( হাল্কা রম্য ট্যাগাংকিত )
ঢাকা কলেজে কেটেছে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলো , অবাধ স্বাধীনতার অতুলনীয় স্বাদ
পেয়েছি এখানে , বলতে পারেন ভাতৃত্ববোধের বিকাশের অনন্য স্থান ও বলতে পারেন ।
প্রথমবর্ষ সকাল আট ঘটিকায় ক্লাশ শুরু হত , নিতান্ত ভাল ছাত্রের ন্যায় সাত ঘটিকায় ফাল্গুনের লাইনের দাড়াতাম , একই সময়ে সিটি কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজের ক্লাশ থাকতো , কাহিনির সূত্রপাত এখান থেকেই ।
আমি একজন চশমিস , শুধু চসমিস বললে ভুল হবে সেই লেভেলের , দু-চোখেই -৫.৫০


কাহিনির সূত্রপাত চশমা থেকেই ।
একদিন বাসের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছি , সামনে ছিলেন এক লাস্যময়ী সুন্দরি মনোহরিণী
, উনি একটু পরে তার তার দীঘল কালো রেশমি চুল এলিয়ে দিচ্ছিলেন , মাঝেই মুখে এসে লাগছিল ,
অপূর্ব ভাল লাগায় মন ভরে উঠছিল


মনে হচ্ছিল আহ এই সকালের অপেক্ষায় তো থাকা।
তবে মহাজ্ঞ্যানিরা বলিয়াছেন “আকাশে মেঘ থাকিলে , সর্বদা বৃষ্টি হইবে তাহা সত্য নহে”
ওই সময়কার প্রচলিত ফ্যাশন ছিল এক ধরনের ঊড়না , যার শেষ প্রান্তে থাকত ঝালর দেয়া , একটু জালের মত বিন্যাস ।
এখন কাহিনিতে ফিরে আসি , লীলাবতী কৃষ্ণার আমার এই অতি সৌভাগ্য সহ্য হল না , বাস নির্ধারিত
সময়ের পুরবেই স্টপেজে এসে হাজির । সবই উঠছে , আমিও গুটি গুটি পায়ে লাস্যময়ি-মায়াবতির পিছনে পিছনে যাচ্ছি । লাস্যময়ী বাসের পাদানিতে পা রাখলেন , আমিও একটু এগিয়ে গেলাম , বাসে ঊঠার সময় কেমন ভিড় থাকে জানেন ইতো





লাস্যময়ী পাদানিতে দুপা উঠালেন আর তার অভ্যেস মত , বা হাত দিয়ে উড়না একটা ঝাকি দিয়ে তুলে নিলেন , পিছনে হতভাগা আমি


আমার চশমায় তার উড়নার ঝালর আটকিয়ে গেল


কোন মতে বাসে উঠলাম ,
একটু আল্টা ইস্মারট সেজে আংরেজি মুভির অনুকরনে বললাম “হেই গার্ল”
আমার ডাক শুনে যেই লুক দিল লাস্যময়ী , আমার অবস্থা হয়ে দাড়াল পাড়ার লাঠির বাড়ি খাওয়া নেড়ী কুত্তার মত


লাস্যময়ী সিটে গিয়ে বসলেন , আমি তার পিছু তার সিটের পাশে গিয়ে বললাম “আপুউউউ”
দেখলাম লাস্যময়ী যে কোন সময় বারস্ট হইবার পারে , আমি তাড়াতাড়ি তাহার ঝালরে আটকাইয়া থাকা আমার চশমা দেখিয়া বললাম “আমার চশমা”
লাস্যময়ী লজ্জায় লাল হয়ে তাহার ঝালর হইতে আমার চশমা অবমুক্ত করিয়া দিলেন , একটু হেসে কহিলেন স্যরি “ভাইয়া”
চশমা লইয়া একখানা সিট দখল করিয়া বসিলাম , কানে বাজিতেছে “ স্যরি ভাইয়া”


পরবর্তী
অনেক সময় এই সমস্যার সম্মুখীন হইয়াছি , সে আরেক ইতিহাস , আরেকদিন শোনানো যাইবেক