ইয়াসরিব নগরীর ইহুদীরা খুব খারাপ ও অবাধ্য ছিল
কারণ, তারা পৃথিবীর একমাত্র সত্যধর্মকে স্বীকার করেনি
তাই তাদেরকে হত্যা, উচ্ছেদ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে
ওরা ইয়াসরিব নগরীতে সত্যধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে!
মক্কার কুরাইশরা অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল
তারা তিনশো ষাটজন দেবদেবীর মূর্তি পূজা ও পাথর প্রদক্ষিণ করত
তারাও পৃথিবীর একমাত্র সত্যধর্মকে স্বীকার করতে চায়নি
তাই তাদের মন্দিরের সমস্ত মূর্তি ধ্বংস ক’রে, তাদের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন ক’রে
ওরা মক্কাকে পবিত্র করেছে!
মিশরের বহুশ্বরবাদী পৌত্তলিক ও খ্রিষ্টানরা মৃত্যুর পর
বেহেশতে যেতে পারছিল না
তাই ওরা মিশর আক্রমণ ক’রে অবাধ্যদের হত্যা ও আত্মসমর্পণকারীদের
ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে তাদের মৃত্যু পরবর্তী বেহেশতগমন নিশ্চিত করে!
মধ্যপ্রাচ্যের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কী ভীষণ স্পর্ধা,
তারা বেহেশত থেকে পৃথিবীতে নির্বাসিত ফেরেশতা-
মালাইকা আত-তাউস’কে উপাসনা করত;
তাই ওরা শয়তানের উপাসনাকারীদেরকে হত্যা ও বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করে!
জীবিত ইয়াজিদিরা কেউ ইউরোপ-আমেরিকায় উদ্বাস্তু হয়েছে
কেউবা পৃথিবীর জাহান্নাম ইরাক-সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে শাস্তিভোগ করছে!
পারস্যের জরথুষ্ট্রবাদীরা অহুর মাজদাকে উপাসনা করত
তারা অজ্ঞান, তারা অন্ধ, তাই ওরা পারস্যে সত্যধর্মের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেছে-
জরথুষ্ট্রবাদীদের হত্যা, উচ্ছেদ ও ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে!
বহু ধর্ম, বহু ঈশ্বর, বহু মত ও বহু পথের পঙ্কিলে নিমজ্জিত ছিল ভারতবর্ষ
সপ্তশ্রেণির জাহান্নামে কাতারে কাতারে ভারতীয় কাফেরদের আর্তনাদ শোনা যেত,
ঊনিশজন ফেরেশতা ভারতীয় কাফেরদের শাস্তি দিতে দিতে গলদঘর্ম হ’য়ে উঠতেন!
ওরা কাফেরদের মুক্তি ও গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
ভারতবর্ষে হানা দিয়ে জিহাদ ঘোষণা করে
বহু মানুষকে ধর্মান্তরিত ক’রে তাদের সংস্কৃতি বদলে দেয়, এখনও জিহাদ চলছে।
বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসীরা ভীষণ বেয়াড়া
হাজারো হামলা-নির্যাতন সত্ত্বেও তারা সত্যধর্মে ঈমান আনতে রাজি নয়;
জাহান্নামে আগুনে পুড়বে, রক্তপুঁজ পান করবে, মৃত্যুহীন শাস্তি ভোগ করবে
তবু ধর্মান্তরিত হ’য়ে বেহেশতের অনন্ত সুখ ভোগ করতে চায় না!
ভারত ও বাংলাদেশের কাফেররা বুঝতে চায় না যে তারা ভুল পথে আছে, শিরক করছে
তাই ওরা তাদেরকে সত্যধর্মের পতাকাতলে আনতে জোরজুলুম ও তাকিয়ার আশ্রয় নেয়।
হিন্দু, ইয়াজিদি, জরথুষ্ট্র, বৌদ্ধ, জৈন, ইহুদী, খ্রিষ্টান, শিখ, সাংসারেকসহ
পৃথিবীর চার সহস্রাধিক ধর্ম এবং সংস্কৃতি মিথ্যা ও অবৈজ্ঞানিক
সংগীত, নৃত্যকলা, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালোবাসা সব মিথ্যা!
সত্য ও বৈজ্ঞানিক কেবল- ছয়দিনে পৃথিবী সৃষ্টির গল্প
চব্বিশ হাজার বার জিবরাঈলের আগমন, ওহি নাজিল
মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সত্যপুরুষের বেহেশত গমন ও সাত আসমানকাহন
অঙ্গুলি নির্দেশে চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করা, সমতল পৃথিবীর ধারনা!
তাই পৃথিবীর সকল মিথ্যা আর অবৈজ্ঞানিক ধর্ম ও সংস্কৃতি ধ্বংস ক’রে
ওরা সমগ্র পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করতে চায় একমাত্র সত্যধর্ম
ওরা বিশ্বাস করে ভিন্ন মত, ধর্ম ও সংস্কৃতি ধ্বংস ক’রে পৃথিবীকে বৈচিত্র্যহীন করার নামই-
সাম্যবাদ, ন্যায়বাদ, মানবতাবাদ, স্বাধীনতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা!
ঢাকা
১৫ অক্টোবর, ২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




