প্রথমে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই কাজী ফাতেমা ছবি আপুকে, কারন উনার একটু আগের পোষ্টটার জন্য জানতে পেরেছি যে আজ খায়রুল আহসান ভাইয়ের জন্মদিন।
খায়রুল আহসান ভাই আপনাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা
- ঃঃঃ সবসময় ভাল থাকুন ঃঃঃ-
কিছু সিনিয়র ব্লগারদের আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে, আপনাদের ব্যবহার অনেক ভাল। তাই আপনাদের অনেক ভালবাসি. ভালবাসি.. ভালবাসি... । আজকে যা লিখব সব আপনাদের দুজনার জন্য।
((( আমার পোস্টে কিছু ভুল থাকতেই পারে, অফিসে বসে তাড়াতাড়ি টাইপ করছি, কারন ৫ টায় অফিস শেষ। )))
এস এস সি পরীক্ষা শেষ করলাম, এখন তো আমার হাতে অনেক সময়। তো বন্ধুরা মিলে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার শেষ দিনে প্লান করলাম, কবে কি করব। কারন তখন বন্যা শুরু হয়েছ।
একদিনের প্লান ছিল, সবাই মিলে প্লেয়িংকার্ড খেলব। যাহোক বন্ধুরা আস্তে আস্তে আমার বাসা আসা শুরু করল, যেহেতু বন্যা চলছে, তাই সবাই লুঙ্গি পরে এসেছে। আমার ঘরে গোল মিটিং বৈঠক চলছে, টাকা কালেকশন হচ্ছে। টাকা উঠানো শেষ, চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বন্ধুদের ভাগাভাগি করে তাদেরকে দু জায়গাতে পাঠালাম। একগ্রুপ গেল ডাক্তারের দোকানে, অন্যটি গেল নরমাল দোকানে। একগ্রুপের উদ্দেশ্য হল প্লেয়িং কার্ড কিনে আনা, আর অন্য গ্রুপ গিয়েছিল কাশির ঔষধ আনতে। জীবনে প্রথমবার কাশির ঔষধ খাব, তাই চিন্তা ভাবনা সব স্হির হয়ে ছিল। দামও কম, আমাদের সময়ে ১৭ টাকায় পুরো একবোতল পাওয়া যেত!!! (নাম বললাম না) ।
আমার বন্ধুরা ছিল মামুন, সেলিম, খোকন, সাইফুল, কাজল, মাছুম আর হাসান। যথাসময়ে বোতল এবং কার্ডের প্যাকেট হাজির হল। ওরা এই ধরনের কাজে খুবই দক্ষ। কিন্তু সমস্যা বাঁধল আমার বাসাতে, মেহমান এসেছে তাই বাসায় তো কার্ড খেলা যাবে না। তাই সবাই বুদ্ধি করলাম, আজকে খেলতে যাব সেলিমের বাসায়।
সবাই আস্তে আস্তে আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে গেলাম। সেলিমের বাসায় যাব, তাই সবাই রাস্তায় হাটতেছি, পানিতে প্রায় আমাদের হাটু ডুবু ডুবু অবস্হা। বীর পালোয়ানদের মত আমরাও কাছা মেরে হাটতেছি। অনেক হাটার পরে একটা জায়গাতে এসে সবাই দাড়িয়ে গেলাম , কারন সামনে পা দেই, দেখি গর্ত আগের চেয়ে একটু বেশি, আমাদের যা অবস্হা পানিতে মোটামুটি কোমর ডুববে কিন্তু বুক ভেসে থাকবে। এদিকে আবার তিনসন্ধ্যা হয়ে আসল। বেকুবের দলগুলা পানিতে দাড়ায়া আছে, সাথে আমিও।
একটু পর দেখি এক মহিলা আসতেছে ম্যাক্সি পড়া, আমরা তো দাড়িয়ে আছি, আমার তো মনে হচ্ছে মহিলা ভিজে ভিজেই যাবে। হঠাৎ করে দেখি মহিলা যাচ্ছে কিন্তু তার কাপড় ভিজতেছে না, ব্যাপারটা কি, তখন অলরেডি সন্ধ্যা হয়ে আসছে।
ভাল করে খেয়াল করে দেখলাম যে, পানি যত বাড়ে কাপড় একটু উপরে উঠে, তারপর পানি আর একটু বাড়ে কাপড়ও একটু উপরে উঠে।
মহিলা ততক্ষনে বাসায় চলে গেছে, আমরা এখনও পানিতে দাড়িয়ে একে অপরের মুখ দেখতেছি। এভাবে আমরাও শুরু করলাম------
"খোল লুঙ্গি, ল কান্দে"
আমরা তাসের প্যাকেট, বোতল সব লুঙ্গিতে ভরে রওনা দিলাম, পানি যত বাড়ে, লুঙ্গি উপরে উঠে। এই সিস্টেম এ পাড় হলাম,
অতঃপর সেলিমের বাসায় গিয়ে উঠলাম।
বাকীটুকু যদি লেখার উৎসাহ পাই, তবে লিখব, কবে লিখব জানি না। আজকে বড় ভাইয়ের জন্মদিন তাই আপনাদের একটু ভাল লাগলেই আমার শান্তি।
সবাইকে বলছি খুব তাড়াহুড়ো করে লিখছি, ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