‘নাগরী’ উপন্যাসের আখ্যান মৌলিক নয়, পৌরাণিক ঋষ্যশৃঙ্গ’র আখ্যান অবলম্বনে রচিত। মৌলিক আখ্যানকে ভিত্তি করে রচিত হলেও আখ্যান বিন্যাসে এসেছে বিস্তর পরিবর্তন। ‘নাগরী’র মধ্যে মূল আখ্যানের প্রচলিত ধর্মীয় ও অলৌকিক ঘটনা বা বিশ্বাস না খুঁজে এটিকে একটি বাস্তবধর্মী উপন্যাস হিসেবে পড়াই যুক্তি সঙ্গত, কেননা বর্তমানের এই বিজ্ঞানের যুগে বসে যদি একই আবর্তে থেকে সে-কালের অলৌকিক ঘটনা বা বিশ্বাসে আস্থা রাখি বা অবাস্তবতাকে মেনে নিই, তবে আর এই পুরোনো আখ্যান নতুন করে লেখার কোনো অর্থ হয় না। বাস্তবের পথে হেঁটে লেখক-স্বাধীনতা নিয়ে উপন্যাসের আখ্যান বিন্যাস করা হয়েছে অলৌকিকতা বর্জন করে। সঙ্গত কারণেই আখ্যানের পরিণতিও হয়েছে ভিন্নভাবে।
তবে মূল আখ্যানের ভেতরে তৎকালীন সমাজ-সভ্যতার যে গুপ্ত ঐতিহাসিক সত্য আছে; তা খুঁড়ে কিছুটা বিস্তৃত রূপ দিতে গিয়ে প্রাচীন ভারতের মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ইত্যাদি তুলে ধরতে হয়েছে। আর তা করতে গিয়ে মূল আখ্যানের নির্দিষ্ট চরিত্রের বাইরেও অনেক কাল্পনিক চরিত্র সৃষ্টি করতে হয়েছে এবং চরিত্রগুলোকে রক্ত-মাংসে গড়েপ্রাণ প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন সমাজ-সভ্যতায় লালন করে মূল চরিত্রগুলোর সঙ্গে একই সুতোয় গাঁথতে হয়েছে।
মিশু মিলন
রচনাকাল: ২০১৬ সাল।
প্রকাশক: সুপ্রকাশ প্রকাশনা (কলেজ স্ট্রীট, কলকাতা)
প্রচ্ছদ শিল্পী: সৌজন্য চক্রবর্তী
সুপ্রকাশের ফেসবুক লিংক-
সুপ্রকাশ প্রকাশনা
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১১