somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুরবানী বিষয়ক মাসআলা-মাসায়েল

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কুরবানী বিষয়ক মাসআলা-মাসায়েল

তাকওয়া ও ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আযহা আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসছে। মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্বীয় সন্তানকে উৎসর্গ করার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং এতে তিনি কৃতকার্য হয়েছিলেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে সন্তুষ্টচিত্তে তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্র সন্তান ইসমাঈল (আ.) কে কুরবানী করার জন্য মনস্থ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ইসমাইল (আ.) ও তাতে বিনা দ্বিধায় রাজী হয়েছিলেন। তিনি তাঁর প্রিয় পুত্রকে এ বিষয়টি জানানোর পর ইসমাঈল (আ) বলেছিলেন: “হে আমার পিতা, আপনি যে ব্যপারে আদিষ্ট হয়েছেন তা পালন করুন। আপনি আল্লাহর ইচ্ছায় আমাকে ধৈর্যশীল হিসেবেই পাবেন” [সূরা নং ৩৭ (আস-সাফ্ফাতঃ), আয়াতঃ ১০২]। ত্যাগ ও কুরবানীর সেই ঘটনাকে স্মরণ করে মুসলিম জাতি প্রতিবছর ঈদুল আযহার দিন এবং তাশরীকের পরবর্তী দিনসমূহের মধ্যে অর্থাৎ ঈদের পরের তিনদিন পশু জবাই করে।

প্রশ্নঃ কুরবানির উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত? এক্ষেত্রে সহীহ নিয়্যাৎও ইখলাছের গুরুত্ব কতটুকু?
উত্তরঃ অন্যান্য সকল ইবাদাতের ন্যায় কুরবানী করার ক্ষেত্রেও সহীহ নিয়্যাৎ ও ইখলাছ থাকা ওয়াজিব। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সেই সব কাজ ও ইবাদাতই কবুল করেন যা শুধুমাত্র তাঁরই উদ্দেশ্যে তাঁকেই সন্তুষ্ট করার জন্য করা হয়। তাই আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে পাকে ইরশাদ করেন, “আর তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেবল আল্লাহরই ইবাদত করতে দ্বীনকে তাঁরই জন্য নির্দিষ্ট করে...” [সূরা নং ৯৮ ( আল-বায়্যিনাত), আয়াতঃ ৫]। আল্লাহ তা‘আলা আরও ইরশাদ করেছেন “সুতরাং তোমার প্রভূর উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর।” [সূরা নং ০৮ (আল-কাউসার), আয়াতঃ ]। লোক দেখানো ইবাদাত আল্লাহ তায়ালা কুবুল করেন না বরং যারা মানুষকে দেখানোর জন্য ইবাদাত করে তাদের জন্য শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ “ধ্বংস সে সকল সালাত আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের সালাত সম্পর্কে উদাসীন এবং যারা লোক দেখানো কাজ করে” [সুরা নং ১০৭ (আল-মাউন), আয়াতঃ ৪-৬]।

