somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মজার একটি অভিজ্ঞতার কথা সত্য ঘটনা

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার জীবনের মজার একটি অভিজ্ঞতার কথা সত্য ঘটনা আমি সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। আমার নাম মোঃ মশিউর রহমান, আমার স্থায়ী ঠিকানা: চওড়া, সাতদরগা বাজার, পীরগাছা, রংপুর। ০৯ আগষ্ট ২০০১ ইংরেজী সাল থেকে আমি ঢাকায় (মালিবাগ চৌধুরীপাড়া) অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছি। আমার পেশা হচ্ছে একধরনের আসক্তি অথবা নেশাও বলতে পারেন। আর সেই আসক্তি বা নেশা হচ্ছে কম্পিউটার কে ঘিরে। ঢাকায় দীর্ঘ জাবিত জীবনের মধ্যে প্রথম সময় গুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তে কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে কাজ করা, সাংবাদিকতা করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, টুডি, থ্রিডি এনিমেশন, ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, ওয়েব ডিজাইন সহ বিভিন্ন কাজ বিভিন্ন ফার্মে করতে করতে একটা সময় অফিসিয়াল কাজ গুলো কমিয়ে দিয়ে আমার বাসার কম্পিউটারেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সীং এর সাথে জরিত হয়ে ধিরে ধিরে এত্তো ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি যে, বন্ধু বান্ধবী দের সাথে আড্ডাও ঠিক মতো দিতে পারতাম না। আমার নতুন অভিজ্ঞতার গল্পটা হল: আমি থাকি আমি সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ছোট্ট মেসে গত মার্চ ০৯ সময়ে একজন মেস †g¤^vi আমার মেস ত্যাগ করার কারনে প্রয়োজন হল নতুন একটি মেস †g¤^vi, মেস †g¤^vi আবশ্যক বিজ্ঞপ্তি দেয়ার ফলে পেয়ে গেলাম নতুন মেস †g¤^vi, ওর নাম তুষার, গ্রামের বাড়ী ব্রাহ্মনবাড়ীয়া, প্রেম করতো আমার পাশের মহল্লায়, নাম আনিকা, পাশাপাশি মহল্লায় থেকে ডেটিং করতে সুবিধা বলে জানালো তুষার। যাইহোক আমার একটা অনলাইন প্রজেক্টে এ প্রায় এক লক্ষ টাকা বিল হল, আমার কর্মচারীদের দেওয়ার জন্য মে ০৯ মাসে, মোটামুটি সবাইকে বিল পরিশোধ করার পর আরও ২৫ হাজার টাকার মতো তখনো পরিশোধ করতে বাকী। আমি মুলত ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এ লেনদেন করি। ¯^vfvweK ভাবে ২/৪ শত টাকা পকেটে থাকে, যখনি বেশি টাকার প্রয়োজন হয়, তখন এটিএম বুথ থেকে তুলে প্রয়োজনীয় কাজ করি। আমি ১১/০৬/০৯ তারিখে আমার একটি বন্ধু সহ র্ফামগেটে কয়েকটি মাল্টিমিডিয়া সিডি কিনতে গেলাম, টাকার প্রয়োজন হলো ১২ শত টাকা, পর্যাপ্ত টাকা কাছে ছিলনা বলে র্ফমগেট সেজান পয়েন্টের এটিএম বুথ এ টাকা তুলতে ঢুকলাম, কার্ড মেশিনে ডুকিয়ে আমি আকাশ থেকে পড়লাম, মাত্র ৫৪৪ টাকা আছে আমার একাউন্টে যা বের হবেনা, আমার জানামতে আমি সর্বশেষ টাকা উঠিয়েছিলাম গত ০৪/০৬/০৯ তারিখে, মানিব্যাগ খুজে পেলাম সেই ০৪ তারিখের রশিদ, ওখানে দেখলাম আমার সর্বশেষ টাকা ছিল ২৫,৫৪৪ টাকা, কিন্তু বাকি টাকা কোথায় গেল???? চিন্তায় পড়ে গেলাম!! ২৫ হাজার টাকা কোথায় গেল। পরে সর্বশান্ত হয়ে বুথ থেকে বেড়িয়ে আমার বন্ধুর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে তখনকার কাজ টি সারলাম। পরে বাসে চরে চলে আসছি মৌচাক, বাসে থাকতে থাকতে মনে হল, আমি মনে হয় ভুল দেখেছে সেজান পয়েন্টের বুথে, এই ভেবে মৌচাকে চেক করলাম এটিএম মেশিনে, সেম নিউজ, তখন বাজে বিকাল ৫টা, ব্যাংকে গিয়ে তল্লাশী করার মতোও সময় নাই, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার, মেজাজ টা আরো খারাপ হয়ে গেল, ব্যাংকে গিয়ে তল্লাশী করতে পারবো রবিবার, অর্থাৎ ৩ দিন পর, চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়লাম, কিভাবে এটা সম্ভব? ব্যাংকের কোন ডাটাবেজ এ কোন ত্রুটি দেখা দিল ?, নাকি আমি কোন সময় সেই টাকা টি উঠিয়েছি যা আমার মনে পড়ছেনা, আমি এক্কেবাড়ে কনফিউস্ট, সময় কাটছে না, চোখে ঘুম ধরছে না, কাজ বাজ ভাল লাগছে না। কবে রবিবার আসবে, আমার সময় না কাটলেও সময় তার নিজ গতিতে বহমান, শেষ মেষ রবিবার আসলো, আমি চলে গেলাম দিলকুশা ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এ, এর পর ব্যাংকের অফিসার কে জানালাম ব্যাপার টা, উনি আমার একাউন্ট চেক করলো, এবং দেখলো যে গত ০৪/০৬/০৯ এবং ১১/০৬/০৯ তারিখের মাঝ খানেও ৩ বার টাকা উঠানো হয়েছে এটিএম কার্ড পান্স করে, তখন আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছি না, আমিই কি করলাম যা, আমার মনে নেই? এর পর ব্যাংক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাস করলাম যে, উক্ত ৩ বার টাকা উঠানোর সময় গুলো বলুন তো, উনি কম্পিউটারের ডাটাবেজ দেখে বল্লেন: সকাল ৬ টা থেকে সকাল সারে ৯ টার মধ্যে হয়েছে এই কাজ, তখন আমি নিশ্চিত হলাম যে, এই ট্রানজেকশন আমি করি নাই, কারন: আমি প্রতিদিন রাত ৪/৫ টার সময় ঘুমাই, এবং ঘুম থেকে উঠি দুপুর ১১/১২ টায়। এই সময়ের মাঝ খানে এই কাজ টি হয়েছে। যা আমি করি নাই, কোন অনলাইন ফ্রিলান্সার এর কোটি টাকার কাজ থাকলেও তাকে দুপুর ১২ টার আগে সজাগ পাওয়া যায় না, ব্যাংকের অফিসার আমাকে জিজ্ঞাস করলো যে, আপনার রুমে কে কে থাকে? আমি বল্লাম: আমি ব্যতিত আরো ২ জন, উন্নি বল্লেন যে, তাহলে উক্ত ২ জনের একজন এই কাজটি করেছে কোন ভাবে আপনার পাসওয়ার্ড টি জেনে নিয়ে, আমি তখন ২ জনের কাউকেই সন্দেহ করতে পারছি না, কারন ২ জনই আমাকে সমান ভাবে ভালবাসে, আমিও ভালবাসি, তাদের কেউ এই কাজ করতে পারে না, কিন্তু ২ জনের ১ জন তো নিশ্চিত এই কাজটি করেছে, চিন্তুা করলাম, কিন্তু পাসওয়ার্ড টা পেল কিভাবে? আমি মোবাইল এও সেভ করিনি, কম্পিউটারের কোন জায়গায় সেভ করিনি.. চিন্তায় অস্থির হয়ে পরলাম, যাইহোক, অফিসারকে জিজ্ঞাস করলাম, আমি এখন কি করতে পারি? উনি জানালেন, নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করে তাদের খরচের টাকা + ভ্যাট দিয়ে সন্দেহকৃত ট্রানজেকশন গুলোর ভিডিও ক্লিপ নিয়ে কম্পিউটারে প্লে করে দেখতে পারেন কে আপনার এই ট্রানজেকশন গুলো কে করেছে। আমি আবদেন করলাম। সাধারনত ৭ দিন এর মধ্যে এই ভিডিও ক্লিপ দেওয়ার কথা থাকলেও, কেন যেন লেট করছে তারা দিব দিচ্ছি করে, অবশেষে ২৬/০৬/০৯ তারিখে ডিবিবিএল ডাটা সেন্টার থেকে আমাকে টেলিফোন করলো যে, ভিডিও ক্লিপ নিয়ে যেতে। আমি তৎক্ষনতাৎ চলে গেলাম, ব্যাংকে গিয়ে দেখি, তখনো আমার ভিডিও ক্লিপ এর সিডি রেডি করছে, আমি ভিডিও ইডিটরের পাশের চেয়ারে বসলাম, আমার চিনতে একটু দেরি হলনা আমার এটিএম কার্ড পান্স করে টাকা চোরকে। আমি বিশ্বাস-ই করতে পারছিলাম না, এই তুষার কিভাবে এই কাজ করতে পারলো। আমি ভিডিও সিডি নিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসছি, মনে হচ্ছে এখন আমি যা যানি, তাকি তুষার জানে? আর যদি জানে, তাহলে তো ও বাসা থেকে পালিয়ে যাবে। তাই দ্রুত বাসায় ফিরছিলাম, রাস্তায় জ্যাম, মনে হচ্ছে, পাখির মতো যদি উড়ে যেতে পারতাম বাসায়!!! এনিওয়ে বাসায় ফিরলাম, ফিরে দেখি তুষার বাসায় নেই, ক্লাসে গেছে, আমি এই প্রথম আমার অপর ১ জন রুমমেটকে জানালাম যে, এই ঘটনা, যা তাকে আগে বলিনি, কারন আমার সন্দেহ ছিল দুই জনের যে কোন একজন হবে, কিন্তু আজ নিশ্চিত হলাম। যদি তাকে আগে বলতাম, তখন যদি সেই এই কাজ টি করে থাকতো, তাহলে তো সে বাসা থেকে পালিয়ে যেত। এই ভয়ে এই প্রথম তাকে জানালাম, আমি ফোন করে মহল্লার আমার আরো কিছু বন্ধুদের খবর দিলাম। তারাও এসে হাজির। বাসায় আমরা ৮/১০ জন অপেক্ষা করছি, কখন তুষার আসবে, ক্লাস শেষ করে। ইতিমধ্যে ওই ভিডিও ক্লিপটি সবাই মিলে কয়েকবার কম্পিউটারে প্লে করে দেখলাম, কয়েকজন বন্ধু বল্ল, মানুষ কি এতো খারাপ হতে পারে?? আহ আহ, রাত ৮ টা, তুষার বাসায় ফিরলো, তুষার জিজ্ঞাস করলো, কি ব্যাপার বাসায় এত্তো মানুষ? আমি ওকে পাল্টা জিজ্ঞাস করলাম, আপনার আজ ফিরতে এত্তো দেড়ি কেন? ও বল্লো আর বলবেন না, ক্লাস শেষ করে একটু আনিকার সাথে ডেটিং এ বেড়িয়ে ছিলাম, আমার বন্ধুরা সবাই হা হা হা হা করে হাসি দিল, এর পর আমি জিজ্ঞাস করলাম, আচ্ছা, তুষার- আপনি আমার এত্তো বড় ক্ষতি কিভাবে করতে পারলেন? সাথে সাথে তুষার বুঝে ফেলেছে, যে আমি কি বলতে চাচ্ছি। একটু ভেকাচেকা খেয়ে আবার ¯^vfvweK হয়ে ফিরতি জিজ্ঞাস করলো, আমি আবার কি ক্ষতি করলাম আপনার?
মশিউর: আপনি কি কিছু আন্দাজ করতে পারছেন না?
তুষার: নাতো?
আমি একটু বাড়িয়ে বল্লাম: আপনার কি করে এতো সাহস হলো আমার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উঠানোর?
তুষার: আপনার ব্যাংক একাউন্ট?..... তার আমি কি জানি?
মশিউর: নাহ..! সত্যি আপনি কিছুই জানেন না.. জানলে তো এতো কিছুর কিছুই হতো না?
তুষার: মানে ?.... কি জানি না, কিসের এতো কিছু?
