somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোকছেদের অন্তর্যাতনা

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোকছেদ যখন উদয়পুর ইউনিয়নের কোভিড-১৯ টিকা ক্যাম্প থেকে বের হয় তখন দুপুর, আষাঢ়ের ঝাঁ চকচকে রোদ আর ভ্যাপসা গরম, সাদা-কালো ছাপার হাফহাতা জামাটা ধোয়ার পর আজই পড়েছে, সেটি এখন ঘামে ভিজে চপচপ করছে, পরনের লুঙ্গিখানাও ধোয়া, পায়ের স্যান্ডেল জোড়া অবশ্য একটু পুরোনো আর মলিন। দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর টিকাকক্ষে ঢুকলে এক দিদিমণি তার হাত থেকে টিকা কার্ড নিয়ে কিছু লেখেন, আরেকজন তাকে চেয়ারে বসতে বলেন, তারপর তিনি বাহুতে টিকা দেন। তার একটু ভয় লাগছিল, করোনার টিকা, কত কথা ভেসে আসে কানে, যদি কিছু হয়ে যায়! তার খারাপ কিছু হয়ে গেলে বউ আর ছেলে-মেয়ে দুটোর কী হবে! না, কিছুই হয়নি তার, ইনজেকশন নিলে যেমন ব্যথা লাগে, তেমনই একটু ব্যথা লেগেছে। দিদিমণি আধা ঘণ্টা বারান্দায় বসে যেতে বলেছেন, কিন্তু ক্যাম্পের বারান্দায় ভিড় আর গরম, সে মাঠটা পেরিয়ে অশ্বত্থ গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে টিকা নেবার ইচ্ছে তার ছিল না, সুবোধ মাস্টার টিকার উপকারিতা সম্পর্কে তাকে অনেক বুঝিয়েছেন। তাছাড়া সেও যখন দেখে যে পাশের দুটো গ্রামে তিনটে লাশ এসেছে ঢাকা থেকে, কাকাঘুষায় শোনা গিয়েছে যে তারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে; আর তাদের উপজেলাতেও কয়েকজনের করোনা আক্রান্ত হবার কথা তার কানে আসে, তখন সে আবারও সুবোধ মাস্টারের কাছে যায় এবং মাস্টার তাকে কারো কথায় কান না দিয়ে টিকা নিতে বলেন।

‘বেজায় গরম!’ অচেনা এক প্রবীণ এসে দাঁড়ান গাছতলায়।

‘হ ঘাইমে নায়ে উঠিচি।’ প্রবীণের সঙ্গে একমত হয় মোকছেদ।

তার পরিচিত শিবুলাল এসে দাঁড়ায় গাছতলায়, সেও টিকা নিতে এসেছে, সে কৌতুহলী চোখে মোকছেদকে জিজ্ঞেস করে, ‘টিকা নিছো?’
সে মৃদু হেসে বলে, ‘হ নিলাম।’
‘ব্যতা পাইচো?’
‘বেশি না, ইনদেকশন নিলি যেমন লাগে, তেমন।’
‘কহানে নিচো?’
মোকছেদ ডানহাত দিয়ে তার জামার বাম হাতা উপরে ঠেলে দিয়ে বলে, ‘এই যে এহানে।’
শিবু বেশ আগ্রহের সঙ্গে দেখে, কী বোঝে কে জানে! তারপর বলে, ‘কী টিকা দিচে তুমার, ম্যাডোনা না ইশটুজিনিকা ‘
‘তা তো কবার পারিনে?’
‘বলদ কুনহানকার, জানতি অয় না! তা এহন কেমন লাগতেছে? মাতা-টাতা ঘুরতেছে নাকি?’
ধুলো ঝাড়ার মতো বলে মোকছেদ, ‘না, কিচ্ছু না। মনে সাহস নিয়ে যাও।’
‘ভগবান ভরসা।’ বলে লাইনের দিকে এগিয়ে যায় শিবুলাল।

মোকছেদ একটা বিড়ি ধরায়, কড়া তামাকের গন্ধ ছড়ায় বাতাসে। বিড়িতে টান দিয়ে ভাবে, আসলেই সে একটা আস্ত বলদ, টিকার নামটা জানা উচিত ছিল। তার পরিচিত তাইজুল এসে গাছতলায় দাঁড়িয়ে একই প্রশ্ন করে, ‘টিকা নিচো?’

