হিন্দুদের পূজার জন্য রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের ১০০১ জন আলেম। অন্যদিকে খুলনায় সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ নেতারা ইসলাম ও রাসুলকে (সা.) নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তৃতা দেয়ায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইফা ডিজির পদত্যাগ দাবি করেছেন। বিস্তারিত আমার দেশ-এর চট্টগ্রাম ব্যুরো ও আঞ্চলিক অফিসের পাঠানো খবর :
চট্টগ্রামে ১০০১ আলেমের বিবৃতি : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া ও ইফার ডিজি শামিম মো. আফজলকে খোদাদ্রোহী, মিথ্যুক, পাপাচারী ও ফাসেক উল্লেখ করে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ সংগ্রাম পরিষদের ১০০১ জন বিশিষ্ট আলেম। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমান সরকার ইসলাম নির্মূলের এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তা না হলে সরকারের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইসলাম এবং মহানবী (রা.) সম্বন্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি কিভাবে করেন। তারা নাস্তিক্যবাদী এই সরকার ও মন্ত্রীর সোচ্চার হওয়ার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, রাসুলের (সা.) যুগে হিন্দু সম্প্রদায় নামে কোনো সম্প্রদায় ছিল না। তাই পবিত্র কাবা ঘরের অর্ধেক হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, মাওলানা সলিমুল্লাহ হাবিবি, মাওলানা মুনিরুল মান্নান, মাওলানা শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ ইলিয়াছ, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল, মাওলানা সাইয়্যেদ আবু নোমান, মাওলানা লিয়াকত আখতার সিদ্দিকী, মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা খাইরুল বাশার, মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, মাওলানা হারেছ চৌধুরী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা ওসমান গণি, মাওলানা আবুল হোসাইন, মাওলানা এ বি এম গাফ্ফার, মাওলানা সোলায়মান, মাওলানা এস এম সিরাজী, মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ, মাওলানা শামসুদ্দিন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা এম এন ইউসুফ, মাওলানা রহিম উল্লাহ, মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা সরওয়ার আলম, মাওলানা এস এ হোসাইন, মাওলানা নুর মুহাম্মদ আল কাদেরী, মাওলানা নুরুল হক আল কাদেরী, মাওলানা এম এ রশিদ, মাওলানা ছাবের আহমদ, মাওলানা জাকের হোসাইন, মাওলানা মোতালেব, মাওলানা কে আহমদ, মাওলানা এস এম জাহাঙ্গীর, মাওলানা নুর মুহাম্মদ, মাওলানা রমিজ আহমদ, মাওলানা ছানা উল্লাহ, মাওলানা আবদুর রহীম, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ, মাওলানা শফি উদ্দিন, মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মাওলানা মুফতি কবির আহমদ, মাওলানা বেলাল উদ্দিন, মাওলানা আহছানুল্লাহ, মাওলানা আবদুুল হাকিম, মাওলানা জালাল আহমদ প্রমুখ।
খুলনায় সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের নিন্দা : হিন্দুদের পূজার জন্য রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, খুলনা। এ ভিত্তিহীন বক্তব্যের জন্য তারা ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইফা ডিজির পদত্যাগ দাবি করেন। সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ খুলনার উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ নেতারা বলেন, মসজিদের চুল পরিমাণ জায়গা বিধর্মীদের দেয়ার এখতিয়ার কারো নাই। বাংলাদেশে ৯২ ভাগ মুসলমান বসবাস করে। এ দেশ থেকে চিরতরে ইসলাম মুছে দেয়ার জন্য ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবে সংবিধান থেকে ঈমান মুছে ফেলা, ধর্মহীন শিক্ষানীতি প্রণয়ন, কোরআনবিরোধী নারীনীতি অনুমোদনসহ ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী দিয়ে আল্লাহ ও রাসুল (স.) বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র, কটূক্তি করার মাধ্যমে সৌহার্দ্য সম্প্রতি নষ্ট করার লক্ষ্যে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী রাসুল (স.) ধর্মনিরপেক্ষ আখ্যা দিয়ে নাস্তিক মোরতাদের দোসরে পরিণত হয়েছে। একজন নাস্তিক ব্যক্তি মুসলমানদের দেশে ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না।
সভায় বক্তৃতা করেন অধ্যক্ষ মাওলানা রহমাতুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা এএফএম নাজমুস সউদ, মাওলানা মনোওয়ার হোসাইন আল মাদানী, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আজিজুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা আবু নাছের মো. হুমায়ন, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা জাফর সাদেক, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম নূরানী, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা মফিজুর রহমান প্রমুখ।
অপরদিকে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন, জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মো. সালেহ, সহ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা রহমাতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা নাসিরউদ্দিন কাসেমী, সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা এএফএম নাজমুস সউদ, মুফতি মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, মুফতি ফালাহ উদ্দিন, মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম, মুফতি গোলামুর রহমান, মাওলানা আশেক এলাহী, মাওলানা মোতাজুল কারীম, মুফতি গোলাম রহমান প্রমুখ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



