করোনায় সময়কে কাজে লাগাই
===== মো: খুরশীদ আলম
গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন সেরে নেয়ার এর চেয়ে বড় সুযোগ আর হয়না। করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে আপনার স্বার্থ হাসিল করে নেবেন সেইটাই বলছিলাম। এই সময় সবাই সবার নিজেরটা বাগিয়ে নিচ্ছে। কি দ্বীনদার কি বদদ্বীন। আপনি কোন ক্যাটাগরীতে পরেন সেটা বিচারের ভার না হয় আপনারই রইলো।
প্রিয় ভাই, মনে আছে কোন বছর কুরানটা স্পর্শ করেছিলেন-চুমু খেয়েছিলেন গভীরভাবে। শেষ কবে মাওলার দরবারে শেষ রাতে মাথা ঠুকে নিজের আরজি পেশ করেছিলেন কিংবা এখনকি ভাবছেন পেছনের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করে ফেলা দরকার। অন্ততঃ দশটি সূরা শুদ্ধভাবে মুখস্ত করে নেয়া কিংবা কুরান শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত আত্নস্থ করা কিংবা জরুরী মাসয়ালা-মাসায়েলগুলো শিখে নেয়ার এর চেয়ে বড় সুযোগ কি আর হতে পারে? আচ্ছা ভেবেছি কি, বালেগ হওয়ার পরে কতো ওয়াক্ত সালাত ক্বাযা রয়ে গেছে? একবারও কি মনে হয় না সেগুলো আদায় করা দরকার।
হে দ্বীনের পথের যাত্রী, হে মুসাফির, হে তৃষ্ণার্ত! সবগুলোর উত্তর যদি “না” হয়ে থাকে, এখনো তুমি ভাগ্যবান। কেননা, মহান রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিয়েছেন সময়ের যথাযথ মূল্যায়ন করার। বিগত ক্বাযাগুলো আদায় করার এখনই সময়, এখনই সুযোগ কুরান শুদ্ধ করার, এখনই সুযোগ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় মাসয়ালা-মাসায়েলসমূহ শিখে নেয়ার। পরিবেশ-পরিস্থিতি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যদি ঈমানদার হয়ে থাকি। মৃত্যুর যে মিছিল আরম্ভ হয়ে গেছে তাতে কে কখন শরিক হয়ে যাই তা বলা যায় না। তাই তালেবে এলেমের খাতায় নাম লিখে শহীদি দরজা হাসিলের সুযোগ যেন হাত ছাড়া না হয় সেদিকেও আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে হবে।
সদাশয় সরকার যথেষ্ট সুযোগ করে দিয়েছে নিরাপদ ও চাপমুক্ত হয়ে নিজগৃহে বসবাস করার। এই সুযোগ বুদ্ধিমানেরা কাজে লাগাবে নিশ্চয়।
ঘরে-বাইরে, বদ্বীনি ছেয়ে পড়ায় মুসলমান আজ অন্ধকারে সিরাতুল মুস্তাকিমের রাস্তার হাতড়ে মরে। কুসংস্কার, মূর্খতা আর অন্ধকার পুঁজি করে কেউ কেউ শয়তানের ইজারাদার নিয়োজিত হয়েছে। ঈমান-আক্বীদা সহিত করতে ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসারতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। কিতাবাদি অধ্যায়ন করতে হবে, সোহবতে থাকতে হবে আল্লাহওয়ালাদের। দ্বীনি এলেম তালাশ করার কোন বিকল্প নেই। তাই এই সময় হতে পারে দ্বীনি এলেম অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৫