‘হ, ম্যাডোনা টিকা।’ বলতে পেরে নিজেকে চালাক মনে হয় মোকছেদের।

তাইজুল ঠোঁট উল্টায়, চোখ বড় বড় করে, তারপর বলে, ‘ম্যাডোনা তো জবর টিকা, করোনা মরে ভূত অয়ে যায়!’

একটা ইজিবাইক আসতে দেখে মোকছেদ হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে থামার, প্রায় পুড়ে শেষ হওয়া বিড়িটা মাটিতে ফেলে স্যান্ডেলের তলায় পিষে ইজিবাইকে উঠে পড়ে। সাড়ে ছয় কিলোমিটার দূরে তার বাড়ি, বছর তিনেক আগে পদ্মার ভাঙনে তার বাড়ি বিলীন হয়ে গেলে এই এলাকায় এসে নতুন বসতি গড়েছে। পেশায় সে দিনমজুর।

বাজারে এসে থামে ইজিবাইক, এরপর আর ইজিবাইক যায় না; এখান থেকে তার বাড়ি আরো সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে, পাকা রাস্তার মাথা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ভ্যানে যাওয়া যায়, তারপর যেতে হয় হেঁটে। তবে সে দশটা টাকা বাঁচিয়ে পুরো রাস্তাটুকুই হেঁটে যাতায়াত করে। বাড়ির পথে না গিয়ে বাজারের ভেতরে যায় সে, কিছু দরকারী সদাই কিনতে বলেছে বউ। বাজারের গলিতে প্রবেশের মুখে মাওলানা মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে দেখা হয়, মাওলানা মোহাম্মদ বুজুর্গ মানুষ, ওয়াজ করেন, খুব বিখ্যাত না হলেও এলাকায় বেশ পরিচিত। গত বছর ধানের বতরে মাওলানা মোহাম্মদের বাড়িতে প্রথম কামলা খাটে সে, তারপর পাট আর গমের সময়ও কিছুদিন কাজ করেছে। মোকছেদ সালাম দেয়, সালামের উত্তর দিয়ে মাওলানা মোহাম্মদ বলেন, ‘কেমন আছিস?’

‘আলহামদুলিল্লাহ, আপনার দোয়ায় ভালো আচি।’

কেউ কেমন আছো বা আছেন জিজ্ঞেস করলে যে প্রথমে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়, এটা তাকে শিখিয়েছেন মাওলানা মোহাম্মদ। তিনি তাকে আরো অনেক ইসলামী আদব-কায়দা শিখিয়েছেন, সে-সবের কিছু কিছু মেনে চলার চেষ্টা করে মোকছেদ, তবে অনেক সময়ই ভুলে যায়।

‘কই গেছিলি?’ জানতে চান মাওলানা মোহাম্মদ।
‘করোনার টিকা নিবার গিছিলাম।’
‘তুই টিকা নিছিস?’
‘হ।’
‘নাউজুবিল্লাহ,নাউজুবিল্লাহ!’
বিব্রতবোধ করে মোকছেদ, অনেকেই তো টিকা নিচ্ছে, সেও নিয়েছে, তাহলে তার ভুলটা হলো কাথায়!
সে বোকার মতো বলে, ‘ভুল অইচে হুজুর?’
‘আলবত ভুল অইছে, সর্বনাশ করছিস তুই!’
সে ভয়ে ভয়ে বলে, ‘ক্যান হুজুর?’
‘তুই শুনিস নাই, করোনার টিকা শুয়োরের রক্ত দিয়ে বানাইছে?’
‘না, হুজুর।’

‘তা শুনবি ক্যান, মুরুক্ষু তো! তার ওপর বাড়ি করছিস মালাউন গ্রামের কাছে, ইসলামী বয়ান শোনা দূরির কতা, পাঁচ ওয়াক্ত আজানও তো তোর কানে যায় না! এই টিকা ইসলামের জন্যি হারাম! তাছাড়া এই টিকা নিলি বীযর্ নষ্ট অয়ে যায়, বাচ্চা অয় না, যৌনশক্তি হারায়ে যায়! ইহুদী-নাসারারা ষড়যন্ত্র করে এই টিকা আনছে যাতে মুসলমানগের ঈমান নষ্ট অয় আর মুসলমানরা যৌনশক্তি হারায়ে বাচ্চা জন্ম দিবার না পারে! মুসলমান জনসংখ্যা কমানোর এইডা একটা বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র! আর তুই একটা গাধা, তাই সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিছিস!’