প্রশ্নঃ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বা সুনাম কুড়ানোর জন্য অথবা নিছক মাংস খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরাবনী করা কি বৈধ? এ ধরনের কুরবানী কি কবুল হবে?
উত্তরঃ আমাদের সমাজে দেখা যায় অনেকেই বাজারের সবচাইতে সেরা গরুটি কেনার জন্য প্রতিযোগিতায় নামেন। আবার কেউ কেউ সুনাম কুড়ানোর জন্য বেশী দামের গরু, উট বা মহিষ কুরবানী করেন। অনেকে সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও ‘নতুন জামাই কি বলবে” বা ‘এতদিন কোরবানী দিয়ে এসেছি এখন না দিলে লোকে কি বলবে" ইত্যাদি কারণে অনেকে কুরবানী করে থাকেন। কোরবানী যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে শরীয়াহ সম্মাতভাবে করা হয় তাহলে তা আল্লাহ তা‘আলার নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। লোক দেখানোর জন্য বা সুনামের জন্য বেশী দামের পশু কেনা। উট, মহিষ ইত্যাদি বড় বড় পশু কোরবানী করা, অথবা লোকজনকে দেখানোর জন্য কুরবানীর পশু লাল কাপড় ও মালা দিয়ে সাজানো, কুরবানীর পশুকে প্রদর্শনীর উদ্দেশে খোলা স্থানে বেঁধে রাখা ইত্যাদি কোনক্রমেই শরীয়তসম্মত নয় এবং তা আল্লাহ তায়ালার নিকট কবুলকৃত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র মানুষের অন্তরের মধ্যে ইখলাছ ও তাকওয়া দেখতে আগ্রহী। কোন কোরবানীর পশুতে কত মন মাংস হয়েছে বা কত রক্ত প্রবাহিত হয়েছে বা কোন পশুটিতে বেশী চর্বি হয়েছে, কোনটির শিং কত বড় ইত্যাদি মহান আল্লাহ তা‘আলার নিকট বিবেচ্য নয়। তাই আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, “আল্লাহ তা‘আলার কাছে এদের মাংস ও রক্ত কিছুই পৌছবে না, তাঁর নিকট শুধুমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছবে।” [সূরা নং ২২ (আল-হাজ্জ্ব), আয়াতঃ ৩৭]

প্রশ্নঃ কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে কুরবানীর হুকুম কি? এটি কি ওয়াজিব বা সুন্নাহ?
উত্তরঃ অধিকাংশ ঈমামদের মতে কুরবানী করা সুন্নাতে মু'আক্কাদাহ। ঈমাম শাফেঈ, ঈমাম আহমাদ বিন হান্বাল ও ঈমাম মালেক সহ অনেক ঈমাম এই মত প্রকাশ করেছেনে। অন্যদিকে ঈমাম আবু হানিফা, ঈমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ সহ একদল ঈমাম কুরবানী করাকে ওয়াজিব বলে মত প্রকাশ করেছেন। মতপার্থক্য যাই থাক না কেন কুরবানী যে ইসলামের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত ও নিদর্শন তাতে কোন সন্দেহ নেই।

কুরবানী করার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা নির্দেশ করেছেনঃ "সূতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করা এবং কুরবানী কর" [সূরা নং ১০৮ (সূরা আল-কাউছার), আয়াতঃ ০২]। আল্লাহ তা'আলা আরও ইরশাদ করেনঃ "এবং আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য (কুরবানীর) নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছি যতেতারা (জবাইকালে) আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, তিনি তাদেরকে যে সকল চতুস্পদ গবাদি পশু রিযিক দিয়েছেন তার উপর..." [সূরা নং ২২ (আল-হাজ্জ্ব), আয়াতঃ ৩৪]

আমাদের প্রিয় নবী সা. কুরবানীর বিষয়ে আমাদের জন্য অনুকরনীয় নির্দেশনা ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। হযরত যায়িদ বিন আরকাম রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল সা. এর সাহাবীগণ একদা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেনঃ "এই কুরবানীর পশুগুলোর হুকুম কি, হে আল্লাহর রাসূল? তখন রাসূল সা. বলেনঃ " এসব হল, তোমাদের পিতা ইবরাহীম আ. এর সুন্নাহ"। রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, “সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করেনা সে যেন আমাদের ঈদগাহে হাজির না হয়।” (মুসনাদে আহমাদ)। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: " নবী সা. মদীনাতে দশ বছর অবস্থানকালীন সময়ে (প্রতি বছরই) কুরবানী করেছেন।" (তিরমিযী, মুসনাদ আহমাদ, মিশকাত)।

ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কুরবানী করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদাত। এটি আল্লাহ তা‘আলার নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয়। তিরমিযি শরীফে হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কুরবানীর দিন কোনো ব্যক্তি কুরবানীর পশুর রক্ত প্রবাহ করার চেয়ে আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয় কোনো কাজই সম্পাদন করে না।”

