somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অলসতার দিনলিপি

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই পিএল এর মধ্যে আমার একটি সাধারন দিন। যারা আমার মত প্রথম শ্রেনীর অলস তারা মিলিয়ে দেখেন আমার সাথে কতটুকু মিলে।

ঘুম ভাঙ্গল সকাল(!) ১১.৩০ টায়।একটা মধুর স্বপ্ন দেখছিলাম। ঘুমটা ভেঙ্গে গেল একদম ক্লাইমেক্স এর ঠিক আগে।স্বপ্নটা রি-স্টার্ট মারার ট্রাই দিলাম অনেক্ষন ধরে, কিন্তু লাভ হল না। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। এদিকে তলপেটে প্রচন্ড চাপ পরেছে।ধুর ছাই!কেন যে বাথরুম চাপল এই রকম একটা সময়ে।মনে মনে ভাবলাম বাথরুম থেকে ফিরে আবার ঘুমটা রি-স্টার্ট মারতে হবে। অনেক কষ্টে দুলকি চালে বিছানা ছেড়ে উঠলাম।

আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে উঠলাম। মাথা ভর্তি উষকো খুষকো চুল। মুখে খোচা খোচা দাড়ি।চোখের নিচে কাল দাগ। আমাকে একটা কিম্ভুতকিমাকার জন্তুর মত লাগতেছে।

সাবানের কেসটা হাতে নিয়ে ঢুলতে ঢুলতে হাটতেছি।গন্তব্য ২০৬ নম্বর রুম থেকে বাথরুম। অনেকটা পথ হাটতে হবে।এই হাটতে হাটতে একটা ছোট্ট ঘুম দিয়ে দিলে কেমন হয়? একচোখ খোলা রেখে আমি ঘুম দেয়া শুরু করলাম।

বাথরুমে গিয়ে দেখি তিনটা টয়লেটই বুকড।শুরু হল এক বিচ্ছিরি অপেক্ষা। জগতের সবচেয়ে বিপদজনক অপেক্ষা কারে কয়!নিজেকে সান্তনা দিলাম প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের অপেক্ষা নিশ্চয় আরও যন্ত্রনাদায়ক।

অনেক্ষন পর জুনিওর একটা ছেলে বের হল টয়লেট থেকে। আমাকে দেখেই সালাম দিয়ে বসল। টয়লেটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সালাম দিলে কি করা উচিৎ, বুঝতে পারলাম না। কোন কথা না বলে নিজ কর্মে মন দিলাম।
ওম শান্তি! শান্তি! শান্তি! জগতের সকল প্রানি শান্তি লাভ করুক।

রুমে ফিরে দেখলাম ঘুমের সেই নেশাটা আর নেই। স্বপ্নের ডাটাগুলোও হারিয়ে গেছে। কিছুতেই মনে করতে পারলাম না।কিন্তু মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে।
ক্যাফেটেরিয়াতে সকালের নাস্তা সেরে যখন ফিরি তখন ঘড়িতে ১২.৩০ টা বাজে। এদিকে হল-এর দুপুরের ডাইনিংও চালু করে দিয়েছে। একে ব্রেকফ্রাস্ট বলব নাকি ব্রেকলাঞ্চ বলব বুঝতেছি না।

দুপুর ২.৩০ টার সময় ডাইনিং-এ খেতে গেলাম। খেতে খেতে আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি লবন ছাড়া ঘাস খাচ্ছি।আফসোস হল, ইস! যদি গরু হতাম এই ঘাস-ই আরাম মত খেতে পারতাম। যাহক, অনেক কষ্টে বমি আটকে রেখে এই একপ্লেট ঘাস-ই ডাল দিয়ে চোখবুজে খেয়ে ফেললাম।
রুমে ফিরে দুপুরের ঘুমের ইন্তেজাম শুরু করলাম।আহ কি শান্তি! আয় ঘুম আয়!

ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল হয়ে গিয়েছে। আমরা তিনজন রুমমেট একসাথে বের হলাম। পলাশীতে গিয়ে আমার জনৈক রুমমেট সিদ্ধ ডিম খাওয়া শুরু করল।তিনি সাথে সাথে এর পুষ্টিগুন এবং উপকারিতা সম্পর্কে তার জ্ঞানভান্ডার আমাদের সামনে তুলে ধরতে লাগলেন।আমি মুগ্ধ হই তার এই জ্ঞানগর্ভমুলক কর্মকান্ডে। বেশী কথা না বাড়িয়ে আমিও একটা নিলাম। দেখি কেমন উপকার হয়।
সন্ধ্যা ৭.০০ টার দিকে রুমে ফিরে আসলাম। এখন মুভ্যি দেখার সময়। আমার আরেক রুমমেট তামিল মুভ্যির খুব ফ্যান। শুরু হল তামিল মুভ্যি …………………………
(তারপর আর মনে নেই)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৫২
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×