যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নেয়ামতে ভরা জান্নাত। [ সুরা লুকমান ৩১:৮ ]
জান্নাতে যেতে হলে সৎকর্ম করতে হবে। সৎকর্মের লিস্ট কুরআনে দেয়া আছে। জান্নাতের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ জান্নাতে যেতে হলে কি করতে হবে তা কুরআনে বলে দিয়েছেন।
পোস্টের আয়াতটি পড়ে দেখা যায় স্বচ্ছল বা অভাবী উভয় অবস্থায় আল্লাহ দান খয়রাত করতে বলেছেন। হ্যাঁ, এটাই ইসলামের শিক্ষা। একইসাথে রাগ সংবরন এবং ক্ষমা করতে বলা হয়েছে। তার মানে যেখানে আপনার রাগ করা যৌক্তিক এবং আপনি চাইলেই শাস্তি দিতে পারেন তা ক্ষমা করাতেই মহত্ব। এখন এমন জায়গায় রাগ করলেন না যেখানে রাগ করলে গুলি খাবেন, চাকরি নট হয়ে যাবে ঐখানে রাগ না করাতে কিছু আসে যায় না
যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [ সুরা ইমরান ৩:১৩৪ ]
এক মুঠো দাঁড়ি রাখা খুব সহজ, না কাটলেই হলো কিন্তু অভাবী অবস্থায়ও দান করা, রাগ করা যৌক্তিক এমন মুহূর্তে আল্লাহর নির্দেশ মেনে রাগ গিলে ফেলা, ক্ষমা করা খুব কঠিন। আমরা সহজ জিনিসটা বেছে নিয়ে জান্নাতের চাবি পেয়ে গেট খুলে ফেলছি, চাবিতে শানও দিচ্ছি নিয়মিতভাবে কিন্তু এইসব ব্যাপার এড়িয়েই যাচ্ছি। কেউ দাঁড়ি রাখুক বা না রাখুক এতে আমার আপনার তেমন কিছু যায় আসে না কিন্তু সবাই যদি এমন দানশীল হয় যে অভাব বা স্বচ্ছল সবসময়ই সাধ্যমতো দান করে এছাড়া চরম ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ থাকা সত্বেও কেউ যদি রাগ না করে কিংবা ক্ষমা করে তাহলে সমাজের অনেক পরিবর্তন আসবে। মানুষের মানবিক উন্নয়ন ঘটবে। আপনার আমার আচরণ ও মানবিকতা যদি হয় আল্লাহর নির্দেশনা মোতাবেক তাহলে কি অবস্থায় পৌঁছবে আমাদের সমাজ, ভাবুন একটু।
আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামের পথে চলার তৌফিক দান করুক।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