somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হরিণের স্বর্গরাজ্য: নিঝুম দ্বীপ

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কল্পনা করুন তো বিকালের মিষ্টি রোদে তাবুতে বসে গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছেন, আর হঠাৎই লক্ষ্য করলেন একদল বুনো হরিণ আপনার চারপাশে চড়ে বেরাচ্ছে; আসলেই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, তাই না? এই বিরল মুহূর্তটি উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে নিঝুম দ্বীপে। নদী আর সাগরের মোহনায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এই দ্বীপটি যেন হয়ে উঠেছে হরিণের স্বর্গরাজ্য।

দ্বীপটির নাম নিঝুম দ্বীপ হলেও এটি কিন্তু আসলে নিঝুম নয়। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপটিতে প্রায় ১২হাজার লোকের বসবাস। এই দ্বীপটি দুই ভাগে বিভক্ত, একটি হচ্ছে লোকালয় এবং অন্যটি চিত্রা হরিণের অভয়ারণ্য (শালবন)। দ্বীপটির মূল আকর্ষণ হরিণের অভয়ারণ্যটি। এখানে আপনি উপভোগ করতে পারবেন হাজার হাজার হরিণের অবাধ বিচরণের বিরল দৃশ্যটি। আপনারা হয়তো সমুদ্র দেখেছেন, কিন্তু নদী আর সমুদ্রের মোহনা যে এক অপরূপ সৌন্দর্যের অবতারণা করেছে তা নিঝুম দ্বীপে না গেলে অপূর্ণই থেকে যাবে। শালবনের ভেতর তাবুতে ক্যাম্প ফায়ারের অভিজ্ঞতাও আপনাকে রোমাঞ্চিত করে তুলবে।

সৌন্দর্যের দিক থেকে কোন কমতি না থাকলেও নিঝুম দ্বীপে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। ঢাকার সদরঘাট থেকে দুটি মাত্র লঞ্চ আছে, যা হাতিয়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়( এম.ভি পানামা ও এম.ভি টিপু)। হাতিয়া থেকে বন্দর টিলা নামক স্থানে গিয়ে ছোট একটি নদী পার হলেই পৌছে যাবেন নিঝুম দ্বীপে। সেখানে থাকার জন্য একটি মাত্র হোটেল আছে ( হোটেল অবকাশ লি:)। তবে নিঝুম দ্বীপের আসল মজাটাই হলো তাবুতে থাকা।

ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার সময় নিঝুম দ্বীপের কথাও বিবেচনায় রাখুন। আর এখানে এসে উপভোগ করুন সাগর, দ্বীপ, নদী, বন আর হরিণের মিলন মেলা।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×