নববর্ষ, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, মৃত্যূ বার্ষিকী আরোও অন্যান্য সকল দিবসের মূল বার্তা- ‘চলে গেলো একটি বছর আর শুরু হলো আরো এক নতুন বছর’। বছরের শেষ দিনে অথবা শুরুর দিনে কোন আয়োজন সাধারণ ভাবে দোষনীয় নয়। ১লা জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বই দিবস, ১ জুলাই ব্যাংকে বিশেষ ছুটি, চৈত্র মাসে দোকানের হালখাতা, অথবা শাবানের শুরুতে মাদ্রসার পাগড়ি অনুষ্ঠান আর শাওয়ালের শুরুতে সবক অনুষ্ঠান পালনের রেওয়াজ কোনটাই খারাপ না। এগুলোর মূল প্রতিপাদ্য ভালো; যদিও বর্তমান প্রয়োগে একটু ব্যাতিক্রম আছে। বর্তমানে আয়োজন মানেই বানিজ্যিক সম্রাজ্যে হাবুডুবু খাওয়া- কেক কাটা, গিফটেআদান-প্রদান করা, আলোকসজ্জা করা, আতশবাজি করা, কুসংস্কার বিশ্বাস কর আর নানা অপসংস্কৃতির জয়জয়কার করানো। জ্ঞান-বিজ্ঞানে সচেতনতার যুগে এসব থাকার কথা ছিল না- কেবল বানিজ্যিক সম্রাজ্য এসক দিবসকে উসকে দিচ্ছে। মূখরোচক ও দৃষ্টি নন্দন নানা বিজ্ঞাপন আর গণমাধ্যমের অপরিনামদর্শী প্রচারণা এসব উসকানীকে পরিণত করছে গতিশীল স্রোতে। আর এসব স্রোত কেড়ে নিচ্ছে কিছু বাঙ্গালীর নিজের, পরিবার-পরিজন আর সমাজের স্বকীয়তা। (পরের পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৪