somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় - বন্ধুত্বের দিনগুলো : পর্ব ১

২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯৮ সালের গোড়ার দিকের কথা। শিকড় থেকে অরণির প্রথম সংখ্যাটা আমরা সবে বের করেছি। আমিই সম্পাদনা করেছিলাম এবং মাসুল হিসাবে নিজের পকেটের বেশ কয়েক হাজারও ঢেলেছিলাম। তখন বইপত্রের একাট লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন এসেছিলো। সম্ভবত মালিকানা পরিবর্তনের ফল ছিলো সেটা। তারো আগে কে একজন যেন চালাতেন। তখন কবি মোস্তাক আহমাদ দীন এবং কবি শুভেন্দু ইমাম যৌথভাবে চালাচ্ছেন। প্রচুর নতুন বই এসেছিলো। বেশীর ভাগেই ভারতীয় প্রকাশনার বই। আমি দু-একটা কিনতে মাঝে মাঝেই বইপত্রে যেতাম। একদিন সাদিকের সাথে সেখানেই দ্যাখা, বলল তোর সাথে দুই ইমদাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। দুইটাই মহাচীজ, তুই না মিশলে বুঝবেই না। অসম্বব মেধাবী। পাগলা। বাউলা। সাদিক তখন ছাত্রইউনিয়ণ করতো। পরে অবশ্য অজানা এক কারণে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলো। দেদারছে কালমার্কস মাসেতুং লেনিন পড়তো। শতশত বইয়ের ভেতরেই ঘুমাতো।

এক জলসন্ধ্যায় বৃষ্টি মাথায় সাদিক এলো আমার বাগবাড়ির মেসে। সাথে তার সেই বিখ্যাত দুই চীজ। দুই ইমদাদ। একজন মুহম্মদ ইমদাদ, আরেকজন এমদাদ রাহমান। একজন যেমন ফর্সা আরেকজন তেমনি কালো। আমরা অনেকক্ষণ গল্প-সিগারেট করলাম। ইমদাদ তার একটা কবিতা পড়লো। নিশুতি রাত নিয়ে কী একটা কবিতা, নামটা মনে নেই। সারাটা কবিতা জুড়ে দু:খ কষ্ট হাহাকারে টানটান করছিলো। আমি প্রথম কবিতা শুনেই বুঝেছিলাম এই ইমদাদ একদিন অনেক বড়ো কবি হবে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছিলাম দুজনের বন্ধুত্বের মতো ওদের হাসির মাঝে কোথাও যেন একটা খুব সুক্ষ্ণ মিল রয়েছে।

দুইইমদাদকে পেয়ে আমার বইপত্র-যাতায়াত নিয়মিত হতে থাকলো। আমরা তখন রিকশাযাত্রী হতাম রোজ বিকালে। টিউশানী থেকে এসেই এমদাদের মেসে। তারপর দুজন মিলে দৌড়তাম ইমদাদের বাড়ি। ইমদাদ থাকতো টুকেরবাজারের গ্রামের দিকের একটা বাড়িতে। লজিং। দুইটা মেয়েকে পড়াতো। এর বিনিময়ে ফ্রি থাকা-খাওয়া। তবে ইমদাদের মাঝে সব কিছুতেই একটা উৎসবের ভাব ছিলো। যেমন আমি টিউশানীর টাকা পেয়েছি সে উপলক্ষ্যে হয়ে যাক একটা সিগারেট, সাথে একটা সিঙ্গারা। অথবা এমদাদ বাড়ি থেকে এসেছে সুতারাং চায়ের সাথে হোক তার পঠিত গল্পের একটা মেরাথন তারছেঁড়া আড্ডা। রিকশাতে উঠার আগেই রিকশাওয়ালারকে বলবে তিনজনকে টানতে পারবেনতো? যদিও না বললেও আমরা উঠতামই (সে সময়টায় সিলেটে খুব রিকশা সংকট ছিলো, এক ঘন্টা দাঁড়িয়েও একটা রিকশা পাবার নিশ্চয়তা ছিলো না), তবুও বলা -তারপর তাঁর বাড়ি কোথায়, সংসারে কয়জন আছে, বউ দ্যাখতে কেমন, সুন্দর কি না - এসব করেও তার শেষ হয় না, শুরু হয় বেসুরে সুমনের গান অথবা উচ্চস্বরে শক্তির কবিতা । ইমদাদের এই সবে ব্যস্ত থাকতে থাকতেই আমরা চলে আসতাম বইপত্রে।

