somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গোধূলিবাড়ি (উপন্যাস: পর্ব-এক)

৩১ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক

আপনারা শুনলে হয়ত বলবেন- ‘অমিতাভ রায় মানুষ ভালো না।’ ভাববেন- অমিতাভ রায় একজন হৃদয়হীন অমানুষ। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, একজন মানুষ কখন তার নিজের স্ত্রীকে বলতে পারে, ‘তুমি মরতে পারো না? তবে তো তুমিও শান্তি পাও, আমিও শান্তি পাই!’ তাও আবার সেই মানুষের বয়স তখন ঊনসত্তর, যে বয়সে নানা কাজে সহায়তার জন্য, অতীতের স্মৃতিচারণা করবার জন্য, দুটো মনের কথা খুলে বলবার জন্য স্ত্রীকে কাছে পাওয়া খুবই দরকার! হ্যাঁ, আমি আমার স্ত্রীকে মরবার কথা বলেছি, তবে চল্লিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে ওই একবারই! আর তার আগে তাকে বিয়ে করার জন্য অনুশোচনায় সারাটা জীবন নিজেই নিজের কপাল চাপড়েছি, কখনো কখনো রেগে মাথার চুল টেনেও ছিঁড়েছি, একবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ক্ষোভে-দুঃখে অন্ধকারে শূন্যে লাথি ছুঁড়তে গিয়ে টিনের জগে লাথি মেরে পা থেকে রক্ত ঝরিয়েছি, একবার বিষ পান করতে গিয়েও করিনি বিষের যাতনার ভয়ে আর এই সুন্দর পৃথিবীতে আরও কিছুকাল থাকবার তীব্র আকাঙ্ক্ষায়! একবার মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গেলে, সংক্রান্তির সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী তুচ্ছ কারণে আমাকে বাড়ির সবার সামনে তীব্র কটু ভাষায় অপমান করেছিল, সেই অপমান সইতে না পেরে রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবার জন্য আমগাছে উঠেছিলাম, গাছের ডালে দড়ি বেঁধে গলায় পরবার সময় চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল সন্ধ্যায় মায়ের হাতে তৈরি দুধে ভেজানো মুগের পুলির পিতলের পাত্রটা, অমন সুন্দর দুধে ভেজা পুলি না খেয়ে মরে গেলে মা যে ভীষণ কষ্ট পাবেন, মুগের পুলি আমার প্রিয় বলেই তো মা আমার জন্য ঝাল আর মিষ্টি দু-ধরনের পুলি বানিয়েছেন, দুধে ভেজানো পুলি না খেয়ে আমি মরে গেলে সারা জীবন মা হয়ত আর মুগের পুলি-ই খাবেন না, মুগের পুলির প্রতি লোভ আর মায়ের কষ্টের কথা ভেবে গাছ থেকে দড়ি খুলে নিচে নামার পর পুকুরঘাটে গিয়ে বসে ছিলাম ভোর অব্দি! পাষাণী বউটা তবু একবারের জন্যও আমার খোঁজ করেনি! সে-রাতে পুকুরঘাটে বসে পৌষের কুয়াশায় ভিজতে ভিজতে আমার মনে হয়েছিল- এখনো জীবনের অনেক স্বাদ-গন্ধ গ্রহণ করা বাকি, কত কী দেখা বাকি, আর আমি কিনা কাপুরুষের মতো মরতে যাচ্ছিলাম একজন নারীর মানসিক নিপীড়নে অতিষ্ট হয়ে? সেই রাতে আমার উপলব্ধি হয় যে মানবজনম অতি দূর্লভ, এই দূর্লভ জনম হেলায় হারাবো না, বাঁচব, প্রতিকূল স্রোতেও জীবন উপভোগ করব আমার মতো করে। সেই রাতের পরে শত দুঃখ-কষ্টেও আর কখনো আত্মহত্যা করার কথা ভাবিনি।

বদরাগী এক পুলিশের জেদি মেয়েকে বিয়ে করেছিলাম আমি! তা বলে বলছি না যে সব পুলিশ-ই বদরাগী বা খারাপ চরিত্রের। কিন্তু আমার শ্বশুর ভদ্রলোক ছিলেন অতিমাত্রায় বদরাগী, দাম্ভিক আর ভয়ানক উচ্চাকাঙ্ক্ষী। ভয়ানক উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলছি এ জন্য যে খুব সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি অঢেল সম্পদ অর্জন করেন, তারপরও সম্পদ অর্জনের প্রতি তার ছিল তীব্র নেশা, আর এজন্য যে-কোনো মানুষকে ঘোর বিপদে ফেলতেও দ্বিধা করতেন না। নিরীহ মানুষকে বিপদে ফেলে, থাক ওসব কথা আর বলতে চাই না। এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্টের লোকদেরকে ‘ভদ্রলোক’ বলতে আমার বাধে। কিন্তু কী আর করা! নামের আগে ভদ্রলোক যুক্ত না করলে আপনারা আবার আমাকে বলবেন- ‘মানুষটা ভদ্রতা শেখেনি!’

