somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করনা মোকাবেলা, হংকং থেকে শিক্ষা গ্রহন করা উচিত

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তবে এই মুহুর্তে কোয়ারেন্টিন অর্থৎ সাম্ভ্যাব্য ভাইরাস ক্যারিয়ারকে ১৪ দিন পৃথক করে রাখা সবচেয়ে কার্যকর একমাত্র পদ্ধতি।

হংকং এর মত বিপুল ঘণবসতি দেশ বর্তমানে এভাবেই সম্পুর্ন করনা মুক্ত।
এই রোগ প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার না হলেও এই জীবানুর আচরনটা মোটামুটি বুঝা গেছে।
এই করনা ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ালেও। মানুষের দেহ বাদে প্রকৃতিতে বাচে না, অন্য পশু পাখিতেও ভর করতে পারে না।
আগে বলা হচ্ছিল এটি কম তাপমাত্রায় ছড়ায়, গরম তাপমাত্রায় ছড়াতে পারে না, পরে জানা গেছে তাপমাত্রার সাথে এই ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নেই।
যে কোন তাপেই দেহের বাহিরে বেশিক্ষন টিকতে পারেনা এই ভাইরাস।

হংকংয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ করা প্রত্যেককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে,
এখন কঠিন আইনে পরিনত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা তা মনিটর করছে হংকংয়ের পুলিশ প্রশাসন।
সেখানে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা আছে এবং হোম কোয়ারেন্টিন বা ঘরে কোয়ারেন্টিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ঘরে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তাদের সকাল বিকাল নিয়মিত ফোন করে খোঁজখবর রাখছে প্রশাসন।
শুরুর দিকে দু'জন কোয়ারেন্টিন ব্রেক করেছিল, তাদের খুঁজে বের করে মোটা অংকের জরিমানা করে আবারো কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
করনায় অসুস্থ হলেও নিজেই হাসপাতালে আসতে পারবে না, আসতে দেয়া হয় নি, হাসপাতালে ভিড় করলে আরো ছড়াবে।
কেউ অসুস্থ হলে ফোন করবে, দেরি হলেও সরকারি তত্তাবধানেই রোগী আনা হয়।
দেশকে করনা মুক্ত রাখতে হংকং পার্ফেক্ট উদাহরন।





বাংলাদেশে সেরকমটাই করতে হবে।
একসাথে বিপুল রোগি আসলে কেউ সামাল দিতে পারবে না। ইরান ইটালি স্পেন পারেনি। বাংলাদেশও পারবে না।
সেই ভলিউমে করনায় অসুস্থ হলে হংকং এর মত গুরুতর অসুস্থ না হলে বাসাই থাকতে হবে। যেহেতু এর কোন ট্রিটমেন্ট নেই বাসায় যা হাসপাতালেও তা।
করনার কোন অসুধ নেই, পুর্বরোগে আক্রান্ত না থাকলে ৭-৮ দিনে হয় মরবে নতুবা এমনিতেই ভাল হবে।
মৃত্যুর চান্স বুড়োদের ৩% তরুন ও ছোটদের ০.০১%। কোন
রোগির স্বাসকষ্ট হলে সুধু হাসপাতালে এনে অক্সিজেন। ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল/টাইলানল। সারা পৃথিবিতে এই নিয়ম।

আমেরিকার ডালাসে করনায় গুরুতর আক্রান্ত ৭৭ বছরের বৃদ্ধ দুই সপ্তাহ চিকিৎসার পর ভাল হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল।
একই সময়ে ওনার স্ত্রীও করনা পজেটিভ ছিল তবে জ্বর ছিল না সামান্য কাশি বাদে কোন সমস্যা ছিলনা, হাসপাতালে যেতে হয় নি, মানে রাখে নি। হোম আইসোলেস ও টেলি মেডিসিন। কিছুদিন থাকার পর সুস্থ হয়ে গেছিলেন। ডালাস কাউন্টির এই পরিবারটির বুড়ো-বুড়ি দুজনই বর্তমানে বাসায় ভাল আছেন।
বাংলাদেশেও বেশি ছড়িয়ে পড়লে অল্প আক্রান্ত হওয়া রোগিদের বাসায়ই আইসোলেশনে থাকতে হবে। হাসপাতালে যায়গা হবে না, ইটালি স্পেনও পারে নি। শুধু গুরুতর আক্রান্তদের হাসপাতালে নিতে হবে।।



যেহেতু এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে, ই্য়োরোপ প্রায় লকডাউন।
তাই এটাকে সম্পুর্ন নির্মুল করতে সারা পৃথিবীতে একই সময়ে ১৪ দিন ইটালির মত কার্ফিউ দিয়ে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা দেয়া হলে ভাইরাসটি নির্মুল হয়ে যেত।
নির্মুল হবেই কারন মানব দেহ বাদে দেহের বাহিরে বেশিক্ষন বাঁচে না এই ভাইরাস।

এই ১৪ দিনে যাদের জ্বর-কাসি হবে তাদের হাসপাতালে নিয়ে ও সেসব পরিবারকে আরো ১৪ দিন সেলফ বা ফোর্স কোয়ারেন্টাইন। ব্যাস, ৩০ দিনে সারা পৃথিবী করনা মুক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৭
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×