একদিন লক্ষ্য করলাম শেখ লুৎফর ভাইও বইপত্রে আসেন, আড্ডা দেন। বুঝলাম দীন ভাইয়ের সাথে তাঁর অনেক দিনের বন্ধুত্ব। সখ্যতা। দীন ভাইয়ের সাথে তখনও আমাদের তেমন সখ্যতা গড়ে উঠেনি। শেখ ভাইয়ের সাথেও না। তাঁদের কারো সাথেই আমাদের তেমন কথা হতো না। অথচ দীন লুৎফর অনেক আগে থেকে, যখন থেকে লিটলম্যাগ পড়তে শুরু করলাম, তখন থেকেই আমরা মুগ্ধ হয়ে পড়তাম। তাঁদের লেখায় আচ্ছন্ন হয়ে যেতাম, তাঁদেরকে সশ্রদ্ধ লেখক ভাবতাম। সম্ববত অরণি প্রকাশের সময় থেকে দীন ভাই আমাকে কিছুটা চিনতেন। কাওসার ভাই এর বাসায় পরিচয়ের সূত্রধরে পরবর্তিতে তাঁর কাছ থেকে অরণির জন্য কবিতা এনেছিলাম। সেই কবিতাগুলোই ছিলো অরণির সেই সংখ্যার সবচেয়ে ভালো কবিতা। এই সময়টাতে এমদাদ ইমদাদ শ্যামল সিলেট পত্রিকার সাহিত্য পাতায় অনিয়মিত লেখতো। নাজমুল আলবাব তখন এই পাতার সম্পাদক ছিলো। দুই ইমদাদের প্রকাশিত কিছু গল্প পড়ে এবং সাহিত্যবিষয়ক কিছু আড্ডার সূত্রধরেই দীন ও লুৎফর ভাই এর সাথে আমাদের সখ্যতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলো। আমাদের তিনজনেই মনোভুমিতে সেই সময়টায় ওঁরা অনেক উর্রর মাটি দিয়েছিলেন। অনেক সুন্দর সুন্দর বৃক্ষ-বীজ ওঁরা বপন করেছিলেন।