প্রশ্নঃ কুরবানী ওয়াজিব বা সুন্নাহ মু'আক্কাদাহ হওয়ার শর্ত কি?
উত্তরঃ কারো উপর কুরবানী ওয়াজিব বা সুন্নাহ মু'আক্কাদাহ হওয়ার শর্ত হল, কোন মুসলিমের নিকট তার নিজের এবং তার পরিবারের ভরন-পোষনের অতিরিক্ত কুরবানীর পশুর মূল্য অতিরিক্ত থাকা। অর্থাৎ কারো নিকট যদি তার নিজের ও পরিবারের ভরন-পোষন করার পর কুরবানীর পশু ক্রয় করার মত অর্থ-সামর্থ্য থাকে তাহলে তার উপর কুরাবানী করা ওয়াজিব বা সুন্নাতে মু'আক্কাদাহ। ধরুন, কেউ যদি এমন পেশায় নিযুক্ত থাকে যে, সে মাসে মাসে বেতন পায় এমতাবস্থায় তার নিকট কুরবানীর পশু ক্রয় করার মত অর্থ আছে তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব বা সুন্নাতে মু'আক্কাদাহ। এ বিষয়ের দলীল হল রাসূল সা. এর একটি হাদীস। তিনি বলেছেনঃ "যার সামর্থ্য আছে সে যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করে তবে সে যেন আমাদের ঈদগাহে হাজির না হয়।” (সহীহ ইবনে মাজা)

প্রশ্নঃ কুরবানীর ফজিলত কি?
উত্তরঃ ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কুরবানী করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদাত। এটি আল্লাহ তা‘আলার নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয়। তিরমিযি শরীফে হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কুরবানীর দিন কোনো ব্যক্তি কুরবানীর পশুর রক্ত প্রবাহ করার চেয়ে আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয় কোনো কাজই সম্পাদন করে না।” হযরত যায়িদ বিন আরকাম রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল সা. এর সাহাবীগণ একদা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেনঃ "এই কুরবানীর পশুগুলোর হুকুম কি, হে আল্লাহর রাসূল? তখন রাসূল সা. বলেনঃ " এসব হল, তোমাদের পিতা ইবরাহীম আ. এর সুন্নাহ। তাঁরা জানতে চাইলেন: " এতে আমাদের জন্য কি ছওয়াব রয়েছে? তিনি বললেন: "এই পশুগুলোর প্রতিটি লোমের বিপরীতে নেকী রয়েছে" (মুসনাদ আহমাদ, মুস্তাদরাকে হাকেম )

প্রশ্নঃ কুরবানীর পশু নির্বাচন করব কিভাবে? এ ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে?
উত্তরঃ ঈদুল আযহার প্রধান উপাদান কুরবানীর পশুটি সুস্থ, সবল ও সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। ইসলামের নির্দেশ হলো সকল কাজ সুন্দর ও সুচারুরুপে সম্পাদন করা। হাদীস শরীফে এসেছে “আল্লাহ তায়ালা সুন্দর, তিনি সুন্দরকে ভালবাসেন”। তাই কুরবানীর পশু ক্রয় করার সময় সুস্থ, সবল, ও সুন্দর দেখে ক্রয় করা আল্লাহ তায়ালার নিকট পছন্দনীয় হবে এতে কোন সন্দেহ নাই। তাই রাসুল (সা.) কুরবানীর পশুর জন্য সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কুরবানীর উদ্দেশ্যে ত্র“টিপূর্ণ ও দুর্বল পশু নির্ধারণ করা বা ক্রয় করা বৈধ নয়। যেসব দোষ-ত্রুটি সম্পন্ন পশু কোরবানী করা বৈধ নয় তা হলঃ (১) স্পষ্টত রোগাক্রান্ত (২) অন্ধ (৩) খোঁড়া (৪) যে পশুর মস্তিস্ক ক্ষয় হয়ে যেছে (৫) সামনের দিকের দাঁত পড়ে যেছে এমন (৬) বধির ইত্যাদি। তাছাড়া কুরবানির পশুর সর্ব নিম্ন বয়সও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছ যা মেনে চলা আবশ্যক। শরীয়তের দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে ভেড়ার ক্ষেত্রে এই সর্বনিম্ন রয়স হল, ছয় মাস, ছাগলের ক্ষেত্রে এক বছর, গরুর ক্ষেত্রে দুই বছর এবং উটের ক্ষেত্রে ৫ বছর।

