ইমাম মালেক,আবু দাউদ,তিরমিযী ও ইমাম আহমদ(রহ

মুসলিম ইবনে ইয়াসারের বরাতে উদ্ধৃত করেছেন যে,কিছু লোক হযরত ফারুকে আযম(রা

এর নিকট সুরা আরাফের ১৭২নং আয়াতটির মর্ম সমন্ধে জানতে চাইলে তিনি বালেন-রাসুল(স

এর কাছে আমি যা শুনেছি তা হলো-
আল্লাহসুবহানাতাআলা সর্বপ্রথম আদম(আ

কে সৃষ্টি করেন।তারপর নিজের কুদরতের হাত যখন তার পিঠে বুলিয়ে দিলেন,তখন তার ঔরসে যত সৎমানুষ জন্মাবার ছিল তারা সব বেরিয়ে এল।তখন তিনি বললেন:আমি এদেরকে সৃষ্টি করেছি জান্নাতের জন্য এবং এরা জান্নাতে যাবার মতই কাজ করবে। পুনরায় দ্বিতীয়বার তার পিঠে কুদরতের হাত বুলালেন।তখন যত পাপী মানুষ তার ঔরসে জন্মাবার ছিল,তাদেরকে বের করা হলো এবং বলা হল,আমি এদেরকে সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য এবং এরা দোযখে যাবার মতই কাজ করবে। তখন সাহাবীদের একজন প্রশ্ন করলেন:ইয়া রাসুলুল্লাহ,প্রথমেই যখন জান্নাতী ও দোযখী সাব্যস্ত করে দেয়া হয়েছে তখন আর আমল করানো হয় কি উদ্দেশ্যে?তিনি এর বিপরীতে যা বললেন তা হলো,মানুষ জানে না যে,সে কোন শ্রেণীভুক্ত,তখন তার পক্ষে নিজের সামর্থ্য,শক্তি ও ইচ্ছাকে এমন কাজেই ব্যয় করা উচিত যা জান্নাতবাসীদের কাজ,আর এমন আশাই পোষণ করা কর্তব্য যে,সেও তাদের অন্তভুর্ক্ত হবে। তিরমিযীতেও আবু হুরাইরা(রা

একই বিষয় আলোচিত হয়েছে তবে একথাও রয়েছে যে,এভাবে কিয়ামত পযর্ন্ত জন্মাবার মত যত আদমসন্তান বেরিয়ে এল,তাদের সবার ললাটে একটা বিশেষ ধরণের দীপ্তি ছিল! হযরত সাওবান(রা)বলেন,রাসুল(স

বলেছেন-দোয়া ছাড়া অন্য কিছুই তকদিরকে ফিরাতে পারে না।পুণ্য ছাড়া অন্য কিছুই আয়ুকে বাড়াতে পারে না,আর কৃত পাপই মানুষের জীবিকার পথ রুদ্ব করে।(ইবনে মাজাহ) সুরা হজ্জের ৫নং আয়াতের তফসীরে বলা হয়েছে-রাসুল(স

বলেন-মানুষের বীর্ষ ৪০ দিন পযর্ন্ত গর্ভাশয়ে জমা থেকে ৪০ দিন পর তা জমাট রক্তে পরিণত হয়।এরপর আরও ৪০ দিন অতিবাহিত হলে তা মাংসপিন্ড হয়ে যায়।অতপর আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেস্তা প্রেরিত হয়।সে তাতে রুহ ফুকে দেয়।এ সময়েই তার সম্পর্কে ৪টি বিষয় লেখে দেয়া হয়:তার বয়স কত হবে,সে কি পরিমাণ রিযিক পাবে,সে কি কি কাজ করবে,পরিনামে সে ভাগ্যবান না হতভাগা হবে।(করতরী)
এবার আসা যাক, প্রতিটি আত্মার স্বীকারোক্তির কথায়।বলা হয়েছিল,আমি কি তোমাদের পালনকর্তা নই?সবাই সেদিন বলেছিল;হ্যা!কিন্ত প্রশ্ন হলো ,কেন বা তা আর মনে নেই!উদাহরণত:শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথে তার ডান কানে আযান আর বাম কানে নামাজের একামত বলার যে সুন্নতটি সব মুসলমানের মাঝে সারা মুসলিম বিশ্বে প্রচলন রয়েছে-যদিও শিশুরা এসব বাক্যের অর্থ কিছুই বুজে না ও বড় হওয়ার পর স্মরণও থাকে না যে,তার কানে কি বলা হয়েছিল? অথচ ঈমানের বীজ ঠিকই বুনা হয়েছিল।আসলে মানুষ হচ্ছে সেই প্রাণী যাকে বার বার স্মরণ করিয়ে দিতে হয়।যে কারণে যুগে যুগে নবী-রাসুলদের আসতে হয়েছিল। বার বার একজনের বাণীই প্রচার করতে হয়েছিল। পবিএ কোরআনে আল্লাহ-জাল্লা শানুহু বলেন-’’অর্থাৎ বিজ্ঞজনদের জন্য এ পৃথিবীতে আল্লাহর বহু নিদর্শন রয়েছে।আর স্বয়ং তোমাদের সত্তার মাঝেও(নিদর্শন রয়েছে),তবুও কি তোমরা দেখছ না?’’ সুতরাং তকদিরের উপড় পূর্ণ বিশ্বাস রাখতেই হবে।
চোখে পড়ল আরও একটি নতুন ফোরম।সময় পেলে ঘুরে আসুন:
http://www.esogori.forum5.com/
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০০৭ বিকাল ৫:৫২