আমরা তখন নিয়মিত বইপত্রে আড্ডা জমাতে থাকলাম। পড়তাম দেদারছে। কখনো শক্তি কখনো জয় কখনো শঙ্খ কখনো বাশার কখনো সিরাজ কখনো শ্যামল কখনো হাসান কখনো মহাশ্বেতা কখনো দেবেশ কখনো ইলিয়াস, কখনোবা জীবনানন্দ নিয়ে মেতে থাকতাম। টিউশানীর টাকা পেলেই কিছু না কিছু কিনতাম। আমাদের মাঝে ছিলো তুমুল ভালোবাসাবাসী। আমরা তিনজনেই ছিলাম জয়, শঙ্খ, শক্তির প্রেমিক। জয়ের স্নান পড়ে ইমদাদ পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলো। ওর আবেগী কন্ঠে “বেণীমাধব, বেণীমাধব তোমার বাড়ী যাবো” এখনো আমার হৃদয়ে ঝড় তোলে। ইমদাদ শক্তির কবিতা ভীষণ পছন্দ করতো। একের পর এক শক্তি পড়ে যেতো। একদিন আমাকে শক্তির “অবনী বাড়ী আছো” এবং শঙ্খের “পাঠিকা, তার কবিকে” শুনিয়েছিলো। সেদিন থেকেই এই কবিতা দুটি আমার ভীষণ প্রিয়। এমদাদ একটু চুপচাপ স্বভাবের। আখতারুজ্জামান হাসান দেবেশ দেদারছে গিলছে। একভরদুপুরে, মনচিনচিন করা দুপুরে, চিলে কোটার সেপাই পড়ে আমার রুমে এসে বুম মেরে বসে রইলো। অনেকগুলো সিগারেট আর গ্লাসভর্তি চা খাইয়ে আর হরেক রকম আলতুফালতু কথা বলে ওঁকে স্বাভাবিক করেছিলাম। এমদাদের এই কথা বলতে গিয়ে আমার নিজেরও একটা ঘটনা মনে পড়ছে। তখন আমি একাদশ শ্রেণী। তারাশঙ্খরের কবি পড়ে আমি টানা দুইদিন আচ্ছন্ন ছিলাম। আমার সমগ্র বোধ-সত্তাকে ছিন্ন করে কষ্টের মিশকালো ধোঁয়া বেরুচ্ছিলো।

আমার মেসবাড়ির সামনের রাস্তার ঠিক উল্টোপাশেই ছিলো একটি চাস্টল। স্টলটির মেঝে মাটির, দেয়াল টিনের। বেশীরভাগ কাস্টমার রিকশাওয়ালা বা দিনমজুর। আমাদের আড্ডার আরেকটি মন্দির ছিলো এই চাস্টল। এখানেই আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা তর্ক করতাম, ঝগড়া করতাম, স্বপ্ন দ্যাখতাম। আমাদের এই আড্ডার মধ্যমণি ছিলো কবি পলাশ দত্ত। তখনেই তাঁর একটি কবিতার বই বেরিয়েছে। লিখছেও দুহাতে। স্বপ্ন দ্যাখছে কবিতার সাম্রাজ্যের। গলা ফুলিয়ে দিন বদলের গান ওঁর মতো করে আমাদের মাঝে আর কেউ গাইতে পারতো না। শাবিতে এসেছিলো রসায়ন পড়তে। এক বছরেই রসায়নকে বিচ্ছেদ করলো। ফুল টাইম কবি হয়ে গ্যালো। সারাক্ষণ কবিতা নিয়ে ভাবতো। কবিতা নিয়ে একটা কিছু করে ফেলার অফুরন্ত প্রাণশক্তি ছিলো তাঁর। পালাশের আশার কথা, কবিতার কথা, গল্পের কথা শুনতে শুনতেই আমাদের চায়ের বিল ১৫০ টাকায় ঠেকতো। বড়ো বেহিসাবী ছিলো পলাশ। ঢাকা থেকে মাস খরচের যে কয়টা টাকা আসতো তা দুই দিনেই শেষ করে দিতো বই কিনে আর আড্ডায় চা চালিয়ে। শ্যামল সিলেট পত্রিকার শুরুর দিকে পলাশ সাহিত্য এবং ছোটদের দুটি পাতা দ্যাখতো। মনে আছে, প্রথম মাসের টাকা পেয়ে সব টাকায় প্রিয় অনেকগুলো বই কিনে আমাদের মেসবাড়িতে এসেছিলো কোলভর্তি বই নিয়ে। পরে এমদাদের কাছ থেকে ধারের টাকায় রিকশা ভাড়া দিয়েছিলো।

