বছরের ৩৬৪ টি দিন নিয়ে আমার কোন সমস্যা হয়না কিন্তু ১ দিন যেতে খুব কষ্ট হয়। ভাবছেন কি পড়লেন?
আসলে গত ২৮ বছরে নবর্বষের দিনটি কেটেছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। জীবনের প্রথম ৫-৬টি বছর তো কোন কিছু না বুঝেই কেটে গেল। এর পর যখন পৃথিবীকে বুঝতে শিখতে শুরু করলাম তখন থেকেই নবর্বষের দিনটির জন্য বিশেষ কোন পরিকল্পনা থাকে।ছোটবেলায় নবর্বষ মানে ছিল মা-বাবার সাথে মন্দিরে পূজাদিতে যাওয়া, আত্নীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া এবং মামাতো ভাইবোনদের সাথে খেলাধূলা করা। আর আমার নবর্বষ নিয়ে মূল পরিকল্পনা করা শুরু হয় এস,এস,সি পরীক্ষারপর, আসলে এর আগে পর্যন্ত আমি একেবারে ঘরকুনো ছিলাম বন্ধু বলতে তেমন কেউই ছিলনা। আর আমাদের এলাকাতে নবর্বষ পালন করার কোন উৎসবও হতোনা। ঐ বছরই এলাকার কিছু সংস্কৃতি মনষ্ক বড় ভাইদের হাতধরে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়, নিজের অজান্তেই কিভাবে যে এই মেলার সাথে জড়িয়ে পরি তা মনে নেই। এখানে বলেরাখা ভাল আমি তখন হাওয়াই গীটার বাজাতাম আর মাঝে মাঝে ছবি আক্তাম।তখন থেকেই নবর্বষের মাস খানিক আগে থেকে এই দিনটির জন্য পরিকল্পনা করতাম এবার কি হবে, কিভাবে অনুষ্ঠান আরো সুন্দর করা যায়, মেলার পরিধি কিভাবে বারানো যায় ইত্যাদি। নবর্বষ যে কখন আসত আর চলেযেত, আর একজন বন্ধু থাকা যে জরুরী তা টেরই পেতাম না। এভাবে ভালই ৮-৯টি বছর কেটে যায়, কিন্তু ঝামেলা হয় সরকার পরিবর্তনের ফলে আমাদের মেলা বন্ধ হয়েযায়; আমরাও পড়ালেখা শেষ করে এদিক সেদিক ছরিয়ে ছিটিয়ে পরি। গত ২-৩ বছর ধরে নবর্বষ এলেই মনে হয় এই দিনটি কিভাবে পার করব, আজও ঢাকায় বাসায় বসে ভাবছি আরেকটি নবর্বষের দিন কিভাবে কাটাবো। এই দিনটি এলেই নিজেকে অনেক একা বলে মনেহয়, যা বছরের বাকী ৩৬৪ দিন মনেপরেনা শহুরে যান্ত্রিকতার মাঝে।
শ্রদ্ধেয় পাঠকবৃন্দ লেখাটি পড়ে বরক্তিত হবার জন্য ক্ষমা প্রার্থী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




