somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি বেহেস্ত হারিয়েছি

০৩ রা জুন, ২০১০ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ছোট বেলা থেকেই ছবি আকতে ভীষণ ভালোবাসি।ছোট বেলা থেকেই খুব ছবি আকতাম।ঘর, গাছ,ফুল।ধীরে ধীরে মানুষ আকতাম।সংগ্রাম,১৯৫২, মিছিল,মেলা এসব।তখন ক্লাস ৩ বা ৪।আম্মু একদিন ব্যপারটা খেয়াল করল।আগেই বলে রাখি আমার মুরব্বি অনেক।বড় ৩ বোন,দুলাভাই। যাইহোক আম্মু আমাকে ডেকে বলল ছবি আকবি না।আমি খুব প্রশ্ন করলাম।কেন? কেন?একটাই উত্তর- হারাম।খুব ভাবতাম ছবি আকলে জান দেওয়া যাই না তাই হারাম।তখন মনে হত থাক না জান না হয় নাই দিলাম এটা তো প্রভুর কাজ।আর প্রভুই বা এত হিনমন্নতাই ভুগবে কেন যে কেউ ছবি আকতে পারবে না পাছে না কেউ জান দিয়ে দেয়।যাই হোক ভালোবাসার জিনিষটা ছাড়লাম।
যখন ৫ম ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে খুব গান ভালোবাসা শুরু করলাম।খুব শখ হল গান শিখবো।কিন্তু ইহা লইয়া আমার কোন ঘটনা নাই কেননা আমি জানিতাম আগেই যে সংগিত মিউজিক মহান রবের ঠিক পছন্দনিয় না,তাই মাকে বলিবার প্রয়োজন বা দুঃসাহস আর দেখায় নাই।যাই হোক ভালোবাসার জিনিষটা ছাড়লাম।
৯ম ১০ম শ্রেণীতে সাহ্যিত আমাকে খুব আর্কষণ করত।খুব বই পড়ার শখ ছিলো।আমার বাবা মা কট্টর ডানপন্থী,জামায়ত এর সমর্থক।আপনারা হয়ত জেনে থাকবেন জামাত পরিবারে অনেক বই থাকে কিন্তু সব ইসলামী বই।বাইরের বই পড়াকে সময় নষ্ট বলা হয়।যার জবাবদিহিতা আল্লাহর নিকট করা লাগবে।তাই আবারো যাই হোক ভালোবাসার জিনিষটা ছাড়লাম।
ইন্টারে আমার বাবা আমার বই খাতা ছিড়ে ফেলেছিল।খুব মেরে ছিল এবং আমার বোনরা কেউ বাচাতে আসেনি।মা আটকাবার চেষ্টা চালিয়েছিল।কিন্তু বউকে মৃদু প্রহার জায়েজ।তাই বাবা জায়েজ কাজটি ভাল ভাবেই করেছিলেন।কারন ছিল পাড়ার এক ছেলে আর্মিতে ছিল, আমাকে ভালোবেসে আমার কলেজে এসে দাড়িয়েছিল।এবং আমি তার সাথে কথা বলেছিলাম।এবং তার দেয়া গিফট নিয়ে আম্মুকে দেখি্যে ছিলাম।আপনারা হয়ত ভাবছেন আরো কিছু ছিলো ।কিন্তু মজার ব্যাপার মাত্র ৩ দিন এর জন্য এবং বোকার মত মাকে সব সত্য বলার জন্য কলেজ বন্ধ হবার উপক্রম।মেয়ে বিয়ে দিতে হবে।
আমার বড় বোনের বিয়ে তখন ও না হওয়ায় বেচেছিলাম। মেডিকেল এ ভর্তি হলাম।অব্যশই মহিলা মেডিকেল।আমার এক বন্ধু হল নেটে।হ্যা ছেলে।বুয়েটে পড়ে।খুব আতেল।ও জানতো না আমি মেয়ে।খুব বই পোকা।বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতাম ওর কাছে।অবাক হতাম খুব।পৃথিবী এত সুন্দর?শুধু কোরনের রাহমান সূরা পড়ে এসব সৌন্দর্য বোঝা যায় না।আর ভালোবাসতে থাকলাম সেই রাজপুত্রকে যে আমাকে বন্দিশালা থেকে মুক্ত আকাশ দেখাচ্ছিল।যাই হোক ভালোবাসার জিনিষটা ছাড়লাম।না এবার রাজপুত্রকে ছাড়িনি ছেড়েছি ঘর।জানি না বেহেস্ত কি।তবে জানি মায়ের বুকের থেকে বড় কিছু না সেটা।কিন্তু জীবন বেহেস্তের থেকে দামি।আজ আমার ভালবাসার সব কিছুই আমি করতে পারি শুধু মাকে এই ২১বছরেই ধর্মের জন্য হারিয়েছি।
আমি ভাল আছি।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লাইকা লেন্সে তোলা ক’টি ছবি

লিখেছেন অর্ক, ১৭ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩০




ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সময়, ক্রসিংয়ে তোলা। ফ্ল্যাস ছাড়া তোলায় ছবিটি ঠিক স্থির আসেনি। ব্লার আছে। অবশ্য এরও একরকম আবেদন আছে।




এটাও রেল ক্রসিংয়ে তোলা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কার গল্প জানেন ও কার গল্প শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩১



গতকাল সন্ধ্যায়, আমরা কিছু বাংগালী ঈদের বিকালে একসাথে বসে গল্পগুজব করছিলাম, সাথে খাওয়াদাওয়া চলছিলো; শুরুতে আলোচনা চলছিলো বাইডেন ও ট্রাম্পের পোল পজিশন নিয়ে ও ডিবেইট নিয়ে; আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাবাকে আমার পড়ে মনে!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

বাবাকে আমার পড়ে মনে
ঈদের রাতে ঈদের দিনে
কেনা কাটায় চলার পথে
ঈদগাহে প্রার্থনায় ..
বাবা হীন পৃথিবী আমার
নিষ্ঠুর যে লাগে প্রাণে।
কেন চলে গেলো বাবা
কোথায় যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×