শুকরের রক্ত দিয়ে টিকা তৈরির কথা শুনে মোকেছেদের একটু খারাপ লাগে, কিন্তু যৌনশক্তি হারিয়ে ফেলার কথা শুনে সে রীতিমতো ভড়কে যায়! তার বয়স মাত্র বিয়াল্লিশ, জীবনের কত সাধ-আহ্লাদ বাকি! বউটা এখনো তরুণী, শরীরে খুব তাগদ, এখন তার যৌনশক্তি হারিয়ে গেলে বউকে আর ধরে রাখতে পারবে না যতই দুই সন্তানের মা হোক!

সে কাতর কণ্ঠে বলে, ‘এহন আমি কী করবো হুজুর?’

‘কী আর করবা, অক্ষম হয়ে বসে থাকবা! তোমাগের মতো আহাম্মকের এমনই অয়! যাও আল্লাহ আল্লাহ করো।’

বিরক্ত মাওলানা মোহাম্মদ চলে যান। মোকছেদের গলা যেন শুকিয়ে আসে, প্রচণ্ড তৃষ্ণা অনুভব করে, তার মনে হয় এই তৃষ্ণার কারণ নিশ্চয় করোনার টিকা, নইলে এত তৃষ্ণা পাবে কেন তার! কান্না পায় মোকছেদের, অসহায় বোধ করে, জীবনে সে এতটা অসহায়বোধ কখনো করেনি, পদ্মায় বাড়ি গ্রাস করলেও না।

ঘোরের মধ্যে বাজারের কলতলায় গিয়ে মুখ লাগিয়ে পেট ভরে জল পান করে লুঙ্গিতে মুখ-হাত মুছে সেলিমের দোকানে যায় মোকছেদ, বউ যা যা নিতে বলেছে তার কয়েকটা মনে করতে পারলেও সবগুলো মনে পড়ে না। সদাই নিয়ে রেলগেটে এসে দশ টাকা বাঁচানোর চিন্তা না করে ভ্যানে চড়ে বসে। চলন্ত ভ্যানের ওপর সে বসে থাকে মূক হয়ে, কোনোদিকে তার মনোযোগ নেই, মাথার ভেতর ঝড়ের মতো কেবল একটি চিন্তাই ঘরপাক খায়- সত্যিই কী তার যৌনশক্তি হারিয়ে যাবে! ভ্যান থেকে পাকা রাস্তার মাথায় নেমে ভাড়া মিটিয়ে হাঁটতে শুরু করে সে, হাঁটতে হাঁটতে নিজের ওপর রাগ হয়, নিজেকে বলদ মনে হয়। তারপর তার রাগ গিয়ে পড়ে সুবোধ মাস্টারের ওপর, মনে মনে গালাগালি দেয় সুবোধ মাস্টারকে- ‘শালার বিটা মালাউনের বাচ্চা সুবোধ মাস্টেরের কথা শুনে আজ আমার ধর্ম নষ্ট অলো, আর যৌনশক্তি হারালি সংসারডাও যাবেনে, আমার সংসার ভাঙলি মালাউনের বাচ্চারে আমি জবাই করব!’

তার মনে হয়, সুবোধ মাস্টার নয়; টিকা নেবার মত এমন গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত নেবার আগে মাওলানা মোহাম্মদ কিংবা মসজিদের ইমামের মতো বুজুর্গ মানুষের পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেই বুদ্ধি তার মাথায় আসেনি, না আসার এটাও একটা কারণ যে তার বাড়ির দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো মুসলমান নেই আর মসজিদ সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে বাজারে। সস্তায় জমি পেয়ে হিন্দু অধ্যুসিত গ্রামের বাইরের মাঠের মধ্যে সে বাড়ি করেছে, এখন সবকিছুর জন্য তার অনুশোচনা হচ্ছে।