আমার শ্বশুরের নাম গোপাল দত্ত। হুঁ, গোপাল না ছাই, সাক্ষাৎ শিশুপাল! শিশুপালকে চিনলেন না? না না, প্রতিমা গড়া পাল নয়, মহাভারতের এক দুর্বিনীত চরিত্র- শিশুপাল। চেদি রাজ্যের রাজা দমঘোষ এবং রানি শ্রুতস্রবার পুত্র। শ্রুতসবা ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের পিতা বসুদেবের বোন, অর্থাৎ কৃষ্ণের পিসিমা। কথিত আছে- শিশুপাল তিনটি চোখ ও চারটি হাত নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দমঘোষ ও শ্রুতস্রবা শিশুপুত্রকে ত্যাগ করতে চাইলে নাকি দৈববানী হয়- ‘শিশুপালকে ত্যাগ কোরো না, ওর মৃত্যুকাল এখনই আসন্ন নয়। যার স্পর্শে ওর অতিরিক্ত একটি চোখ ও দুটি হাত খসে পড়বে, তার হাতেই ওর মৃত্যু হবে।’ রাজপুত্র বলে কথা, যার-তার হাতে তো আর তার মৃত্যু হতে পারে না! তাই বিভিন্ন রাজ্যের রাজা ও রাজপুত্রের কোলে শিশুপালকে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু কারো স্পর্শেই ওর চোখ ও হাত খসে পড়ে না। এরপর একদিন বলরাম আর কৃষ্ণ পিসির বাড়িতে বেড়াতে এলে শিশুপালকে তাদের কোলে তুলে দেওয়া হয়, কৃষ্ণ কোলে নেবার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুপালের অতিরিক্ত একটি চোখ কপালে নিমজ্জিত হয় আর হাত দুটি খসে পড়ে। শ্রুতস্রবা তখন কৃষ্ণের কাছে বর প্রার্থনা করেন- কৃষ্ণ যেন শিশুপালকে হত্যা না করে ক্ষমা করেন। কৃষ্ণ তার পিসিমাকে কথা দেন যে- তিনি শিশুপালের একশো অপরাধ ক্ষমা করবেন, কিন্তু তারপর আর নয়!

এই কাহিনী নিছকই পৌরাণিক লোকগাঁথা, অস্ত্রপাচার ব্যতিত শুধুমাত্র কারো স্পর্শে হাত ও চোখ অপসারিত হওয়া অসম্ভব। বড় হয়ে শিশুপাল খুব দুর্বিনীত এবং দূরাচার হয়ে ওঠেন, কৃষ্ণের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতেন, একবার তো কৃষ্ণের রাজ্য দ্বারকা আক্রমণ করে আগুনও জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন যখন কৃষ্ণ প্রাগয্যোতিষপুর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এছাড়া শিশুপাল সবসময়ই কৃষ্ণের বিরোধীতা করতেন, কৃষ্ণের বিপক্ষ শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কৃষ্ণের ক্ষতিসাধন করতেন। হয়ত একারণেই কৃষ্ণ শিশুপালকে শাস্তি দিতে চাইলে তাঁর পিসি শ্রুতস্রবা পুত্রের অপরাধ ক্ষমা করার অনুরোধ করেন কৃষ্ণকে, তখন হয়ত কৃষ্ণ শিশুপালের একশো অপরাধ ক্ষমা করবেন বলে পিসিমাকে কথা দেন। বড়বেলার ঘটনার সঙ্গেই হয়ত অলৌকিক আখ্যান মিশিয়ে ছোটবেলায় জুড়ে দিয়েছেন পৌরাণিকগণ। যাইহোক, যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞে একশো একতম অপরাধ করে শিশুপাল কৃষ্ণের হাতে নিহত হন।

