অদ্যকার পত্রিকায় দেখলাম গাঁজা খাওয়া কে কন্দ্রে করে দুই নামিদামি কলেজের ছাত্রদের মাঝে মারামারি ! কি সুন্দর বাহারী সংবাদ ! ছাত্রদের জন্য এর চেয়ে ভাল সংবাদ আর কি হতে পারে ! এতে সন্দেহ নেই , এটা এক ধরনের নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র ! কিছু অতি উশৃংখলদের কারবার । অতি উশৃংখলতা আগেও ছিল তবে এমন নয়। নিজেকে হিরো করার জন্য বা বন্ধু মহলে আলোচিত হওয়ার জন্যে আনেকে অনেক কাজ করে । তবে এমন কিছু করা উচিৎ নয় যেখানে সমগ্র ছাত্র সমাজের মান সম্মানের হানি হয়।
ছাত্র জীবনের এ সময়টা থাকে সকলের মনে অস্থিরতা। সকলের মনে রোমান্টিকতা! কে কি করবে বুঝে উঠতে পারেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এক বড় ভাইকে দেখতাম প্রায়ই পুলিশের সাথে কারনে অকারনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া লাগিয়ে দিতেন । দেখলে মনে হতো পুলিশ যেন উনার শত্রু ! ভাগ্যক্রমে আমরা হলে থাকতে থাকতেই সেই বড় ভাইকে দেখা গেল পুলিশের চাকুরী নিয়ে ক্যাম্পাসে ডিউটি করতে এসেছেন ! আমাদেরকে দেখে মনে হলো তিনি লজ্জা পেয়েছেন। আমারা কয়েকজন বন্ধু বিষয়টি অতটা বুঝতে পারিনি । তাকে হলে আসার জন্য আমন্ত্রন জানালে তিনি হলে আসার সাহস পেলেন না ।
আমি তো একবারে হতভম্ব হয়ে গেলাম এই ভেবে যে , এক দেড় বছর পূর্বে সে ছিল এই হলের রাজা! হলে বা ক্যাম্পাসে এই বড় ভাইকে ছাড়া কোন অনুষ্ঠানই সুষ্ঠুভাবে করা যেতো না । ক্যাফেতে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে যার ছিল জম-জমাট আড্ডা। এমনকি অনেক স্যারদেরেকেও দেখতাম তাকে বেশ সমিহ করতেন।
আজ পুলিশের চাকুরীতে ঢুকে সে তার নিজের অতি প্রাণপ্রিয় হলে আসার সাহস পাচ্ছে না ! আসলে আমরা যুবক বয়সে মানুষকে মানুষ বলে মনে করিনা। মনে করি আমিই সেরা আমার মত কেহ নেই । আসলে আমাদের চেয়েও যে সেরা পূর্বে কেহ ছিল বা ভবিষ্যতে কেহ আসবে এটা মানতে চাই না । তারা মনে করে আমরাই দুনিয়ার সেরা আড্ডাবাজ , সেরা চালাক , সেরা সাহসী, সেরা প্রেমিক, সেরা মেধাবী, ইত্যাদি ইত্যাদি ।
অযথা হই হুল্লোড় করাই যেন এদের ধর্ম ! একজন যুবক সব সময় স্বপ্নের রাজ্যে বসবাস করে। তাই সে নিজেকে কিভাবে যে অন্যের নিকট তুলে ধরবে তা ঠাহর করতে পারেনা । দুনিয়ার সকল যুব যুবাদের নাকি একই ধর্ম তবে প্রকাশের ভঙ্গি ভিন্ন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




