বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নমুখী দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য এবং নিজের অধিকার আদায় করে নেয়ার জন্য দরকার যোগ্য নেতৃত্বের । নেতৃত্ব যে দেবে তাকে হতে হবে শিক্ষিত, প্রজ্ঞাবান, বিচক্ষণ, সাহসী আর কৌশলী । এসবের সবগুলো গুণই আছে বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামীলীগ সভাপতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
উন্নত দেশগুলোর এই আরাম আয়েশের বিষয়টা কিন্তু এই অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থানের উপরে নির্ভর করে। যতোই এদের দমিয়ে রাখা যায় ততোই এদের দিয়ে সুবিধা আদায় করে নেয়া যায়। একবার উন্নত হয়ে গেলেই বা উন্নয়নের রোড বুঝে ফেললেই তখন তারা আর উন্নত বিশ্বের তথা ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডের প্রভুত্ব মানতে চায় না । তারা নিজেদের মতোই এগুতে চায় । প্রভাব বিস্তার করতে চায় বিশ্বে। এখন তো আর বোম মেরে কোন দেশকে থমকে দেয়া যায়না , দরকার হয় অজুহাতের । এজন্যই তারা নানা কৌশলে এসব কাজ করে। যদি নেতৃত্বে অঘটন ঘটিয়ে দেয়া যায় তাহলে অটোমেটিক দেশ কব্জায় কিংবা উন্নয়ন মন্থর হয়ে যায়, দাসত্বও স্থায়ী হয়ে যায়।
আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার মতো এমন সাহসী আর ডাইনামিক নেতৃত্ব আর আসেনি।
জঙ্গি টঙ্গি দিয়ে বহু চেষ্টা করেছিল দেশে একটা ওয়েস্টার্ন প্রভাব বিস্তারের, সেটি তারা পারেনি। কারণ এই নেতৃত্ব , আমাদের পিএম শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ।
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, স্যাটেলাইট, সাবমেরিন , গভীর সমুদ্রবন্দর , পদ্মা সেতু প্রত্যেকটি কাজে ঝামেলা করেছিল এরা, কিন্তু এই নেতৃত্বের কারণে পুরোপুরি ব্যর্থ হতে হয়েছে তাদের।
ইন্ডিয়ার সাথে অনেক চুক্তির কারণে আওয়ামীলীগকে ভাদা(ভারতের দালাল) বলা হলেও ইন্ডিয়ার মাথা ব্যাথার কারণ বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্রয়, চীনের সাথে ওয়ানবেল্ট ওয়ান রোডে যোগ দেয়া, চীনকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সামরিক অস্ত্রের যোগানদাতা বানানো এই সব কাজই এই আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনার সরকারের করা। বর্ডার কিলিং পুরোপুরি বন্ধ না হলেও কমে গেছে একেবারে । এছাড়া আগে বাংলাদেশে বসে পাকিস্তানি ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি আইএসআই(ISI) ভারতের উলফা সহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিতো যার ফলে তারাও পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী কিছু দলকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিতো । এখন আর এসব নেই। এই সব কিছুর মূলে আছে নেতৃত্ব ।
মানবতাবিরোধী রাজাকারগুলোকে যখন ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তখন বিদেশ থেকে যেভাবে একেরপর এক হুমকি ধামকি আসতে থাকে এরপরও যে রায় কার্যকর করার হিম্মত রাখে শেখ হাসিনার সরকার তখনই এটা ক্লিয়ার হয়ে গেছে যে, এরকম বলিষ্ঠ নেতৃত্বই আমাদের দরকার। এরকম হুমকি ধামকির কিঞ্চিতও যদি অন্য সরকার পেতো তবে সব ছেড়ে পালাতো ।
সব হাইওয়ে চার লেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অভূতপূর্ব উন্নতি, ভর্তি/আবেদন/টেন্ডার/লেনদেন সব ডিজিটাল এবং অনলাইন, ইন্টারনেট সেবা সবার কাছে , খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, স্বাস্থ্য সেবা, সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন , নিয়মিতভাবে চাকরির বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ, আকাশপথের জন্য বিমান ক্রয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এমন বাংলাদেশ আগে আমরা দেখিনি।
অন্য দলীয় সরকারগুলোও আওয়ামীলীগ এর সমান সময় ক্ষমতায় ছিল । দেশের প্রতিটি সেক্টর ধরে ধরে হিসেব করা হোক, তুলনা করা হোক কোন আমলে দেশের অগ্রগতি ভালো হয়েছে বা ছিল ।
কেউ যদি দেখাতে পারে আওয়ামীলীগ এর চাইতে বেশি উন্নয়ন কোন সরকার তাদের আমলে করেছে তাহলে ওই দলকেই ভোট দেয়া হবে ।
আর যদি না পারে তাহলে বুঝে নিন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের কোন বিকল্প নেই এখন এই দেশে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১