আমার শ্বশুর গোপাল দত্ত আমার কাছে ছিলেন সাক্ষাৎ শিশুপাল, তিনি পঁচাশি বছর বেঁচে ছিলেন বাপ-বেটি মিলে যন্ত্রণা দিয়ে আমার হাড় কালা করার জন্য! উচ্চতায় ছিলেন ছয় ফুট, ফর্সা গায়ের রঙ, মেদহীন শরীর। সারাক্ষণ মুখে রাগী রাগী ভাব ফুটে থাকত। কণ্ঠস্বর ছিল ভারী, প্রায় চেঁচিয়ে কথা বলতেন। ব্যক্তিত্ব আর বাচনভঙ্গীর দম্ভ ও রুক্ষভাব তার শারীরিক সৌন্ধর্য ম্লান করে দিত। দূর থেকে তাকে দেখে কেউ মুগ্ধ হলেও, কাছে গিয়ে কয়েক মিনিট তার সংস্পর্শে থাকলেই বিরক্ত হতো, তার থেকে দূরে যাবার জন্য হাঁসফাঁস করত। একে তো পুলিশ, তার ওপর এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে চেনাজানা মানুষ তাকে ভয় পেত এবং এড়িয়ে চলত। ব্যতিক্রম ছিল কেবল আমার স্ত্রী, সে তার বাবাকে ভয় পেত না! বরং আমার শ্বশুর মশায়ই তার মেয়েকে ভয় পেতেন! শুনেছি বিয়ের আগে আমার শ্বশুর তার কন্যাকে কোনো কারণে শাসন করলে জেদী কন্যা রেগে চিৎকার করত, দেয়ালে মাথা ঠুকত, হাতের রগ কাটতে চাইত এবং সবশেষে কাঁদত। এসব দেখে পিতা তার কন্যাকে আর ঘাটাতেন না, বরং কন্যার আদেশ তাকে পালন করতে হতো! বলা যায় কন্যা পিতাকে নিজের গর্ভজাত পুত্রের মতো শাসন করত!

আমার শ্বশুর ভদ্রলোকের ছাঁচে গড়া ছিল আমার স্ত্রী! একদম বাপকা বেটি! ওই যাকে বলে জাঁদরেল মহিলা, আমার স্ত্রী সেই রকম আর কী! তীরের মতো ভয়ানক ক্ষীপ্র আর একরোখা, জিকের আঠার মতো জেদী, হাত ফসকে মেঝেতে পড়া কাঁসার থালার মতো বাঁজখাই তার গলা! চেহারার গড়নও আমার শ্বশুরের মতোই, লম্বা, ফর্সা। নাক আর ঠোঁটের মাঝের লোমগুলো বারো-তেরো বছরের ছেলেদের সদ্য ওঠা গোঁফের মতো কালচে। এক নজর দেখেই তাকে সুন্দরী বলা যায়, কিন্তু সুন্দরের মাঝে একটু যেন রুক্ষতার প্রলেপ দেওয়া! রুক্ষসুন্দরী বউ আমার! প্রথম দেখাতেই আমার তাই মনে হয়েছিল। দেখে মায়া লাগে না, বারবার তাকিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে না। যে-কোনো বিষয়ে তার কথাই শেষ কথা, একেবারে দাড়ি টেনে দেয় সে, তার সিদ্ধান্তের পরে একটি বাক্য কিংবা শব্দও বলার সাধ্য নেই কারো। কী স্বামী-সন্তান, কী পাড়া-পড়শি, কী কাজের মেয়ে আর কী পুরোনো খবরের কাগজ কিনতে আসা ছোকরা, সবার সঙ্গেই একইরকম রুক্ষ মেজাজে বাক্য প্রক্ষেপণের স্বভাব তার!

আমি পুলিশের মেয়ে বিয়ে করবো, এমন ইচ্ছে আমার কোনোকালেই ছিল না। আমাদের শৈশব-কৈশোর-যৌবনের কালে গ্রামের কোনো ভদ্র পরিবার পুলিশের সাথে সহজে আত্মীয়তা করতে চাইত না। একটা ধারণা প্রচলিত ছিল যে- পুলিশ মানেই ঘুষখোর, দু-নম্বর লোক, রাগী, বউ পেটায়! এখন অবশ্য গণেশ উল্টে গেছে! জামাই হিসেবে পুলিশ মানুষের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকে উঠে এসেছে! সমাজের নীতি-নৈতিকতার মানদণ্ড চিরকাল তো আর একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না, বদলায়।

