তাদের পরিবারকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই।
৬০% নারী কোটা শতকরা ১০০ জনের ভিতরে ৬০ জনের বেশি নারী পাওয়া যাবে। দেশের পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। গত জনশুমারি রিপোর্টে দেখলাম।মুক্তিযুদ্ধের ৩০% এর ৩০ জন পাওয়া যাবে না।৫ থেকে১০ থাকতে পারে। কিন্তু আপনি নারী কোটা পোষ্য কোটার কথা বলছেন না? নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই কোথাও। তাই নারীরা এখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ছুটে যায়। নারীদের কোটা অজুহাত কেন?নারী এখন মেধায় চাকরি পাচ্ছেন... তাহলে কোটা দরকার কোথায়?
এখনো এই দেশের মুসলিম ধার্মিক ঘরের মেয়ের উচ্চ শিক্ষা দেওয়া হয় না। তারা দিবেও না। যারা উচ্চ বিত্তের নারী এখন পড়াশোনা করে যাদের বাবার অভাব খুব কম। তাদের কোটা দিয়ে সকল নারীদের উদ্ধার করে ফেলত পারবেন না। তারা না হলে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে পারতো না। সব মেয়েদের বাবা গরিব নয়।
নারীর প্রতি সমান অধিকার নিশ্চিত করা সকলের দাবি। তাহলে একবার মাঠ পুরো নারী দখল করে রাখবে পুরুষ থাকবেনা ।এটা কেমন কথা? নারীর কোটা রাখতে পারেন যারা অসচ্ছল নারীর জন্য ১০% বা ২০% .... তাহলে ৬০% দিতে হবে? নারী যে সেক্টরে ভালো করে তাদের সেখানে দেন। সবখানে বেশি বেশি দিলে পুরুষ কি সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে?
পুরুষের অতিরিক্ত অধিকার দিলে যেমন বৈষম্য, তেমনি নারীদের অতিরিক্ত অধিকার দিলে বৈষম্য।
নারীর সম্মান ভালোবাসা চিরকাল দেখেছি। নারীকে কেউ অবহেলা করে নাই। একদল মাথা বিকৃত মস্তিষ্কের মূর্খ নারীদের প্রতি নির্যাতন করেছে তাই বলে সকল পুরুষ বলীর পাঠা হবে কেন? উত্তর দেন????
পুরুষ বৈষম্যঃ একটা বেকার ছেলের নিজের স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে পারে না, সেই স্ত্রীও একজন নারী। নারীর কোটা দিয়ে পুরুষ বৈষম্য হয় না, ভুক্তভোগী নারীও বৈষম্যের শিকার। একটা বেকার ছেলের মায়ের মুখে ভাত তুলে দিতে পারে না, সেই মা একজন নারী, নারী কোটা দিয়ে নারী বৈষম্য হচ্ছে। ভাইয়ের টাকা উপার্জন বোনের বিবাহ তখনই নারী বৈষম্য।
নারীর চাকরি ঃ সারা জীবন পড়াশোনা করিয়ে, কোটার মারফতে চাকরি পেয়ে, বাবার বাড়ি টাকা পাঠাতে পারেন না নারী।
সেই টাকা আত্মসাতের করে তার উড়ে এসে জুড়ে বসা জামাই। এখানে কি শেষ ঘটনা? নারীর চাকরি করে আত্মনির্ভরশীল থাকুক এটা আমরাও চাই। সকল নারীদের চাকরি দরকার।সকল পুরুষই চাকরি দরকার। একটা পুরুষের চাকরির উপর অনেক নারী নির্ভর করে। একটা নারীর চাকরি উপর অনেক গুলো নারী নির্ভর করে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৫