somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেবদ্রোহ (উপন্যাস: পর্ব- তেরো)

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আট

দু-দিন পূর্বে কল্পককে সঙ্গে নিয়ে পাতাল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন কুথান; আর ঋষি অত্রি, দেবতা বায়ু, লেখ ও অপ্সরাগণ গতকাল প্রত্যুষে স্বর্গের পথে যাত্রা করেন। দেব আর অপ্সরাগণ চলে যাবার পর বেণ তাঁর স্ত্রী হংসপাদা এবং পিতা-মাতাকে বলেন নতুন গৃহে প্রবেশ করতে। হংসপাদা প্রথমে নতুন গৃহে উঠতে চাননি, পুত্র-কন্যা নিয়ে পুরাতন গৃহেই থাকতে চেয়েছিলেন। তার এই চাওয়া যে অভিমান থেকে তা বুঝতে পেরে বেণ গতকাল সারাদিন স্ত্রীর অভিমান ভাঙানোর জন্য নানা চেষ্টা করেন, শেষ পর্যন্ত হংসপাদার অভিমান ভাঙে গভীর রাতে অশ্রু বিসর্জন এবং দুজনের মিলনের মধ্য দিয়ে। হংসপাদা আজ পুত্র-কন্যাকে নিয়ে নতুন গৃহে প্রবেশ করেন, অঙ্গ আর সুনীথাও ওঠেন অপর নতুন গৃহটিতে। ভৃত্য মারীচ পুরাতন গৃহেই আছে।

প্রভাতে শয্যা থেকে উঠেই বেণ, হংসপাদা, অঙ্গ, সুনীথা আর মারীচ পুরোনো গৃহের গৃহস্থালির জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করেন। তাদের গৃহ বদলের কাজে সাহায্য করে প্রভাষ আর তার স্ত্রী সুহাসিনী। দিন গড়িয়ে বিকেল হলেও এখনো হংসপাদা ব্যস্ত গৃহের অন্দর-বাহির গোছাতে; তিনি খুব গোছালো নারী, সবকিছু সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করেন, কোথায় কোন জিনিসটি রাখলে দেখতে সুন্দর লাগবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। নিজে যেমনি পরিপাটী থাকতে ভালোবাসেন, তেমনি তার গৃহসজ্জাও হওয়া চাই নিখুঁত। তার শারীরিক গঠন ভালো, মেদহীন, নিরোগ, প্রচুর খাটতে পারেন। সেই ভোর থেকে সন্ধে অব্দি তার কাজ যেন ফুরোয় না! শাশুড়ি সুনীথাও সংসারের কাজে তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেন।

সুনীথা কিছুক্ষণ আগে নদী থেকে স্নান করে এসে ভেজা পোশাক বদলে উনুনের পাড়ে বসেন যবাশীর পিঠা তৈরি করতে, যবের ছাতু এবং দুগ্ধের ক্ষীর দিয়ে তৈরি যবাশীর পিঠা অধিকাংশ আর্য’র খুব পছন্দের খাবার। বেণ চারণভূমি থেকে ফিরে এসে গবাদীপশুগুলোকে খামারে ঢুকিয়ে দিয়ে স্নানাহার সেরে সরস্বতীর পারে গেছেন পুত্র পৃথুকে অশ্ব চালনা শেখাতে, যাবার সময় মাকে বলে যান যবাশীর পিঠা বানাতে। ছেলেবেলা থেকেই যবাশীর বেণের খুব প্রিয় খাদ্য। সুনীথা যবাশীর পিঠা তৈরি করে গৃহে রেখে দিলে ছেলেবেলায় বেণ চুরি করে খেয়ে ফেলতেন।

গত কিছুদিন যাবৎ পুত্র পৃথুকে অশ্বচালনা শেখাচ্ছেন বেণ, পুত্রকে তিনি নিজের মতো চৌকস করে গড়ে তুলতে চান যাতে সে ব্রহ্মাবর্তের মানবদেরকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারে। পৃথু’র বয়স আট বছর হলেও তার শারীরিক গড়ন বেশ মজবুত। প্রভাতে সে অরুণের আখড়ায় মল্লযুদ্ধের অনুশীলন করে আর অপরাহ্ণে পিতার কাছে অশ্ব চালনা ও তরোবারি চালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রথম কয়েকদিন বেণ পৃথুকে নিয়ে অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ করে সরস্বতীর পারে অশ্ব ছোটান, রজ্জু দেন পৃথু’র হাতে। তারপর একদিন পৃথুকে অশ্বে আরোহণ করিয়ে নিজে পাশে পাশে হাঁটেন। কিন্তু আজ আর নিজে পৃথু’র সঙ্গে অশ্বে আরোহণ করেননি, পাশে পাশে হাঁটছেনও না। পৃথুকে অশ্বে আরোহণ করিয়ে ওর হাতে রজ্জু ধরিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। বেশ জোরে অশ্ব ছুটিয়ে সামনের এগিয়ে যেতে থাকে পৃথু। অশ্বের গতি আরো বাড়াতে দেখে বেণ উচ্চকণ্ঠে বলেন, ‘পুত্র, অশ্বের গতি কমাও, রজ্জুতে টান দিয়ে গতি কমাও, এখনই অত জোরে অশ্ব ছুটিও না, পড়ে যেতে পারো।’

