আজ সেই ভয়াল ২৯শে এপ্রিল।ভয়াল কেন ভাবছেন কারণ এই রাতের কথা মনে পারলে আমার গায়ের লোম এখনো খারা হয়ে যায়।এখনো আমার কানে বাজে ঘরের জানালার গ্ল্যাস ভাঙ্গার শব্দ, চোখে ভাসে সমূদ্রে পাড়ে পড়ে থাকা লাশ,গাছের উপড়ে ঝুলে থাকা লাশ চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ। আমি আপনাদের কাছে আমার কথা বলছি ১৯৯১ সালে সেই রাতে আমি কোথায় ছিলাম। আমি তখন চট্টগ্রামে ছিলাম, কারন আমার বাবা তখন চাকরি করাতো চট্টগ্রামে, সেই সুবাদে আমরা সবাই বাস করতাম চট্টগ্রামে। আমি তখন ৫ম শ্রেনিতে পড়ি। প্রতিদিনের মতো আমি স্কুলে যাই।সেই দিন আকাশটা ছিল মেঘলা,স্কুলে যাওয়ার পর একটি ক্লাশ হওয়ার পর সাররা স্কুল ছুটি দিয়ে দিল। আর সাররা বললো তোমারা বাসাই যেয়ে যারা সমুদ্রের কাছাকাছি থাকো তারা একটু সাবধানে থাকবে।তখন আমি বাসাই চলে আসি।আর আসার পথে চারিদিকে শুধু মাইকের শব্দ।সেই মাইকিং মনে হয় তেমন কারো কানে তুলে নাই, কারন সেই দিন ছিল ১০ নম্বর সিগ্ন্যাল।সবাই বলাবলি করছিল এর আগেও নাকি এরকম ১০ নম্বর সিগ্ন্যাল হয়েছে তেমন কিছুই হয় নাই।আর রেডিও টেলিভিশনে ৫ মিনিট পরপর বুলেটিং কারছে।খবরে আগে থেকে বলে দিয়েছিল রাত ৮টার পর থেকে কারেন্ট থাকবে না।তাই আমরা সবাই রাত ৮টার আগেই খাওয়া দাওয়া সেরে আগেই ঘুমানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।ঠিক যথারিতি ৮টার সময় কারেন্ট চলে গেল।আমরা সবাই ঘুমিয়ে পরেছিলাম।ঠিক রাত ১০টা থেকে আস্তে আস্তে বাতাস শুরু হলো।আমরা সবাই ঘুম থেকে জেগে গেলাম।এর পর শুরু হয়ে গেল ঝড় আর বাতাসের তীব্রতা বাড়তে শুরু করলো, বাতাসের তীব্রতা যেন ক্রমসই বাড়তে শুরু করলো।আমাদের জানালার গ্ল্যাস গুলো একেক করে ভাঙ্গতে শুরু করলো।আমাদের বাসাটা ছিল সমুদ্রের কাছাকাছি,আর আমরা যে বাসাই ছিলাম সেটি ছিল ৫ তলা একটি বিল্ডিং।আমরা ছিলাম ৪ তলায়। আমাদের বাসা থেকে সমুদ্রটা একটু একটু দেখা যায়।রাত ১২টার দিকে আমার বাবা একবার বারান্দায় গেল দেখলো সমুদ্র থেকে কেমন যেন আগুনের ফুলকির মতো উড়ছে। এই দেখে আমার বাবা একবার আযানও দিয়েছিল।তিনি নাকি শুনেছেন আযানের শব্দে নাকি ঝড়ের তীব্রতা নাকি কমেযায়।সেই দিন যে ঝড় শুরু হয়েছে থামার নয়।এরপর যখন আমাদের বাসার সবগুলো জানালা ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাতাসের কারনে আমরা দরজা গুলো বন্দকরে দোতলায় চলে আসলাম।রাত তখন আনুমানিক ১:৩০মিনিট হবে। রাত ২টার পর থেকে ঝড়ের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।আর আমাদের বিল্ডিংটা যেন ভুমিকম্প হলে যেমন কাপতে থাকে তেমনি কাপতে লাগলো।আমরাতো ভয়ে সবাই আল্লাহর নাম, নামায, কেউ কোরান শরিফ পরতে শুরু করলাম।সেকি ভয় যদি কনো মতে বিল্ডিংটা ভেঙ্গে পড়লেতো শেষ।আল্লাহোর নাম নিতে নিতে এই ভাবে ভোর হলো। সকাল ৬টার দিকে ঝড় থেমে গেল,তার পর আমি আমাদের বাসার ছাদে উঠলাম।ছাদে উঠে দেখি চারিদিক যেন সব সমান। চারিদিকে কোন গাছপালা নেই, বাড়ি ঘর নাই, শুধু আছে কেয়েকটা বড় বড় বিল্ডিং। আমাদের বাসা থেকে যেখানে আগে কাফকো সার কারখান দেখা যেতনা এখনতা সুন্দর ভাবে দেখা যায়।এর বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম সমুদ্রের পারে,সেখানে গিয়ে যে পরিস্থিতি দেখলাম তা ভাসায় প্রকাশ করার মতো না।চারিদিকে যেন গরু ছাগল আর মানুষের লাশ।আমার চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না।এই সব পরিস্থিতি দেখে কি আর নিজেকে ঠিক রাখা যায় বলুনতো?যায় না কারন যখন দেখবেন নিজের ক্লাশমেট লাশ হয়ে পরে আছে।এর পর বাসাই এসে আমি আর আমাদের কলোনির বন্দ্ধুরা মিলে প্রতিটি বাসা থেকে টাকা এবং পুরানো জামা কাপর নিলাম, সেগুলো আমাদের পাশে সমুদ্রের পারে যারা ছিল তাদের দিলাম।সেখানের কিছু পরিচিত লোক আমাদের বাসাই উঠিয়ে ছিলাম।তারা আবস্য একমাস প্রযন্ত ছিল আমাদের বাসায়।এর পর যখন দুই দিন পর টেলিভিশনের খবরে দেখালো আনোয়ারা, কুতুবদিয়া, বাশখালি, মহেষখালি,হাতিয়া, ক্সসবাজার,সে কি আনস্থা।সেদি যদি মানুষ একটু সতর্ক থাকতো তাহলে হয়তো এতো গুলো প্রান হারাতে হতো না।সেই ভয়াল রাতের কথা আজও আমার মনে পরে।আসুন আমরা যে কোন প্রাকৃতিক দূ্র্জগে শতর্কতা হয়।
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে
আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।
প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।
ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাম গাছ (জামুন কা পেড়)
মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান
গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
অনির্বাণ শিখা
রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।
আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=
©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....
মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।
ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন
এশিয়ান র্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন