বহুদিন হল ব্লগে উঁকি দিইনি। আমি যে খুব লিখি তা কিন্তু নয়। আমার লেখার সংখ্যা লজ্জা উদ্রেককর রকমের কম। আমি অন্যের সৃষ্টিশীলতায় মুগ্ধ হয়ে অনেক বেশী সুখী হই। থাক্ সে কথা। আজকে সুস্মিতার লেখাগুলো দেখছিলাম। আসলে ওর "সকাল" লেখাটাই সব থেকে উপরে ছিল বলেই হয়তো। অনেকদিন পর ব্লগের প্রসঙ্গ পরিবর্তন হতে দেখে প্রথমেই মনটা প্রসন্ন হল।সুসিমতাকে ধন্যবাদ। "সকাল" লেখাটার মূলত: একটা অংশ খুব বেশি সত্য;অন্তত: আমার জীবনে তো বটেই। কোন অংশটা একটু পরে বলছি। এ লেখাটি পড়েই ওর আরেকটি লেখা পড়লাম।এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের (মূলত: আমাদের দেশের অপার সম্ভাবনাময় তবে সুযোগ বঞ্চিত একটি বিশেষ গোষ্ঠী যারা অনেকেই ধৈর্য্য শেষ অবধি ধরে রাখতে ক্লান্তবোধ করে খুব সঙ্গত কারণেই) নিয়ে লেখাট। খুব মন খারাপ লাগল। খুব সহজ ভাষায় আমাদের দেশের অতি সহজ অনেক দু:খের ক্ষাণিকটুকুর একটু ছিটেফোঁটা গায়ে লাগল। আমাদের নিজেদের সংগ্রামের প্রতিটি প্রহর কি রকম স্বার্থপর কিংবা অদ্ভুত বধির করে দেয় আমাদের কিংবা চেতনার অধিকতর অন্ধত্বও চোখগুলোকে অনেক বেশী অগভীর করে তোলে অহোরাত্র । নিজেকে ছাড়া আর কিছু দেখার সময় হয়না কিংবা দেখিনা। দেখলেও সে সময়ের স্বল্পত্ত্ পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততার কিছু আগের মুহূর্তের স্বল্পতর চরম উতসাহব্যঞ্জক (এ্যপিফ্যানি বোধ বলা যায় একে) ক্ষণেরও কিছু কম। আমিও হয়ত ব্লগটা পাঠানোর কিছু আগেই অধিকতর ব্যস্ত হয়ে উঠব ব্লগটার পোষ্ট হওয়ার পরের অতিশয় অকিঞ্চিতকর সম্ভাব্য ফলাফলের চিন্তায়। আসলে সুস্মিতার সে কথাটাই সত্য। কত কিছুই এখনও বাকি পড়ে রইল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ২:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




