ঈমান মানে বিশ্বাস। জীবনে সাফল্য ও ব্যার্থতায় বিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
গানের ভাষায় বলতে পারি ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর’।
যাই হোক আজ আমরা আওয়ামীলীগের প্রতি ঈমান আনার
ফজীলত ও ফায়দা নিয়ে আলোচনা করব।
আমাদের ঈমান আমল আওয়ামীলীগের মন্ত্রণার অনুসারী হলে আমরা নিম্নরূপ
নানাবিধ ফায়দা হাসিল করতে পারি।
যুদ্ধাপরাধ ক্ষমা করা হইবে। আওয়ামীলীগের প্রতি ঈমান অটুট ছিল
বলিয়াই ৯৬-০১ আমলে জামাতী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি।এখন ঈমান বিসর্জন দেয়ার
পর তাহারা মাইন্কা চিপায়। অন্যদিকে বেয়াই কিংবা বেয়াইর বাবারা ভালোই আছেন।
সাতখুন মাফ করিয়া পুরষ্কৃত করা হইবে। তাই হত্যা মামলার প্রধান আসামী
সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক হইতে পারেন। ডাঃ ইকবাল আর শাওনের মত প্রকাশ্যে পিস্তল
তাক করে হত্যাকারীও .........। না বলাই ভালো, কখন না জানি আদালত অবমাননা হয়।
ধর্ষকদের জন্য প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় পুরষ্কারের ব্যবস্থা রহিয়াছে।
তাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণ-সেঞ্চুরী উদযাপনকারী ছাত্রলীগের
সভাপতি মাণিক! আজ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত।
ঈমানী মজবুতী সহকারে আওয়ামীলীগ কর্মী হিসেবে টেন্ডারবাজি ও চাদাবাজি
করিলে তাহা ডিজিটাল ঊন্নয়নমূলক কর্ম হিসেবে সওয়াবের খাতায় লিপিবদ্ধ হবে।
ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ পর্যায়ের ঈমানী জযবা অর্জন করিতে পারিলে
কোন আকাম-কুকামে সরকার বা প্রশাসনের বাধা নাই। বরং সেইসকল
কাজ অতীব পূণ্য হিসেবে গণ্য হইবে।
তাই সচেতন সুশীল মানুষ হিসেবে ইহকালীন জীবনে সর্বোচ্চ ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে
আসুন আমাদের ঈমান repair করি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




