ডাচ-বাংলা ব্যাংক নাকি দেশের টপ কয়েকটা ব্যাংকের মধ্যে একটি। তাদের ব্যবসার প্রধান দিকই হলো নাকি বুথের ব্যবসা। তারা পথে-ঘাটে, মাঠে-ময়দানে এ.টি.এম বুথ খুলে ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। কিন্তু অতি দু:খের ব্যাপার হলো, আমাদের এই মহান ব্যাংকের এ.টি.এম বুথে প্রায়ই টাকা থাকেনা।
আজ একটা কাজে জিন্দাবাজার গিয়েছিলাম। মানিব্যাগে সামান্য কিছু টাকা, পকেটে ব্যাংকের এ.টি.এম কার্ড। প্রখর রোদে মাথা-মুতা কিচ্ছু ঠিক নেই, এরকম সময় এক বন্ধু হঠাৎ ফোন করল, বলল তার নাকি এই মূহুর্তে তিন হাজার টাকা দরকার। মেজাজটা পুরাপুরি বিলা হয়ে গেল! তাকে জিন্দাবাজার চলে আসতে বলে আল-হামরার সামনে খাদ্য অফিসের বিপরীতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এ.টি.এম বুথে ঢুকলাম টাকা তোলার জন্য। মেশিনে কার্ড ঢুকিয়ে পাসওয়ার্ড পাঞ্চ করে টাকার অংক লিখে 'ইয়েস' বাটনে চাপ দিলাম, প্রায় পনের সেকেন্ড কোন সাড়া নেই, হঠাৎ 'খট' করে কার্ড বের হল এল, স্ক্রিনে লেখা দেখাল, 'এই মূহুর্তে তোমারে টাকা দেওয়া যাইবে না, ভাগ এইখান থাইকা।'
মেজাজ এমন খিঁচড়ে গেল যে বলার মত না!
চলে গেলাম বারুতখানা, ব্যাংকের মূল ব্রাঞ্চে। সেখানে গিয়ে আমি হতবাক, বুথে টাকা নেই! যে ব্যাংকের নাকের ডগায় দাঁড়ানো বুথে টাকা থাকেনা সেটা কি ধরণের ব্যাংক, তাদের কর্মকর্তারা সারাদিন কাজ করে না বসে বসে ..ল ছিড়ে এসব বলতে বলতে মনের ঝাল ঝেড়ে বুথ থেকে বের হয়ে এলাম।
যাই হোক, শেষ কথা হল, এই ব্যাংক বছর শেষে পাই পয়সা হিসেব করে গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে সার্ভিস চার্জ কেটে নেয়, আর এই হল তার সার্ভিসের নমুনা?
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গুষ্ঠি কিলাই!!!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২০