সংবাদপত্র পড়তে দেড় দু'মিনিটের বেশী লাগেনা কখনো আমার। দৌড়টা "টারজান" থেক শুরু করে সম্প্রতি "বিলিভ ইট অর নট"এ এসে ঠেকেছে। হয়ত আমার আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতাই দায়ী। অন্যকিছু পড়ে বিশেষ আরাম পাইনা। আর আরামপ্রিয় বলে আমার দুর্নামটাও অনেকদিনের।
কিছুক্ষণ আগে এক সহব্লগারের সাথে চ্যাট হচ্ছিল ইয়াহুতে। প্রসঙ্গক্রমে উনি একটা লিংক দিলেন। ক্লিক করতেই শিরোনাম। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক প্রসঙ্গে। সংবাদটায় যেহেতু শহীদ বলা হয়নি। ভাবলাম গর্ব ও আনন্দ নিয়ে পড়তে পারবো এক বীরের বীরত্বের ইতিহাস। তাই আগ্রহ নিয়েই পড়তে শুরু করি।
বারো বছর বয়সী এ মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন টাঙ্গাইলে। নাম শহীদুল ইসলাম, ডাক নাম লালু। তার অসমসাহসীকতায় গোপালপুর থানা মুক্তযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রনে আসে। যুদ্ধোত্তর সময়ে অস্ত্র জমা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর হাতে। বঙ্গবন্ধু কোলে তুলে নিয়েছিলেন এই যোদ্ধাকে। উত্তেজনা নিয়ে একেকটি লাইন পড়ছিলাম আর গর্বে টইটুম্বুর হয়ে উঠছিল ভেতরটা।
ঘুনাক্ষরেও ভাবিনি শেষ প্যারাটা এমন হবে।
"অমন অসামান্য এক বীর কখনো রেলস্টেশনে কুলির কাজ করেছেন, হোটেলের বাসন মেজেছেন আবার কখনো হয়েছেন পাচক। শেষদিকে এসে ঠেলাগাড়িতে করে চা বিক্রি করেছেন। এবছর, ২০০৯ সালের ২৫ মে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা যান তিনি। দুটো কিডনীই অকেজো হয়ে গিয়েছিলো তার। পানি এসে গিয়েছিলো শরীরে।"
নিজের প্রতি ঘৃণায় অপমানে কুঁকড়ে গেছি।
বোধকরি সংবাদ না পড়েই ভাল ছিলাম। সত্য বড় বেশী নির্মম। আমার মত কেবল "টারজান" আর "বিলিভ ইট অর নট" নির্ভরদের জন্যেতো বটেই। এর'চে চলেন মুখ ফিরিয়েই থাকি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