গ্রাম পেরিয়ে মাঠের ভেতরের বাবলা গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ায় সে; পিছন দিকে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই, সামনেও না। বামহাতে বাজারের ব্যাগ ধরে ডানহাতে নিজের পুরুষাঙ্গ মুঠো করে ধরে জাগাতে চেষ্টা করে। কী কারণে কে জানে, পুরুষাঙ্গ জাগে না, হয়ত জাগার মতো কোনো প্রেক্ষাপট তৈরি না হওয়ায়। কিন্তু আরো বিমর্ষ হয়ে পড়ে মোকছেদ, ইচ্ছে করে বাবলাগাছে মাথা ঠুকতে! পুরুষাঙ্গ থেকে হাত সরিয়ে আবার পা চালায় সে, বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে স্ত্রী রাহেলাকে দেখতে পায়, রাহেলা রান্নাঘরের বারান্দায় বসে কী যেন করছে, বাড়িতে ঢোকার মুখে বুঝতে পারে গতকাল ভাঙানো গমের আটা চালছে রাহেলা।

মোকছেদ শোবার ঘরের বারান্দায় হাতের ব্যাগটা রেখে ঘরে যেতে যেতে বলে, ‘জলদি ঘরে আসো।’
‘ক্যা?’ জানতে চায় রাহেলা।
‘দরকার আছে, জলদি আসো।’ জামার বোতাম খুলতে খুলতে বলে মোকছেদ।
‘আটা কয়ডা চালে আসি।’
‘মাগী তুই আসপি, নাকি তোর আটার গুষ্টি ঠাপাবো!’ ক্ষোভের সঙ্গে জামাটা দড়ির ওপর ছুড়ে ফেলে মোকছেদ।

রাহেলা চালুনি রেখে হাতের আটা ঝেড়ে গজগজ করতে করতে দ্রুত পায়ে ঘরে এসে মোকছেদের দিকে তাকায়। মোকছেদ দরজা বন্ধ করে রাহেলার ঠোঁট কামড়ে ধরে, ক্ষিপ্র হাতে শাড়ি টেনে খোলে এবং ছায়াও, তারপর ব্লাউজ খুলতে বলে। রাহেলা হঠাৎ স্বামীর এমন আচরণে হতবাক হয়ে ব্লাউজের বোতাম খুলতে খুলতে বলে, ‘কী অইচে তুমার? এই ভরদুপুরি কী দেহে এমন আউস জাগচে!’
‘খোল তাড়াতারি।’ ধমক দেয় মোকছেদ।

মোকছেদের যেন তর সয় না, রাহেলার হাত থেকে ব্লাউজটা নিয়ে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে রাহেলাকে বিছানায় ফেলে দেয়।
চুম্বন নয়, যেন কামড়ায় রাহেলার ঠোঁট ও মুখমণ্ডল; হাত দিয়ে আদর নয়, যেন খাবলায় রাহেলার শরীর; বেপরোয়া মোকছেদ যেন গোখরোর ছোবল হানে! রাহেলা ব্যথা পায় শরীরে, আর মনে জাগে শঙ্কা- কি হলো তার স্বামীর? তার শান্ত-শিষ্ট স্বামী হঠাৎ এমন উন্মাদের মতো আচরণ করছে কেন? পাগল হয়ে গেল নাকি?

ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়, উঠোনের পাশের খুঁটিতে বাঁধা পোয়াতি ছাগলটা ডেকে ওঠে। রাহেলার মনশ্চক্ষে ভেসে ওঠে- ছাগলটা ভিজছে, বৃষ্টির ছাট লাগছে গামলার আটায়, গোয়াল ঘরের বেড়ায় ঠেকিয়ে রাখা গোবরের লাঠিগুলো ভিজছে, ভিজছে আড়ে মেলে দেওয়া শুকনো কাপড় আর দক্ষিণের বেড়ায় গুঁজে রাখা মাসিকের ত্যানাও!

নিজের কাছে নিজের যৌনশক্তির পরীক্ষায় উৎরে যাবার পরও রাহেলার শরীরের ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে অন্তর্যাতনায় কাতর মোকছেদ ভবিষ্যতে যৌনশক্তি হ্রাস পাবার আশঙ্কায়!



ঢাকা
নভেম্বর, ২০২১।






সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২১
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×