পৃথু পিছনে ঘাড় ঘুড়িয়ে পিতাকে আশ্বস্ত করতে বলে, ‘আপনি ভয় পাবেন না পিতা, আমি পড়ব না।’
বেণকে পিছনে ফেলে অনেকটা দূরে চলে যায় পৃথু, প্রায় অরণ্যের কাছাকাছি, হিংস্র জন্তু-জানোয়ার আক্রমণ করতে পারে ভেবে বেণ আবার হাঁক ছাড়েন, ‘পুত্র….. আর সামনে যেও না, ফিরে এসো।’

পৃথৃ পিতার শেষ কথাগুলো স্পষ্ট শুনতে না পেয়ে আরো অনেকটা এগিয়ে যায়, একেবারে অরণ্যের কাছে গিয়ে রজ্জু টেনে অশ্ব থামায়, ইচ্ছে করে অরণ্যে প্রবেশ করতে, তার অনেকদিনের আশা যে একদিন সে অরণ্যের ভেতর দিয়ে টগবগ করে অশ্ব ছুটিয়ে যাবে পিতার মতো। কিন্তু পিতা তাকে আগেই নিষেধ করেছেন অরণ্যে যেতে, অরণ্যে যাবার বয়স নাকি তার এখনো হয়নি, অরণ্যে গেলে নাকি তাকে বাঘে খেয়ে ফেলবে! অশ্বে আরোহণ করে গেলে বাঘে খাবে কেন তা বুঝে উঠতে পারে না সে। ইচ্ছে থাকলেও পিতার নিষেধ অমান্য করার সাহস পায় না বকা খাওয়ার ভয়ে, কেননা পিতা তাকে দূর থেকে দেখছেন। অরণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকে সে, বাঘ কি ভাল্লুক কোনো প্রাণিরই দেখা পায় না। কেবল নানা রঙের প্রজাপতির উড়ে উড়ে লতায়-পাতায় বসা আর পুনরায় উড়ে যাওয়া দেখতে পায়। একসঙ্গে এত প্রজাপতি সে কোনোদিন দেখেনি, তার ইচ্ছে করে অশ্ব থেকে নেমে প্রজাপতি ধরে অর্চির জন্য নিয়ে যেতে, এমন রঙীন প্রজাপতি পেলে অর্চি খুব খুশি হবে। কিন্তু অশ্ব থেকে লাফিয়ে নামতে পারলেও সে তো পুনরায় অশ্বে উঠতে পারবে না! সুতরাং অর্চির জন্য প্রজাপতি নিয়ে যাবার ইচ্ছে জলাঞ্জলি দিতে হয় তাকে। অরণ্যের বৃহৎ কোনো প্রাণির ডাকও সে শুনতে পায় না, কেবল পাখির কল-কাকলি আর ঝিঁঝিপোকার তীব্র ডাক শুনতে পায়। অপরাহ্ণ থেকে তাদের গৃহের আশপাশের ঝিঁঝিপোকারাও ডাকতে শুরু করে, তবে সে-ডাক এতটা তীব্র নয়। রজ্জু টেনে অরণ্যের দিক থেকে অশ্বের মুখ ঘোরায় সে, দূরে দৃষ্টি পড়তেই দেখতে পায় পিতা এগিয়ে আসছেন, হাতের ইঙ্গিতে তাকে ডাকছেন। অশ্ব ছোটায় সে, এবার আগের চেয়েও দ্রুত গতিতে, দেখতে দেখতে পিতার কাছাকাছি চলে আসে, গতি কমাতে কমাতে পিতার সামনে এসে দাঁড়ায়। বেণ পুত্রের অশ্বচালনা করা দেখে মনে মনে বেশ খুশি হন, মাত্র কয়েকদিনেই সে বেশ ভালোভাবেই অশ্ব চালনার কৌশল রপ্ত করে ফেলেছে, কিন্তু খুশি তিনি প্রকাশ করেন না, বলেন, ‘তুমি এখনো অনেক ছোট পুত্র, এত ছোট বয়সে এত দ্রুত গতিতে অশ্ব চালনা করতে নেই। পড়ে গেলে বিপদ হতে পারত।’

