বাঙ্গালীরা কয় ইউরোপ আমেরিকায় সব কাজের "ইজ্জত" সমান, আসলেই কি তাই? আরেকটা প্রশ্ন হলো আমেরিকায় বা ইউরোপে বাংলাদেশিরা সবাই অড জব করে না বুঝলাম কিন্তু কি কি ধরনের কাজ করে? কমন কিছু কাজ যেমনঃ বরফ কাটা, ট্যাক্সি চালানো, পেয়াজ কাটা, সুইপারগীরি করা ছাড়া আর কি কি ধরনের অড জব করে? প্লিজ কেউ জানান। এক কথায় সব ধরনের অড জবের একটা লিস্ট লাগবে! আমেরিকায় বাংলাদেশিরা কি করে?
বাংলাদেশীরা বিদেশে যাওয়ার জন্য পারলে নিজের কিডনি বিক্রি করে দেয়। যেন বাংলাদেশ একটা গন্ধ ভরা টয়লেট আর আমেরিকা হইলো ৫ স্টার হোটেল। যেখানে গেলে এনাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে ৩ বেলা শাহী পোলাও খাওয়ানো হবে। শালারা বাংলাদেশেতো একবেলা ট্যাক্সিও চালাবে না, আর আমেরিকায় গিয়ে মানুষের টয়লেট সাফ করতেও এদের ঘেন্না হয় না!
পিএইচডি করতে আর কয়জন যায়? ডিভিতে বা ফ্যামিলি ভিসায় গিয়েছে তাদের অবস্থা জানার জন্যই আগের পোস্টটা দিয়েছিলাম।
১৪ নাম্বার কমেন্টটা ভালো লেগেছে
সাহোশি৬ বলেছেন: আপনার প্রশ্নটা মাত্র এক লাইনের হলেও এর উত্তর হবে বেশ বড়। প্রথমেই দেখি কি ধরণের বাঙালী আমেরিকায় আসে? যারা আমেরিকায় আসে তাদেরকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়
১) উচ্চ শিক্ষার্থে (মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে): এই ক্যটাগরীর শতকরা ৯০ ভাগই পড়াশুনা শেষ করে চাকুরি করে (white collar job), কেউ কেউ ইউনিভার্সিটির টিচার হয়। চাকরি করতে করতেই এদের গ্রীন কার্ড হয়ে যায়। আর শতকরা ১০ ভাগ বা তারও কম পড়াশুনা শেষ না করতে পেরে অবৈধ বা অন্য কোন উপায়ে বসবাস করতে থাকে।
২) আন্ডার গ্রাজুয়েট করতে: এই ক্যটাগরীর শতকরা ৭৫ ভাগই পড়াশুনা শেষ করে চাকুরি করে (white collar job)। আর শতকরা ২৫ ভাগ বা তারও কম পড়াশুনা শেষ না করতে পেরে অবৈধ বা অন্য কোন উপায়ে বসবাস করতে থাকে।
৩) ডিভি: ডিভিতে আসা শতকরা ৯০ ভাগই অড জব করে যার মধ্যে মুদির দোকান (বা গ্যাস স্টেশনে কাজ), ট্যাক্সি চালানো, সুইপার, রেস্টুরেন্টে কাজ - সবই পড়ে। এই ক্যাটাগরীর শতকরা দশ ভাগ হয়তো পড়াশুনা করে white collar job করে।
** এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে দশ পনেরো বছর অড জব করার পর এরা নিজেরাই ছোট-খাট ব্যবসা দিয়ে ফেলে।
৪) ফ্যামিলি ভিসায় গ্রীনকার্ড ধারী: এরাও ৩ নম্বর ক্যাটাগরীর অনুরূপ।
৫) ভিসিট ভিসা: এই ভিসায় এখন বাবা-মা ছাড়া অন্যরা কেউ আসে না বললেই চলে। আর বাবা-মা আসলে তারা ছেলে মেয়ের সংসারে কয়েকদিন আমোদ ফুর্তি করে চলে যায়।
৬) অবৈধ: বিভিন্ন কারণে অনেকে ভিসা স্ট্যাটাস বজায় রাখতে না পেরে অবৈধ হয়ে যায়। এদের জীবন অনেক কঠিন। আগে অবৈধ ভাবে আমেরিকায় কোনরকমে টিকে থাকা গেলেও যতই দিন যাচ্ছে অবৈধদের জন্য আমেরিকা ততই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
১৬ নাম্বার কমেন্টটাও কিছুটা আমার পক্ষে উত্তর দিয়েছে
শিক কাবাব বলেছেন:
যে সব পিয়েইজডি, মাস্টর, প্রেভেসর কইতাছেন - এই উচ্চ শ্রেণী থেইকা শুরু কইরা, যাদের নিম্নতম অক্ষর জ্ঞান নাই, সব মিলায়ে যদি আম্রিকায় ৫ লক্ষ বাঙালী বাস করে, এদের মধ্যে মাত্র ৫ জন প্রফেসর হবে হয়ত, (৫ লক্ষ ভাগ ৫ = ০.০০১%), এভাবে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বসালে দেখবেন মাত্র ৫ জন মিলিয়নার বা নিজ দোকানদার। বাকী ৯৫%ই-তো হয় হোটেলে পিয়াজ বাটে, নয় টেক্সি চালায়, নয়ত বারে মদ বেচে। তা নয় কি?
লেখক এই ৯৫% সম্বন্ধে জানতে চায়।
এখন প্রশ্নগুলোর উত্তর চাই
১। অড জবের লিস্ট
২। অড জবের বেতন
৩। "সব পেশার সম্মান সমান" এই যে একটা চাপা মারে বাংলাদেশীরা বা ওই সব দেশে যাদের আত্মীয় আছে তারা তো মানতেই চায় না যে একজন সুইপার বা একটা ট্যাক্সিওয়ালার সম্মান কখনোই একজন সম্মানজনক চাকরিজীবীর সমান নয়।
আসলেই কি সব পেশার ইজ্জত সমান? আমার মনে হয় না।
৪। কেন এত কস্ট করতে ওই দেশগুলোতে যায়? বাংলাদেশে বসে তার ৩ ভাগের এক ভাগ শ্রম দিলেই তো বড়লোক হওয়া যায়!
৫। আন্ডার গ্রাজুয়েশনের জন্য যারা যায় তাদের ৭৫% পড়াশোনার পড়ে white collar job কড়ে ঠিক আছে, কিন্তু পড়াশোনার করার সময় কি ধরনের অড জব করে?
আরেকটা কথা, ইউরোপ আমেরিকায় যার থাকেন বা যাদের কলিজার আত্মীয়রা থাকে তারা খুব দেখাতে চায় বা চাচ্ছে যে ওইখানের সব দেশি পাব্লিকরা পিএইচডি হোল্ডার বা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু ম্যাক্সিমাম ৫% লোক এইসব কাজ করে। ৯৫% লোক কি করে?
অড জবের লিস্ট চাই! রেট সহ!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