মশিউর: নাহ, আমি আসলে বলতে চাচ্ছি, আপনি জানেন না যে, যে কেউ যখন এটিএম বুথ এ টাকা উঠায় তখন ৪ পাশ থেকে কয়েকটি ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে, বুথ রুমে ডোকা বের হওয়া পর্যন্ত সময় কালীন।
তখন তুষার আবারও একটু ভ্যাকাচ্যাকা খেয়ে বলল: কি আবল তাবল বলছেন, কিসের ভিডিও ক্যামেরা, কিসের এটিএম বুথ, আমি তো এসবের কিছুই বঝতে পারছি না।
মশিউর: কিছুই বুঝতে পারছেন না, তো একটু কম্পিউটারের মনিটরে চোখ রাখুন, আপনার অতীত কর্ম আপনার চোখের সামনে এখনই ভেসে উঠছে।
ভিডিও প্লে করলাম, প্লে হবার ৩/৪ সেকেন্ড পরেই তুষার এর এতো ঠাট বাট, এক্কেবারে ধুলোয় মিশে গেল,
তুষার: মশিউর ভাই প্লিজ অফ করেন এই ভিডিও, আমি সব বলছি, বলে পায়ে ধরলো ও ঁেকদে ফেলল।
তুষার: ভাই আপনার এই বন্ধুদেরকে চলে যেতে বলেন আমি আপনাকে সত্যি ঘটনা খুলে বলি কেন এই কাজ আমি করেছি।
মশিউর: ওরা যাবেনা, আপনি বলেন কি এমন আপনার ঘটনা।
তুষার: তাহলে শোনেন: আমার গালফ্রেন্ড এর সাথে আমার যে রিলেশন সেই রিলেশন চলতে চলতে একসময় তার সাথে আমার ফিজিক্যালী রিলেশন হয় তাতে তাঁর প্যাগনেট এ পরিনত হয়, উক্ত সময় তার ওই প্যাগনেট অবস্থা টি অপসারনের জন্য বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন হয়, আমি টাকার জন্য অনেক বন্ধুদের কাছে ঘুরেছি, কেউ আমাকে টাকা ধার দেয় নাই, অবশেষে আমি এই কাজ করতে বাধ্য হই।
মশিউর: আপনি আমার পাসওয়ার্ড জানলেন কিভাবে?
তুষার: আমি দেখেছি আপনি একদিন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ঘাটতেছিলেন, ওই খানে আপনার ডিবিবিএল এর খাম আমার চোখে পরে, তখন আমি চিন্তা করলাম আপনার পাসওয়ার্ড টি ওই খামের ভিতরে থাকতে পারে,পরে যখন আপনি রুমের বাহিরে ছিলেন, তখন আমি ওই খাম টি আবার বের করি এবং এক পর্যায়ে পেয়ে যাই, এর পর আপনি যখন সকাল বেলা ঘুমিয়ে থাকেন তখন আমি আপনার মানিব্যাগ থেকে কার্ডটি নিয়ে বুথ থেকে এই কাজটি করেছি, আমি চিন্তুা করছিলাম যে, আমার হাতে টাকা এলেই, আমি আপনার অজান্তে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা গুলো জমা করে দিতাম।
মশিউর: হুম,,,, আপনি তো প্রথমে শিকার-ই হচ্ছিলেন না যে এই কাজ আপনি করেছেন, আপনি আবার পরে টাকা একাউন্টে জমা করে দিবেন? এটা আমাকের বিশ্বাস করতে বলেন?
তুষার: ভাই বিশ্বাস করেন? আমি এই চেয়েছিলাম।
মশিউর: যাইহোক, আমার একটি টেলিটক এর সিম কার্ড খুজে পাচ্ছিনা, ওই টা নিশ্চিত আপনি নিয়েছেন?
তুষার: না বাই, আমি কোন সিম কার্ড নেই নি।
মশিউর: যেহেতু সিম কার্ড টি নেওয়ার কোন প্রমান আমার হাতে নাই, তাই এর জন্য আমি আর বেশি কিছু বললাম না।
এর পর আমার বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, তুষারকে আমরা কেউ কোন চর-থাপ্পর মারবো না, তুষার পাওনা টাকা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যাবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক তুষার ৩/৪ দিন এর মধ্যে টাকা পরিশোধ করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
আমি জুলাই মাসের ৮ তারিখে টেলিটকের অফিসে গিয়ে সিম কার্ড টি উঠিয়ে নিলাম। এর পর সিম টির ব্যালেন্স চেক করলাম, দেখি ৬৮ পয়সা আছে, কিন্তু আমার যতদুর মনে পরে ওই সিম কার্ডে ৮৮ টাকা থাকার কথা, আমার সন্দেহ হল, এই সিম কার্ড টি নিশ্চিত তুষার-ই ব্যবহার করে টাকাগুলো শেষ করে সিমকার্ড টি ফেলে দিয়েছে। ব্যপারটি নিশ্চিত হবার জন্য গত জুন মাসের ইন আউট কল রেকর্ড চাইলাম কর্তৃপক্ষের কাছে, আমাকে ২০ মি: পরে রিপোর্ট দিলো, দেখলাম জুন মাসের ৩ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন-ই কল করা হয়েছে এই সিম থেকে, আমি সাধারনত ওই সিম দিয়ে মাসে ৫/৬ টি কল করি। এত্তো কল তো আমি করি না, এবং ওই আউটগোইং bv¤^vi সবগুলোই আমার অপরিচিত। ওই bv¤^vi গুলোতে দেখলাম সব চেয়ে বেশি কল হয়েছে ২টি bv¤^v‡i, আমি এর প্রথম টায় কল দিলাম: অপর প্রান্ত থেকে ভয়েজ পেলাম মেয়ে মানুষের, আমি সন্দেহ করে জিজ্ঞাস করলাম, আনিকা বলছেন?
