সৃজনশীল শ্রম ও সাধনা, শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার কারণেই জীবন্ত কিংবদন্তি, সমাজহিতৈষী, দানবীর রাগীব আলী আজ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ধনীদের মধ্যে অন্যতম। ধর্মভীরু, সদালাপী গরীবের বন্ধু ও দানশীল ব্যক্তিত্ব দানবীর রাগীব আলী ১৯৫৭ সালে ভাগ্যান্বেষণে বৃটেনে পাড়ি জমিয়েছিলেন। নিদারুণ কষ্ট ও দুরদর্শীতার সাথে সেখানে তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি হোটেল রেস্টুরেন্টে চাকুরি করেছেন। অর্থ উপার্জনের অভিলাষ ও উদ্দেশ্য সকল মানুষের মধ্যে বিদ্যমান, দানবীর রাগীব আলী সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন না। তাইতো তিনি অর্থ উপার্জনের জন্য একসাথে দুটি হোটেলে পালাক্রমে কাজ করতেন। সকাল বিকাল কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি অর্থ উপার্জন করতেন।তিনি জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘ক্যানেথ কাউন্টার’র অধীনে প্যালেস হোটেলে কাজ করতে গিয়ে ধৈর্য শিক্ষা পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি সহপাঠী শ্রমিকদের সাথে শয্যা ভাগাভাগি করে বিশ্রাম করার কঠোর অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছিলেন। তাইতো তিনি কখনো কোনো কাজকেই ঘৃণা বা ছোট কাজ বলে মনে করেন নি।দানবীর রাগীব আলীর জীবনকে প্রভাবিত করেছিল বলেই তিনি কঠিন শ্রম যন্ত্রণা হাসিমুখে বরণ করার শক্তি পেয়েছিলেন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। শ্রম ও শ্রমিককে মর্যাদা দিয়েছেন বলেই আজ তিনি সর্বত্র মর্যাদাবান এবং যথাযথ সম্মান ও শান্তি পাচ্ছেন।দানবীর রাগীব আলী নিজের প্রতি অগাধ আত্মবিশ্বাস, শ্রমের প্রতি প্রচুর শ্রদ্ধা এবং সৃজনশীল কর্মের ফলে তাঁর সাধনা, বিশ্বাস ও শ্রম বিফলে যায়নি। তাইতো তিনি যেমন প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন তেমনি দেশ-বিদেশে পাচ্ছেন প্রচুর সম্মান ও প্রতিষ্ঠা। মানুষ প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হলে তাদের আত্মগৌরব বেড়ে যায়। অনেকে আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদেরকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না অর্থাৎ অতীতকে ভুলে যায়। কিন্তু মানব দরদী দানবীর রাগীব আলী সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা কখনো ভুলে যাননি বরং তিনি দেশ, মাটি ও মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েও নিজের তিক্ত অতীতকে ভুলেন নি, ভুলেন নি নিজের আত্মীয় স্বজন সহ দেশের গরীব অসহায় মানুষকে। তাইতো তিনি নিজের এলাকা কামালবাজার ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে তুলেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই শতাধিক মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয় দেশের আর্তমানবতার সেবায় তিনি নিজ উদ্যোগে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালতো বটেই, কামালবাজার ও জকিগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি স্থানে গরীব ও অসহায় বোগীদের চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল তৈরি করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার পরিবারকে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন অথবা গৃহনির্মাণে সহায়তা।একজন সাধারণ মানুষ যে একাগ্রচিত্তে, সতাতর সাথে, প্রবল সাহসী মনোবল ও পরিশ্রম দ্বারা দেশের প্রভূত উন্নতি সাধন করতে পারে, দানবীর রাগীব আলী সেক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন।তারই অংশ হিসাবে গত ২৮ অক্টোবর/১২ ইং বৃটিশ-বাংলাদেশ হুজ’হু এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন মানবসেবায় নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব, প্রবাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশ- বিদেশে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পপতি আলহাজ্ব দানবীর রাগীব আলী। স্বাগত বক্তব্যে হুজ’হু সম্পাদক ব্যারিস্টার সাদত করিম বলেন, ‘ এই এ্যাওয়ার্ড প্রকাশনা বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির নবীনদের উৎসাহ যুগাবে এবং ভবিষ্যতে নবীনদের অবদান সংযোজিত হবে’। মানব সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ উল্লখিত এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে দানবীর রাগীব আলীকে অভিনন্দন জানানো যাচ্ছে। সৃজনশীল কর্মপাগল দানবীর রাগীব আলী শুধু তার নিজ গ্রাম, ইউনিয়ন, জেলা বা বিভাগেই নয়, সাড়া দেশের এমনকি বিদেশেও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে মানুষের কল্যাণে সাহয্যের হাত বাড়াচ্ছেন এবং সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা ও উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন। গত অক্টোর/২০১২ইং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও জনগণ তার সাহায্য ও উন্নয়ন কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে গণসংবর্ধনা দিয়েছিল। শুধু তাই নয় গত নভেম্বর ১২ মাসেও শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক হিসাবে তাঁকে ভারতের আসাম রাজ্যেও গণসংবর্ধনা দিয়েছিল। যা দেশ ও জাতির জন্য গৌরবের বিষয়।শুধু তাই নয়, তাঁর নিজ অর্থে গড়া শত শত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আজীবন টিকে থেকে তাঁর গুণকীর্তন করবে এবং এইসব প্রতিষ্ঠান থেকে অগণিত মানুষ উপকৃত হতে থাকবে এবং তাঁর জন্য দু’য়া করতে থাকবে। এই মহান কীর্তিমান পুরুষের নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না ইনশাল্লাহ। তাঁর মহৎ কীর্তিই তাঁকে যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখবে। চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।
সিলেট এর গর্ব ব্যতিক্রমী মানুষ দানবীর রাগীব আলী
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।