বিন্দুমাত্র আনন্দ উপভোগ না করা হাবুর কাছে আশেপাশের সবকিছু যেন নতুন সজ্জায় সাজানো মনে হচ্ছিল । আকাশের চাঁদ তাঁরা যেন তাদের অপরূপ নতুনভাবে ছড়ানো শুরু করেছিল । তারপরও আধারের আগমনীতে নতুন চিন্তা চেপে বসল হাবুর মাথায় । ডেকে পাঠাল কাছের বন্ধু সাম্যকে । সাম্য আসার আগ মুহূর্তে হাবু মিতালীকে বলল অচেনা এই শহরে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে তারা ভাই-বোন বলে একে-অপরকে পরিচয় দিবে ।
সাম্যঃ কি হয়েছে হাবু ...??
হাবু সবকিছু খুলে বলল সাম্যকে ......
সাম্যঃ তাহলে হোটেল দেখি চল......
হাবুঃ চল.........

শহরের এক কোনে কোন এক নির্জন জায়গায় সিট ফাঁকা হোটেলের সন্ধান মিলিল । হাবুর ইচ্ছা ছিল হোটেলে মিতালী একা থাকবে । হঠাৎই.........
মিতালীঃ এত বড় একটা রাত, আমি তোমার শহরে, তোমায় ছাড়া থাকতে পারব না ।
এরকমই হাজারো ভালবাসায় ভরা অভিমানী কথা হচ্ছিল ওদের মাঝে । হঠাৎ-ই হটেল মালিক ওদের সম্পর্কের কথা জানতে চায়...
সাম্যঃ অ্যাংকেল ওরা স্বামী-স্ত্রী
পরিশ্রান্ত দিন শেষে খুঁজে পাওয়া রাত্রি যাপনের জায়গাটুকুও চলে যায় । অন্য কোনভাবে একই শহরে কিন্তু দুই প্রান্তে কেটে যায় ওদের রাত ।
প্রথম দেখায় হাজারো স্মৃতির জন্ম দিয়েছিল হাবু । সপ্ন দেখেছিল জীবন বাঁধারও ।

প্রথম দেখার সেই স্মৃতিকে বুকে নিয়ে এখনও পথপানে চেয়ে থাকে হাবু, এখনও আশায় বুক বেধে আছে হয়ত কোন একদিন নতুন, অচেনা কোন নাম্বার থেকে আশা কলে হাবুর মোবাইলটা বেঁজে উঠবে, আর ওপাশ থেকে ভেসে আসবে মিতালীর সেই চিরচেনা, আবেগী, ভালবাসাময়, মধুর কণ্ঠস্বর কারন সেদিনের সেই সবকিছু আজ শুধুই স্মৃতি ।
(হাবু, মিতালী, সাম্য সবগুলোই কল্পিত নাম)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×