আনিকা: হ্যাঁ, আপনি কে বলছেন?
মশিউর: সেটা জানার দরকার নাই।
কলটি কেটে দিলাম।
দিতিয় b¤^iwU‡Z কল দিলাম, অপর প্রান্ত থেকে বয়স্ক মানুষের কন্ঠ পেলাম।
আমি সন্দেহ করে জিজ্ঞাস করলাম: তুষারের বাবা বলছেন?
বাবা: হ্যাঁ, কে বলছেন?
মশিউর: সেটা জানার দরকার নেই।
এর পর আমার সন্দেহের পূর্নতা পেলাম। আমি বনানী থেকে ফেরৎ আসছি। এর মধ্যে উক্ত ব্যক্তিদ্বয় তুষারকে ফোন করে জানায় যে, একটি bv¤^vi থেকে ফোন করেছিল, বললাম কে বলছেন, বলে যে সেটা জানার দরকার নাই।
তুষার: ঠিক আছে, কোন bv¤^vi থেকে ফোন করেছিল, bv¤^vi টা দাও তো?
এর পর তুষার bv¤^vi টি মোবাইলে ডায়াল করে কল সেন্ট করতেই মোবাইলের স্ক্রীনে আমার নাম ভেসে উঠল: তুষার তখক্ষনেও বুজতে পায় নি, আমি তাদের bv¤^vi কিভাবে পেলাম, হয়তো পেয়েছে, তাই আমাকে ফোন করলো:
তুষার: বাসায় ফোন করেছিলেন কেন?
মশিউর: আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে, তাই আপনাকে ফোন করবো, ভুলে আপনার বাবার bv¤^v‡i ফোন করে ফেলছি, তার পর আবার আনিকার bv¤^v‡i ফোন করে ফেলছি, এর মধ্যে আমার ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে, তাই আর আপনাকে ফোন করতে পারি নাই, যাই হোক আপনি ফোন করছেন, ধন্যবাদ, আপনি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন?
তুষার: কোথায়, কখন?
মশিউর: জাকির হোটেল, আজ বিকাল ৫টায়?
তুষার: ওকে।
বিকাল পাঁচটায় তুষার এসে আমার সাথে জাকির হোটেলে মিট করলো,
মশিউর: আমি আপনাকে যত দেখছি তত মুগ্ধ হচ্ছি, যে মানুষ এতো খারাপ হতে পারে?
তুষার: মানে?
মশিউর: আপনি বলছিলেন সিম কার্ড টি আপনি নেন নি, আর আমি সেদিন প্রমানের অভাবে আপনাকে কিছু বলতে পারিনাই, আজ প্রমান জোগাড় করে দেখলাম, এই সিম তো আপনি নিয়ে ছিলেন?
তুষার: কি রকম?
মশিউর: এই দেখেন, আপনার করা কল এর রেকর্ড, যা আপনি কোন কোন সময় কোন কোন b¤^‡i কল করেছিলেন, এর মধ্যে আপনি বেশি কল করেছিলেন আপনার গালফ্রেন্ডকে, এবং আপনার বাবাকে, আমি সন্দেহ করে, এই দুইটি bv¤^v‡i ফোন করে নিশ্চিত হয়ে, আপনাকে বলছি।
তুষার: আপনি এত্তো................!!!!
মশিউর: আমি থাকি তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে, এটাই আমার নেশা-আশক্তি, তাই আমার চোখে ফাঁকি দেয়া এত্তো সোজা না। যাইহোক এর জন্য আপনাকে আবার সিমের দাম, ব্যালেন্স, জরিমানা দিতে হবে না। আমি জাস্ট আপনাকে প্রমান করলাম আপনি ক্যামন মিথ্যা কথা বলতে পারেন। যাক কষ্ট করে আমার কাছে এসেছেন চা খান।
তুষার: মশিউর ভাই, আপনি গ্রেট।
এর পর তুষার কোথায় কেমন আছে, মাঝে মধ্যে ইয়াহু মেসেঞ্জোর ও মেবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে জানায়, একদিন একটি এসএমএস দিয়ে আমাকে জানিয়েছিল ও আনিকা কে বিয়ে করে ফেলছে।
প্রিয় পাঠক আমি তুষার কে কোন চর-থাপ্তর, লাত্থি-গুরি, উত্তম-মাধ্যম, কিছুই দেই নি, আপনি হলে কি করতেন? কমেন্স করে যান। ধন্যবাদ
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×