প্রশ্নঃ পরিবারের উপার্জনক্ষম প্রত্যেককে কি আলাদাভাবে/ আলাদানামে কুরবানী করতে হবে?
উত্তরঃ একই পরিবারভূক্ত যারা একই সাথে বাস করে বা এখনও অবিভক্ত রয়েছে তাদের সকলের পক্ষ থেকে একটি বা এক শরীক কুরবানী দিলেই সবার পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। আলাদা আলাদা কুরবানী করতেই হবে এমন নয়। সহীহ হাদীসে প্রমাণ রয়েছে যে, রাসূল সা. নিজের পক্ষ থেকে এবং পবিবার-পরিজনের পক্ষ থেকে একটি ভেড়া এবং পুরো উম্মতের পক্ষ থেকে একটি ভেড়া কুরবানী করেছিলেন।

প্রশ্নঃ এক ব্যক্তি কয়টি কুরবানী করতে পারবে? এ বিষয়ে সুন্নাহ -এ কোন বিধি-নিষেধ আছে কি?
উত্তরঃ এক ব্যক্তি এক বা একাধিক যতটি ইচ্ছা কুরবানী করতে পারবে। সামর্থ্য থাকলে একাধিক কুরবানী করা জায়েয।

প্রশ্নঃ কুরবানীর গোশত কিভাবে ভাগ করব? তিনভাগ করা কি ওয়াজিব?
উত্তরঃ কুরবানীর গোশত তিনটি ভাগ করতে হবে এমন কোন নির্দেশনা কুরানা-সুন্নাহ -এ নেই। তিনভাগ করা ওয়াজিব নয়। আলেমদের কেউ কেউ তিনভাগ করার কথা বলেছেন তবে তা দলীলভিত্তিক বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুসারে কুরবানীর গোশত নিজে খাওয়া যাবে এবং তা থেকে আত্মীয়-স্বজন ও অভাবীদেরকে খাওয়ানো উত্তম। কুরবানীর গোশত কতটুকু নিজে খাবেন এবং কতটুকু আত্মীয়-স্বজন ও অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করবেন তা আপনার নিজের পরিবার-পরিজনের সদস্য সংখ্যা, আর্থিক অবস্থা, সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ " অত:পর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুস্থ ও ফকীর (গরিব)কে আহার করাও" [সূরা নং ২২ (আল-হাজ্জ্ব), আয়াতঃ ২৮] তিনি আরও ইরশাদ করেনঃ "... তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আহার করাও তুষ্ট অভাবগ্রস্তকে (যারা চায় না) ও বিনয়ী ভিক্ষাপ্রার্থীকেও (যারা চায়)..." [সূরা নং ২২ (আল-হাজ্জ্ব), আয়াতঃ ৩৬]।

মোট কথা হল, কুরবানীর গোশতের মধ্যে সমাজের সবাইকে শরীক করানোই কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা। তবে কারো যদি পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশী থাকে বা এমন কোন পরিস্থিতি থাকে যে গরীবদেরকে এতে শরীক করানো সম্ভব হচ্ছে না তাতেও তার কুরবানীর সুন্নাহ আদায় হয়ে যাবে।

লক্ষণীয়ঃ
সুস্থ সবল ও ত্রুটিমুক্ত কুরবানীর পশু ক্রয় করতে হবে। সাথে সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে এ ক্ষেত্রে যেন ‘রিয়া’ বা প্রদর্শনেচ্ছা না থাকে। কারণ মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যিনি সবচাইতে বেশী তাকওয়াবান। সুতরাং লোক দেখানো ও গতানুগতিকতা পরিহার করে ইখলাছ ও তাকওয়ার মহিমায় উজ্জীবীত হয়ে কুরবানী করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×