আজ-কালকার দিনগুলো আমার, যেন এখনো অমলিন (পর্ব ১)
আজ-কালকার দিনগুলো আমার, যেন এখনো অমলিন (পর্ব ২)
আজ-কালকার দিনগুলো আমার, যেন এখনো অমলিন (পর্ব ৩)
খুব সাদামাটা ভাবেই জীবন থেকে হারিয়ে যায় আমার ছেলেবেলা। জীবন নামের আকাশে উদ্ভাসিত হয় সূর্যালোকের, আর সেই আলোতে স্পষ্ট হোয়ে যায় আমাদের বৈষম্যমূলক সমাজ বাবস্থা। এইসব প্রতিকুলতার প্রতিবাদ না কোরে একজন মধ্যবিত্ত ঘড়ের সন্তান হিসেবে সবার আগে নিজের একটি বেক্তিগত সামাজিক অবস্থান তৈরির তাগিদ অনুভব করি, এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই আমাকে ছেড়ে আসতে হয় মাদ্রাসা এবং ০৭-০৮ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হই "বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ ঢাকা"-য়।
যারা না দেখেছে তাদের কাছে রাজধানী নিয়ে কৌতহল কম নয়। এক সময় এই কৌতহলই আবার রূপ নেয় তিক্ততায়। আমার প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের অনেকটা সময় বলির শিকার হয় এই মরিচিকাময় কৌতহলের। দেখতে দেখতে সামনে ইয়ার ফাইনাল, কিছুদিনের জন্য আবার সচেতন। এরকম উথান-পতনের বেড়াজাল ভেঙে বেড়িয়ে আসে চূড়ান্ত পরীক্ষার বাছাই প্রক্রিয়া। হাতে মাত্র তিন মাস- যা কিছু করার এখনই সময়। তাই আদাজল খেয়ে লেগে যাই পড়াশুনায়। কিন্তু এভাবে এক মাস চলার পরে যা হল তা আমার চেয়ে ডাক্তারই ভাল জানেন। ডেঙ্গু নামক ভয়ঙ্কর জ্বরে আক্রান্ত হই, সুস্তও হই বটে কিন্তু এখন যে আর পড়াশুনার একেবারেই সময় নেই! দুদিন বাদেই পরীক্ষা। যাইহোক- খোদার অশেষ মেহেরবানীতে ২০০৯ সালে ৪.১০ নিয়ে পাশ করি এইস.এস.সি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৫