সেই সময়গুলো কী কখনো ভুলা যাবে? বিশেষ করে সালামের কৌতুকপ্রদ আচরণ। পাগলামি। একদিন আমি আর এমদাদ গেছি ইমদাদের লজিং-এ আড্ডা দিতে। সাদিকও সেখানে ছিলো। সেদিনেই সালামের সাথে আমার প্রথম দ্যাখা। পরিচয় দিয়ে বলল ‘আমি মূর্খ সালাম।’ আমি বললাম মূর্খ কেন? বলল, কদিন আমাকে আপনার সাথে চলতে দেন তাইলে এম্নিতেই বুঝবেন আমি মূর্খ কেন। সেই সালামের সাথেই আমার একান্ত কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। শাবি তখন বন্ধ ছিলো। নামকরণ আন্দোলন চলছিলো। ইমদাদ-এমদাদ সিলেটে ছিলো না। আমার সেই হাহাকারের মুহূর্তগুলোতে আমি ওকেই সবচেয়ে কাছে পেয়েছিলাম। রাতের পর রাত আমরা রিকশা করে বেড়াতাম। গাজাঁতেও বুদ হতাম মাঝে মাঝেই। নিশুতিরাতের অলিগলি করে করে শেষরাতে বন্দর বাজার। বেশী ঝালের মাছ-তরকারী আর ভাত। ভেঙ্গে যাওয়া প্রেমের জন্য আমার চেয়ে তারেই বেশী কষ্ট হতো বলে মনে হতো। সারাক্ষণ আমার সাথে সাথে থাকতো। কাধে হাত রেখে সাহস দিতো। বলতো, তুমি এতো ভেঙ্গে পড়ছো কেন শামিম ভাই, দ্যাখো সব ঠিক হয়ে যাবে।

এতো কিছুর পরেও আমাদের ভালোবাসাবাসীর স্থানটি ছিলোতো সাহিত্যই। চুটিয়ে আড্ডার, ঝগড়ার, আনন্দের, অভিমানের স্থানটি ছিলোতো কবিতা আর গল্পেই। একদিন সন্ধ্যাবেলা তাই আমরা ঠিক করলাম একটা কাগজ বের করবো। খরচের ব্যাপারটা আমি সহজেই সমাধান করে দিলাম। টিউশানীর টাকায় আমি সব মেনেজ করবো। দরকার হলে আমি একটা টিউশানী বেশী করবো। লেখা সংগ্রহের কাজ করবো আমরা সবাই। শুরু হলো আমাদের আরেক পথচলা। সাদিকের সাথে তখন দ্যাখাই হয় না। কার সাথে জানি ওর ভাংচুর প্রেম চলছিল। একনিশিরাতে আমাকে রাস্তায় ধরলো, আমি আর সালাম কোথায় যেন যাচ্ছিলাম। সেও কোথা থেকে আসছিলো। বলল, দুস্ত শুনলাম তোরা কাগজ করতেছিস? ঠিক আছে, তোদের কাগজের নাম দিলাম “সঙ্গম”। নামটা তখন থেকেই আমার মাথায় ঘুরতে থাকলো। পরবর্তিতে “সঙ্গম”-এই ঠিক হল। “সঙ্গম”কে কেন্দ্র করেই আমারা একে অপরের আরো অনেক কাছে এসেছিলাম।মনের অলিগলিতে চষে বেড়াতাম। “সঙ্গম” ছিলো আমাদের একটা প্লাটফর্ম। যেদিন “সঙ্গম” বেরোত সেদিন খুব হইহই রইরই হতো। খুব সিগারেট হতো। চা হতো। সেদিন গাঁজাও হয়ে যেতো একটু বেশী। ভোর রাতে কাগজ মাথায় করে, হইহই রইরই করে করে আমরা আমাদের মেস বাড়িতে ফিরতাম। (চলবে)

জহিরুল সিদ্দিকী (শামিম)
২৬শে নভেম্বর ২০০৮
মনাশ ইউনির (মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া) রসায়ন বিভাগে ইলেকট্টোকেমেস্ট্রিতে গবেষণারত।শামিম

(পরবর্তী পর্ব : শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় - বন্ধুত্বের দিনগুলো : পর্ব ২)

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯
১৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×