ছোটবেলায় গরমের ছুটি বা ঈদের ছুটিতে আমরা সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে যেতাম। পাঠশালায় পড়ার সময় খুব অপেক্ষা করে থাকতাম গ্রামে যাওয়ার এই মুহুর্ত গুলোর জন্য। কিন্ত যত বড় হচ্ছিলাম গ্রামের নিস্তরঙ্গ জীবন আমার ভালো লাগতো না। কয়েকদিন পরেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসতো। আমি কখনো গ্রামে থাকতে চাই নি। আমার এই মনোভাব আমি কখনও গোপণও করি নাই। ওই বয়সেই আমি খুব স্পষ্ট বুঝতাম, আমাকে বড় হতে হলে, জীবনে সফল হতে গেলে আমাকে গ্রাম ছাড়তে হবে। আমার এই গ্রামের কি বা আছে আমাকে দেবার মতন?
গ্রামের জীবনে আমি সহজ ছিলাম না। অন্যদের মতো তর তরিয়ে গাছে উঠতে পারতাম না, গরু বা মহিষ দেখলে বুক চিতিয়ে সামনে দাড়াতে পারতাম না। আমি সাঁতারও জানতাম না। পুকুরে মাঝে সাঝে লাফ দিতাম, কিন্ত সাথে দল বল থাকলে তবেই। একা আমি কখনও পানির ধারে কাছেও যেতাম না। মতি হেসে বলত ফানটুশ, তোর তো জীবনের ষোল আনাই মিছে।
এটা সত্যি জীবনে আমি কখনই ঝুকি নিতাম না... অথচ অনেকেই তো নেয়। আমি জানতাম দুরন্ত ষাড়ের চোখে লাল রুমাল আমি কখনই বাধবো না। সাঁতার না জেনে অন্যের ভরসায় কখনই নৌকায় উঠব না।
মতি আমাকে কি বললো আমার তাতে কি যায় আসে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




