somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা কবিতার ছন্দের ব্যতিক্রম নিয়ম আলোকপাত করা হলো

১৪ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আলোচনা হলো স্বরবৃত্ত ছন্দ
আমরা জানি যে ছন্দের প্রতিটি মাত্রা চার করে সীমাবদ্ধ থাকে তাকে স্বরবৃত্ত ছন্দ বলে।

উদারহণ,
তুই কি আমার/ দুঃখ হবি?/
এই আমি এক/ উড়নচণ্ডী/ আউলা বাউল/
রুখো চুলে/ পথের ধুলো/
চোখের নীচে/ কালো ছায়া।/
সেইখানে তুই/ রাত বিরেতে/ স্পর্শ দিবি।/
তুই কি আমার দুঃখ হবি?

তুই কি আমার/ শুষ্ক চোখে /অশ্রু হবি?/
মধ্যরাতে/ বেজে ওঠা /টেলিফোনের/ ধ্বনি হবি?/
তুই কি আমার/ খাঁ খাঁ দুপুর/
নির্জনতা/ ভেঙে দিয়ে/
ডাকপিয়নের/ নিষ্ঠ হাতে/
ক্রমাগত /নড়তে থাকা/ দরজাময়/ কড়া হবি?/
একটি নীলাভ/ এনভেলাপে /পুড়ে রাখা/
কেমন যেন /বিষাদ হবি?/
কবিতা আনিসুল হক

তোমার কাছে/ জলের কলস /তোমার কাছে /ঢেউ,
তবু কেমন /তৃষ্ঞা কাতর/আমার কি নেই /কেউ
তুমি আমার /এমন স্বজন/কাছে থেকেও /দূরে
অথচ-মোম/গলছ তুমি/আগুন হয়ে/ও
নিসঙ্গতা/যাচ্ছি একাই/ পুড়ে
কবি নাসির আহমেদ

এখানে প্রতিটি লাইন চার মাত্রার ব্রেকেডে স্বরবৃত্ত ছন্দ উল্লেখ হয়েছে ইহা উপরিক্ত স্বরবৃত্ত ছন্দ মাত্রা ।
চার হলে পূর্ণ মাত্রা ধরা হয়, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন মাত্রা চার মাত্রায় পূর্ণতা পায় সেটা বুঝাতে চেয়েছি..
ব্যতিক্রম হলো
পর পর তিনটি বদ্বাক্ষর থাকে সেখানে প্রতিটি এক মাত্রা হওয়ার কথা কিন্তু সেখানে কবিতার ছন্দের চার মাত্রা পূর্ণ মাত্রা হয়। সুন্দর দিন কে ভাঙি যখন.. সুন/দর/ দিন/, এইভাবে দেনদরবার,তালগাছটার, জানলাম যে
স্বরবৃত্ত পর পর তিনটি মাত্রা থাকার কারণে ইহা পূর্ণ মাত্রায়. অর্জন করেছে ।

দ্বিতীয় ব্যতিক্রম নিয়ম যদি পর পর দুটি বদ্ধাক্ষর হয় শেষে এক মাত্রা থাকে তখনও পূর্ণমাত্রা ইহা স্বরবৃত্ত ছন্দ ।উদারহণ কবিতা সহ,,
বইচোরা কী /কাব্য রসিক /ছন্দ জানে?
বই অনেকের /বাতিক ঘরে/সাজিয়ে রাখে
নাকি তেমন/ হদ্দনবিশ/ চোরের ঘরে/
ধুলোয় মলিন/ বুকশেলফে/
কেমন আছ?/

এখানে বুকশেলফে ভাঙলে পাই ..বুক/শেল/ফে।
এক মাত্রা এক মাত্রা শেষে এক মোট হওয়ার কথা তিন এখানে ব্যত্ক্রিম হলো স্বরবৃত্ত ছন্দ পূর্ণ চার মাত্রা। বুক ১ মাত্রা শেল১ মাত্রা ফে ১মাত্রা স্বরবৃত্ত বিচারে কিন্তু সেই হিসেব করলে তিন মাত্রা কিন্তু ব্যতিক্রম হলো চার মাত্রা এখানে
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

এরপর ব্যতিক্রম নিয়ম হলো
দাঁড়িয়ে ,বাড়িয়ে ,জানিয়ে,হারিয়ে, জড়িয়ে,বাজিয়ে এই ধরণের সব এখানে স্বরবৃত্ত ছন্দে তিন মাত্রা ধরে কবিতা মিলাতে পারেন অথবা দুই মাত্রা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ।

উদারহণ.. আমি তোমার /নীলাম্বরী /শাড়ির দুপাড়/
বক্ষ ঘিরে /জড়িয়ে থাকি/লুটোই পায়ে/
কবিতা আল মাহমুদ

ব্যতিক্রম আরো রয়েছে একটি উদারহণ দিয়ে শেষ করতে চাই
স্বরবৃত্ত কবিতার যখন মাত্রা ব্যবহার করি, ছন্দ ও বা ই থাকলে তাকে শূন্য মাত্রা হিসেবে ধরে নিতে পারেন অথবা মাত্রা পূর্ণ করার জন্য একমাত্রা ধরে নেওয়া যায় অনেকে খ্যাতিমান কবি ব্যবহার করেছেন।

শেষ বলি
ছন্দ কাকে বলে,, ছন্দ হচ্ছে কবিতার ব্যকারণে কবিতার অলংকার কবিতার নিয়ম ,যেখানে কবিতাকে কবিতা হিসেবে তুলে ধরা হয়
আমরা যারা খাই এর সাথে দাই মিলালে ছন্দ বলি এটা ছন্দ না এটা অন্তমিল আর ছন্দ হচ্ছে তিন প্রকার স্বরবৃত্ত ,মাত্রাবৃত্ত,অক্ষরবৃত্ত।
মাত্রা কাকে বলে
মাত্রা হলো কবিতার আন্ডার লাইনে কবিতার নিদিষ্ট থামার স্থান বিন্দু মাত্রা হলো শ্বাস নেওয়ার নিদিষ্ট স্থান
কবি জসীম উদ্দীন
কবর কবিতা মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত যেমন
এইখানে তোর /দাদির কবর/ডালিম গাছের /তলে,
তিরিশ বছর /ভিজিয়ে রেখেছি /দুই নয়নের /জলে।

এই খানে তোর/৬ মাত্রা দাদির কবর/৬মাত্রা ডালিম গাছের/৬ মাত্র তলে /দু মাত্রা
তিরিশ বছর/৬মাত্রা/ ভিজিয়ে রেখেছি/৬মাত্রা দুই নয়নের /৬ মাত্রা জলে দু মাত্রা
এইভাবে সবটুকু কবিতা এইভাবে রচিত
আশা করি বুঝতে পারছেন
বিস্তারিত পড়তে একটি বই কিনে পড়ৃন অনলাইনে ছন্দ বিষয়ক বই পাওয়াা যায়,,রকমারি তে অনেক বই পাওয়া যায়
এছাড়া প্রকাশনী থেকে কিনে পড়তে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৫
৮টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×