আমার বাবা ছিলেন অর্থ এবং ক্ষমতালোভী একজন মানুষ, সাংঘাতিক রকমের কৃপণও! কিছু লোক আছে- যোগ্যতা থাক বা না থাক সব ব্যাপারেই সকলের মধ্যমণি হয়ে থাকতে পছন্দ করে এবং মধ্যমণি হয়ে থাকতে নানান কায়দা-কসরত করে, নিজের মত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে পৃথিবী জয়ের সুখ পায়, সকলের ওপর কর্তৃত্ব ফলায়, বন্ধু নয়, স্বামী নয়, বাবা নয়, ভাই নয়, সন্তান নয়, পড়শি নয়, নিজের সংসারের কর্তা ও সমাজের মাতব্বর হয়ে থাকাই তাদের জীবনের লক্ষ্য এবং তাতেই তাদের পরম সুখ! আমার বাবাও তেমনি একজন মানুষ। পরিবারের কর্তা তো তিনি ছিলেনই, তারপরও সারাক্ষণ তার চিন্তা ছিল সমাজে নিজের মর্যাদা এবং ক্ষমতা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়। এমনিতে আমার বাবা বেশিদূর লেখাপড়া করেননি, ক্লাস থ্রি-ফোর পর্যন্ত পড়েছেন। কিন্তু তার বাকচাতুর্য ছিল অসাধারণ! কথার প্যাঁচে মানুষকে বেঁধে রাখতে পারতেন। বিকাল থেকে রাত সাতটা-আটটা পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতেন, এই সময়ে তিনি অন্তত চার-পাঁচ কাপ চা পান করতেন আর গোটা চারেক পান খেতেন, কিন্তু নিজের পয়সায় এক কাপ চা কিংবা একটা পানও নয়! আর কাউকে চা-পান খাওয়ানোর তো প্রশ্নই ছিল না। ভিলেজ পলিটিক্সের শিরোমণি ছিলেন বাবা, ছিলেন গ্রাম্য সালিশের মাতব্বর, ফলে সবাই তাকে হাতে রাখতে তোষামোদ করত, চা-পান খাওয়াতো। এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানও বাবাকে খুব তোষামোদ করে চলত। বাবাকে কখনো টাকা রোজগারের জন্য চাকরি-বাকরি করতে হয়নি আমার মতো। উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক পৈত্রিক সম্পত্তি পেয়েছিলেন, সেগুলোই দেখাশোনা করতেন, প্রয়োজন হলে বিক্রিও করতেন। নিজে কখনো মাঠে কাজ করেননি, কামলা খাটাতেন। প্রচুর ফসল হতো আমাদের। বারো মাস কাছের-দূরের তিন-চারজন হতদরিদ্র আত্মীয় আমাদের বাড়িতে থাকত, কাজ করত, খেতে-পরতে পারত। আমার ঠাকুরদার আমল থেকেই এই ব্যবস্থা দেখেছি, ফলে বাবা কৃপণ হলেও ব্যবস্থাটি চালু রেখেছিলেন। তাছাড়া বিনে পয়সায় শুধু তিনবেলা ভাত আর বছরে দু-বার কাপড়ের বিনিময়ে তাদেরকে দিয়ে উদয়াস্ত সংসারের কাজ করানো যেত, বেশ একটা জমিদারসুলভ আবহ বজায় থাকত বাড়িতে, ফলে ব্যবস্থাটি মন্দ কী! তখনকার দিনে গ্রামের অনেক স্বচ্ছল গৃহস্থবাড়িতেই এই ব্যবস্থা ছিল। এখনকার মতো কাজের অনেক ক্ষেত্র তখন ছিল না। এখন তো আমাদের গ্রামের নারীরাও বাড়িতে বসে থাকে না, উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ে গড়ে ওঠা কারখানায় কাজ করে। সকালে বাস গিয়ে তাদেরকে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে আসে, আবার সন্ধ্যার আগে কারখানা ছুটি হলে গ্রামে নামিয়ে দিয়ে যায়। এই যে আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তার পিছনে অবদান আছে গ্রামের এইসব নারীদের। আমাদের শৈশব-কৈশোর-যৌবনে এসব কেউ কল্পনাও করতে পারত না।



(চলবে......)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:৫৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ পিতা-মাতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি নেই, তাই শূন্য লাগে

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

তোমার চলে যাওয়ার পর
ঘরে আর আলো জ্বালাই না,
অন্ধকারে নিজের মতো করে
সবকিছু চিনে নেই।

জানো, আজ সকালে চা বানাতে গিয়ে দেখলাম
চিনি শেষ,
ভাবলাম ঠিক আছে,
মিষ্টি না থাকলেও চা হয়।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ
তোমার মতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি

লিখেছেন মুনতাসির, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

অনেকেই বলেন, ৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি। এই কথাটার সূত্র ধরেই এগোনো যায়। ৫ আগস্টের পর আমাদের কোন কোন পরিবর্তন এসেছে, সেটাই আগে দেখা দরকার। হিসাব করে দেখলাম, বলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসার দেয়াল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯



ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তেল আর জল কখনো এক হয় না......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



জুলাই ছিলো সাধারণ মানুষের আন্দোলন, কোন লিডার আমারে ডাইকা ২৪'এর আন্দোলনে নেয় নাই। কোন নেতার ডাকে আমি রাস্তায় যাই নাই। অথচ আন্দোলনের পর শুনি আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নাকি মাহফুজ। জুলাই বিপ্লবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×