somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নামাজ তরক কারীর ব্যপারে ফতোয়া- (কিছুটা সমস্যাগ্রস্হ ও বিভ্রান্ত।)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
গত কয়েক দিন আগে ইসলাম হাউজ.কম নামের একটি সাইট থেকে নামাজ তরক কারীর ব্যপারে আমাদের কি করণীয় এবং এ ব্যপারে একটা ফতোয়া ডাউনলোড করেছিলাম। তাতেযে ফতোয়া দেয়া হয়েছিলো তা পালন করতে গেলে বাংলাদেশে আমাদের মতো মুসলমানদের কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। কেন হয় তা নিচের ফতোয়াটি পড়লেই জানতে পারবেন।এ ব্যপারে যাদের জানা আছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের করনীয় কি তার ফতোয়া যদি সংগ্রহ করে দিতেন তাহলে ভালো হয়।
ইসলাম হাউজ.কমে এই ফতোয়াটি নিম্নরূপ ভাবে দেয়া হয়েছিলোঃ
প্রশ্ন : ১
আমার বড় ভাই তিনি সালাত পড়েন না, এ কারণে আমি কি তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখব, না সম্পর্ক ছিন্ন করবো? প্রকাশ থাকে যে, তি আমারসৎ ভাই।
উত্তর : ১
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে সালাত পরিত্যাগ করে, যদি সে সালাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে, তবে ওলামাদের – দুটি মতের সবচেয়ে সহীহ মত অনুসারে সে বড় কুফরী করবে। আর যদি সালাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারকারী-অবিশ্বাসী হয়, তা হলে ওলামাদের সর্বসম্মত মতে সে কাফের হয়ে যারে। এ সম্পর্কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদ হলোঃ
“কর্মের মুল হলো ইসলাম, তার স্তম্ভ হলো সালাত এবং তার সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ বা সংগ্রাম করা।”[হাদীসটি ইমাম আহমদ, তীরমিযি ও ইবনে মাযা সহীহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন।]
এছাড়া নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আরও এরশাদ হলোঃ
“ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফুরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ছেড়ে দেয়া।”[মুসলিম]
এছাড়া আরও কিছু হাদীসের উদৃতি দেয়া হয়েছে। মুল ফতোয়াটি হলোঃ
“সালাত ত্যাগ করা কুফরী এর কারন হলো যে, যে ব্যক্তি সালাত ওয়াজিব হওয়া অস্বীকার করে সে আল্লাহ এবং তার রাসুল, আহলে ইলম ও ইমান এর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মিথ্যা প্রতিপন্নকারী। যে ব্যক্তি অলসতা করে সালাত ছেড়ে দিল তার থেকে উক্ত ব্যক্তির কুফরী খুবই মারাত্মক।উভয় অবস্হাতেই মুসলিম শাসকগণের প্রতি অপরিহার্য হলো যে তারা সালাত ত্যাগ কারীদেরকে তাওবাকরার নির্দেশ দিবে, যদি তওবাহ না করে, তা হলে এ বিষয়ে বর্ণিত দলিলের ভিত্তিতে তাদেরহত্যার নির্দেশদিবে। অতএব সালাত ত্যাগকারীকে বর্জন করা এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা ওয়াজিব। এবং সালাত ত্যাগ করা থেকে আল্লাহর কাছে তওবাহ না করা পর্যন্ত তার দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে না। সাথে সাথে নাকে ন্যায়ের পথে আহবান ও নসিহত প্রদান করা ওয়াজিব এবং দুনিয়া ও আখেরাতে সালাত ত্যাগ করার কারণে যে শাস্তি তার প্রতি নির্ধারিত আছে তা থেকে সাবধান করতে হবে। এর ফলে হয়তো বা সে তাওবা কারতে পারে এবং আল্লাহ পাক তার তওবাহ কবুলও করতে পারেন।”
প্রশ্ন ২:
কোন ব্যক্তি যদি তার পরিবার-পরিজনকে সালাত পড়ার জন্য নির্দেশ দেয়, কিন্তু তারা তার নির্দেশের প্রতি যদি গুরুত্ব না দেয়, তা হলে সে তার পরিজনের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করবে? সে কি তাদের সাথে [এক সাথে] বসবাস এবং মিলে মিশে থাকবে, না কি সে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাবে?
উত্তর ২:
এ সমস্ত পরিবার যদি একেবারেই সালাত না পড়ে, তাহলে তারা অবশ্যই কাফের, মুরতাদ (স্বধর্মত্যাগী) ও ইসলাম থেকে খারিজ-বহির্ভুতহয়ে যাবে এবং ব্যক্তির জন্য তাদের সাথে একই সংগে অবস্হান এবং বসবাস করা জায়েয নয়। তবে তাদেরকে [সংশোধনের জন্য]দাওয়াত বা আহবান করা তার প্রতি ওয়াজিব। বিনয় এবং প্রয়োজনে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে বারবার সালাত পড়ার জন্য আহবান করতে হবে। এর ফলে আল্লাহ পাক তাদেরকে হিদায়াত দান করতে পারেন, কারন সালাত ত্যাগ কারী কাফের। আল্লাহ পাক [এ থেকে ] রক্ষা করুন।
[ এছাড়াও কিছু কোরান হাদীসের দলিল পেশ করা হয়েছে এবং তাদের জানাযা না দেয়া, কাফনের কাপড় না পরানো, কবর না দিয়ে মাটি চাপাদেয়া ইত্যাদি বিধানের কথা বলা হয়েছে কিন্তু অনেক বড় হওয়ার কারনে তা দেয়া হলো না। কেউ চাইলে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
http://IslamHouse.com/171296]
বর্তমানে আমাদের দেশে সবমিলিয়ে ৫% লোক নামাজ পড়ে কিনা সন্দেহ আছে। উপরোক্ত ফতোয়া আমাদের দেশে যদি পালন করতে যাই তাহলে দেশে প্রচুর পরিমান বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে। যেমন ভাই, বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, কেননা তাদের অধিকাংশই নামাজ পড়েনা অথবা পড়লেও শুধু জুমার নামাজ। যার ফলশ্রুতিতে নামাজি এবং বেনামাজি এর মধ্যে দলাদলি শুরু হয়ে যাবে। আরেকটি বিষয় হলো উপরোক্ত ফতোয়া কি শুধু ইসলামিক রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য? নাকি বাংলাদেশেও?
বর্তমানে বাংলাদেশে বেনামাজিদের সংখ্যা যেহেতু বেশী তাই আমরা যারা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি তারা তাদের বেনামাজী আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কি ব্যবহার করবে অথবা কতটুকু দুরত্ব বজায় রাখবে এ ব্যপারে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে একটি পোষ্ট বা কমেন্ট আশা করছি।
(সালাত ত্যাগ কারীর বিধান।
http://IslamHouse.com/171296)
যদিও মূল লেখাটা আমার না। তবে প্রশ্নগুলো আমার মনের।
(মূল লেখাটা এখানে
http://www.peaceinislam.com/reaz_webd/2608/)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×