
ঢাকার ফুটপাত আমি থেকে কোনো কিছু কিনি না। এটা আমার এক ধরনের প্রতিবাদ। কারণ, এই হকাররা আমার স্বস্তিতে ও নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আমি হাঁটতে পছন্দ করি, কিন্তু ফুটপাতের ভিড়ের কথা মনে হলেই ঘর থেকে আর বের হতে ইচ্ছে করে না। শুধু ফুটপাত নয়, কোথাও কোথাও রাস্তার অর্ধেকের বেশি হকারদের দখলে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হয়।
হকাররা শুধু মানুষের স্বস্তিতে ও নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তাই নয়, ক্রেতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে, নারীরা কোনোকিছু দরদাম করে দামে না পোষালে অন্য দোকানের দিকে চলে গেলে অনেক বিক্রেতা ইঙ্গিতপুর্ণ কুৎসিত কথা বলে, নারীদের গায়েও হাত তোলে। সকালের দিকে যখন ক্রেতার চাপ থাকে না, তখন এরা আড্ডার মুডে থাকে, নারীদের দেখিয়ে নিজেদের মধ্যে কুৎসিত ইঙ্গিত করে, বডি শেমিং করে, রগরগে কথাবার্তা বলে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে সকালের দিকে গিয়ে ওদের ওপর নজর রাখতে পারেন। এর বাইরেও নানারকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এরা জড়িত। কোনো কোনো হকারের পাঁচ-ছয়টা দোকান আছে, কিশোর-যুবক কর্মী নিয়োগ করে সেগুলো চালায়। রাস্তার অর্ধেকের বেশি হকারদের দখলে থাকায় বাধ্য হয়ে পথচারীদের রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হয়, ফলে দুর্ঘটনা ঘটে, প্রাণহাণি হয়। বছর দশেক আগে আমার চোখের সামনে একজন রিক্সা আরোহীর প্রাণ গেছে, রাস্তার অর্ধেক হকারদের দখলে থাকার কারণেই প্রাণটি ঝরেছে।
আর আছে রিক্সাওয়ালা, জেব্রা ক্রসিংয়ে হাতের ইশারায় গাড়ী দাঁড়ায়, কিন্তু রিক্সাওয়ালার গতি একটুও কমে না। ঢাকার প্রায় প্রতিটা রাস্তায় উল্টোদিক দিয়ে রিক্সা চালায়। কোনোরকম আইন-কানুনের ধার এরা ধারে না। আর কী তীব্র গতি!
হকার আর রিক্সাওয়ালা, এই দুই শ্রেণি দুইটা সন্ত্রাসী বাহিনীর আকার ধারণ করেছে। এরা ভাবে এদের জনবল আছে, তাই এরা যা খুশি করতে পারে। করেও তাই। প্রায়ই দেখা যায়- কোথাও না কোথাও এরা প্রশাসনের ওপর হামলা চালায়।
একটা দেশের প্রশাসনের কী বেহাল দশা! রিক্সাওয়ালারা প্রশাসনের ওপর হামলা চালায়, হকাররা বৃষ্টির মতো ইট ছোঁড়ে, মেঘনার জেলেরা টেঁটা নিয়ে ধাওয়া করে, আর জুলাই জঙ্গিরা তো সাপের মতো পুলিশ পেটায়!
রিক্সায় চড়া পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যেহেতু বিকল্প কম। কিন্তু ফুটপাত থেকে কেনা বন্ধ করা সম্ভব। পুরান ঢাকা থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে এসে একটা শহরের যত্রতত্র বসে পড়া অপরাধ। এই অপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনা বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারতে হবে। নইলে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একদিন আপনার প্রাণটিও ঝরে তে পারে।
কোনো কমরেড বলতে আসবেন না যে ওরা খাবে কী, আপনারা বরং ওদেরকে কনডম উপহার দিন।
হকারের পেটে লাথি দাও
নিরাপদে হাঁটার স্বাধীনতা ফেরাও
৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