পৃথু কিছু বলে না, পিতার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। বেণ আবার বলেন, ‘তাছাড়া তুমি অত দূরে অরণ্যের কাছে কেন গিয়েছিলে? তুমি আমার ডাক শুনতে পাওনি?’
‘আমি তোমার কথা বুঝতে পারিনি পিতাশ্রী।’
‘আর কখনো অরণ্যের অত কাছে যাবে না।’
‘পিতাশ্রী আমি তো এখন ভালোভাবেই অশ্বচালনা শিখে গেছি, তুমি এরপর শিকারে যাবার সময় আমাকে নিয়ে যাবে?’
‘এখনি নয় পুত্র, শিকারে যাবার উপযুক্ত তুমি হওনি।’

তেজ কমে গিয়ে ক্রমশ কমলারূপ ধারণ করে সূর্য, অপরাহ্ণ রূপান্তরিত হতে থাকে গোধূলিবেলায়। বেণ বলেন, ‘চলো পুত্র, এখন গৃহে ফেরা যাক।’

বেণ পৃথু’র হাত থেকে অশ্বের রজ্জু নিজের হাতে নিয়ে আগে আগে হাঁটেন আর পৃথু’র উদ্ভট উদ্ভট সব প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন। বহির্ষ্মতীর কাছে আসতেই তাদেরই গোত্রের মধ্যবয়সী প্রমোদ কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে এসে বেণের সামনে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান, হাঁটু মুড়ে দু-হাত জোড় করে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে বলেন, ‘নৃপতি, বিচার করো নৃপতি, তোমার ওপর বিচারের ভার দিলাম। তুমি আমাদের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা।’

বেণ বলেন, ‘প্রমোদ দাদা, ওঠো, কী হয়েছে বলো।’

প্রমোদ মাটি থেকে মাথা তুলে কান্না জড়ানো গলায় বলতে থাকেন, ‘আমার সর্বনাশ হয়েছে নৃপতি, আমার পুত্র….।’

বুকের মধ্যে ছ্যাৎ করে ওঠে বেণের, প্রমোদ দাদার পুত্রের কিছু হয়েছে! সে কী মরে গেছে! আহা, পুত্রটি সবে কৈশোরে পা দিয়েছিল, বেশ বুদ্ধিমান।

বেণ বলেন, ‘প্রমোদ দাদা, তুমি ওঠো, শান্ত হও। কী হয়েছে বলো আমাকে?’
প্রমোদ বুক চাপড়াতে চাপড়াতে বলেন, ‘আমি কী করে শান্ত হব নৃপতি, আমার পুত্র বুঝি আর বাঁচবে না, আর যদিবা বাঁচে বাম চোখটা বুঝি অন্ধ হয়ে যাবে! ওর চোখে পাথর ছুড়ে মেরেছে!’

কিছুটা স্বস্তিবোধ করেন বেণ, যাক পুত্রটি তবে বেঁচে আছে। তিনি বলেন, ‘কে তোমার পুত্রের চোখে পাথর ছুড়ে মেরেছে? কেন মেরেছে? বলো আমাকে, আমি অবশ্যই অপরাধীর বিচার করব, তাকে দণ্ড দেব।’

‘আমার পুত্র ভদ্রক সবার সঙ্গে খেলছিল, খেলতে খেলতে সে একটা কচ্ছপ দেখে ধরে ফেলে, সেটা নিয়েই মারামারি বাঁধে। অশ্বিন আমার পুত্রের চোখে পাথর ছুড়ে মেরেছে। চোখ দিয়ে গলগলিয়ে রক্ত পড়ছে, পুত্র আমার ব্যথায় চিৎকার করে কাঁদছে।’
‘অশ্বিন!’

বিড়বিড় করে নামটি উচ্চারণ করেন বেণ। বিচার করবেন বলে কথা দিলেও নামটি শোনার পর নিজের অক্ষমতা বুঝে অসহায় বোধ করেন বেণ। অশ্বিন যে ব্রাহ্মণপুত্র, তিনি ক্ষত্রিয় রাজা কিভাবে তার বিচার করবেন? শাস্ত্রমতে ব্রাহ্মণের বিচার যে নৃপতি করতে পারেন না, ইহকালে ব্রাহ্মণের বিচার হয় না, ব্রাহ্মণের বিচার হবে পরকালে, স্বয়ং ঈশ্বর করবেন সে বিচার!

তিনি বলেন, ‘বদ্যিকে খবর দিয়েছ?’

‘হ্যাঁ, বদ্যি লতা-পাতা দিয়ে কী-সব করছে, আর আমার পুত্র আরো বেশি কাতরাচ্ছে ব্যথায়। বিচার করো তুমি নৃপতি।’
‘চলো, আগে তোমার পুত্রকে সুস্থ করা দরকার।’

অশ্বের রজ্জু ধরে হাঁটতে শুরু করেন বেণ, কাঁদতে কাঁদতে তাঁর পাশে পাশে হাঁটেন প্রমোদ।




(চলবে......)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×