স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের জরিমানা ৫০ হাজার টাকা
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
টাঙ্গাইল: দশম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম্য মাতবরদের সালিশ বৈঠকে ধর্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা ওই ছাত্রীকে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে।
আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর গ্রামে।
রোববার রাত সাড়ে ১০টায় রমেশের বাড়িতে সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এই সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে জুরি বোর্ড ছাড়াই ধর্ষকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে লম্পট ধর্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ সময় সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় মাতবর ফনি চন্দ্র সুত্রধর ও গৌর চন্দ্র সুত্রধরসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সহবতপুর গ্রামের ১৪ বছরের ওই ছাত্রীকে গত ১ মার্চ শুক্রবার সকালে স্কুলের পার্শ্বে ছাগল চড়াতে গেলে একই গ্রামের রমেশ চন্দ্র সূত্রধরের বখাটে ছেলে পরিমল চন্দ্র সূত্রধর (৩৫) মেয়েটিকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্কুলের পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে লম্পট ধর্ষক পরিমল পালিয়ে যায়।
এদিকে, এ ঘটনার ১০ দিন পরে এলাকার প্রভাবশালী মাতবররা ধর্ষককে মাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেই অভিযুক্তকে পার করে দেয়। তবে গরীব ওই ধর্ষিতা জরিমানার টাকা এখনো হাতে পায়নি বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে ধর্ষিতার পরিবার।
এ বিষয়ে মামলা করা হয়নি কেন জানতে চাইলে ধর্ষিতার বাবা বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমরা গরীব মানুষ। আর ওরা প্রভাবশালী। ওদের বিরুদ্ধে মামলা করে কিছুই হবে না।’’
এ কারণে স্থানীয়দের চাপের মুখে এ সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর