বিয়ের পর আমি যেহেতু আমার স্বাধীনতা হারিয়েছি তাই স্বাধীনতার বিপক্ষে আমার এখনকার অবস্থান। তাই পছন্দও করি স্বাধীনতা বিরোধীদের। বাংলাদেশেও একটা দেশ, আবার এর স্বাধীনতা নিয়ে এত হম্বিতম্বি- এসব আমার একদম ভালো লাগে না। আরে ভাই দেশ স্বাধীন হয়েছে তো কি হয়েছে- আপনার কি কোন উপকার হয়েছে? আমার হয়েছে? উত্তর একদম সোজা। আর তা হলো হয়নি।
যাক্ যে কারণে মতি ভাইকে (প্রথম আলোর মতিউর রহমান) এত ভালো লাগে তা হলো তার পাবলিক কমিউনিকেশন্স আর বিজনেস পলিসি। তিনি যতটা না সম্পাদক তার চেয়ে বেশি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার। শুনেছি তার লেখা পত্রিকায় দেওয়ার আগে নিউজ এডিটর থেকে শুরু করে অনেকেরই দেখে দিতে হয়। রাজনৈতিক পালা বদলের সঙ্গে উনার আদর্শও গিরগিটির মতো রং বদলায় পত্রিকার কাটতির স্বার্থে।
একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সে অর্থে ডক্টরেট ডিগ্রি পেতে পারেন এক সময়ের এই কমিউনিস্ট নেতা।
এবার আসল কথায় আসি। আপনারা কেউ কি গত ২৯ অক্টোবর দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত মতিউর রহমান নিজামীর সাক্ষাৎকার পড়েছেন?
মতিউর রহমান নিজামী একজন দক্ষ এবং শিক্ষিত লোক। বলতে পারেন মেধাবীও। শালিনতা বজায় রেখেই তিনি কথা বলেন। আমাদের দেশের দুই শীর্ষ নেত্রীর মতো উল্টা-পাল্টা অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন না। খারাপ কথা শুনলে বলেন- নাউজুবিল্লাহ, ভালো কথায় আল হামদুলিল্লাহ। একজন পাক্কা মুসলমান। তিনি যখন কথা বলেন তখন মিথ্যাচারের চেয়ে সত্যাচার বেশি থাকে।
তো ওই সাাৎকারের এক পর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার জন্য সেক্টর কমান্ডারদের ফোরামের আন্দোলনের কারণে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে কিনা?
উত্তরে তিনি বলেন, “আমি এ ব্যাপারে মোটেই উদ্বিগ্ন নই। দেখুন ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে দৈনিক জনকণ্ঠ ‘এই রাজাকার সেই রাজাকার’ শিরোনামে একটি সিরিজ অব ক্যাম্পেইন চালাচ্ছিল। তখন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান সাহেব (ড. মতি) আমার এখানে এসেছিলেন। তার সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমি তাকে বলেছিলাম দেখবেন এই প্রোপাগান্ডা আমাদের জন্য শাপে বর হবে। সাধারণ জনতা ইমান-আকিদা পোষণ করে, আল্লাহ-রাসূলের প্রতি বিশ্বাস রাখে।”
সেদিন আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব মাওলানা নিজামী স্যারের সঙ্গে কমরেড ড. মতির কি কথা হয়েছিল সে বিষয়টি আমার প্রচণ্ড জানতে ইচ্ছে করছে। কাল সারারাত এ জন্য ঘুমোতে পারি নাই!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