তবে এই মুহুর্তে কোয়ারেন্টিন অর্থৎ সাম্ভ্যাব্য ভাইরাস ক্যারিয়ারকে ১৪ দিন পৃথক করে রাখা সবচেয়ে কার্যকর একমাত্র পদ্ধতি।
হংকং এর মত বিপুল ঘণবসতি দেশ বর্তমানে এভাবেই সম্পুর্ন করনা মুক্ত।
এই রোগ প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার না হলেও এই জীবানুর আচরনটা মোটামুটি বুঝা গেছে।
এই করনা ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ালেও। মানুষের দেহ বাদে প্রকৃতিতে বাচে না, অন্য পশু পাখিতেও ভর করতে পারে না।
আগে বলা হচ্ছিল এটি কম তাপমাত্রায় ছড়ায়, গরম তাপমাত্রায় ছড়াতে পারে না, পরে জানা গেছে তাপমাত্রার সাথে এই ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নেই।
যে কোন তাপেই দেহের বাহিরে বেশিক্ষন টিকতে পারেনা এই ভাইরাস।
হংকংয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ করা প্রত্যেককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে,
এখন কঠিন আইনে পরিনত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা তা মনিটর করছে হংকংয়ের পুলিশ প্রশাসন।
সেখানে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা আছে এবং হোম কোয়ারেন্টিন বা ঘরে কোয়ারেন্টিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ঘরে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তাদের সকাল বিকাল নিয়মিত ফোন করে খোঁজখবর রাখছে প্রশাসন।
শুরুর দিকে দু'জন কোয়ারেন্টিন ব্রেক করেছিল, তাদের খুঁজে বের করে মোটা অংকের জরিমানা করে আবারো কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
করনায় অসুস্থ হলেও নিজেই হাসপাতালে আসতে পারবে না, আসতে দেয়া হয় নি, হাসপাতালে ভিড় করলে আরো ছড়াবে।
কেউ অসুস্থ হলে ফোন করবে, দেরি হলেও সরকারি তত্তাবধানেই রোগী আনা হয়।
দেশকে করনা মুক্ত রাখতে হংকং পার্ফেক্ট উদাহরন।
বাংলাদেশে সেরকমটাই করতে হবে।
একসাথে বিপুল রোগি আসলে কেউ সামাল দিতে পারবে না। ইরান ইটালি স্পেন পারেনি। বাংলাদেশও পারবে না।
সেই ভলিউমে করনায় অসুস্থ হলে হংকং এর মত গুরুতর অসুস্থ না হলে বাসাই থাকতে হবে। যেহেতু এর কোন ট্রিটমেন্ট নেই বাসায় যা হাসপাতালেও তা।
করনার কোন অসুধ নেই, পুর্বরোগে আক্রান্ত না থাকলে ৭-৮ দিনে হয় মরবে নতুবা এমনিতেই ভাল হবে।
মৃত্যুর চান্স বুড়োদের ৩% তরুন ও ছোটদের ০.০১%। কোন
রোগির স্বাসকষ্ট হলে সুধু হাসপাতালে এনে অক্সিজেন। ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল/টাইলানল। সারা পৃথিবিতে এই নিয়ম।
আমেরিকার ডালাসে করনায় গুরুতর আক্রান্ত ৭৭ বছরের বৃদ্ধ দুই সপ্তাহ চিকিৎসার পর ভাল হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল।
একই সময়ে ওনার স্ত্রীও করনা পজেটিভ ছিল তবে জ্বর ছিল না সামান্য কাশি বাদে কোন সমস্যা ছিলনা, হাসপাতালে যেতে হয় নি, মানে রাখে নি। হোম আইসোলেস ও টেলি মেডিসিন। কিছুদিন থাকার পর সুস্থ হয়ে গেছিলেন। ডালাস কাউন্টির এই পরিবারটির বুড়ো-বুড়ি দুজনই বর্তমানে বাসায় ভাল আছেন।
বাংলাদেশেও বেশি ছড়িয়ে পড়লে অল্প আক্রান্ত হওয়া রোগিদের বাসায়ই আইসোলেশনে থাকতে হবে। হাসপাতালে যায়গা হবে না, ইটালি স্পেনও পারে নি। শুধু গুরুতর আক্রান্তদের হাসপাতালে নিতে হবে।।
যেহেতু এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছে, ই্য়োরোপ প্রায় লকডাউন।
তাই এটাকে সম্পুর্ন নির্মুল করতে সারা পৃথিবীতে একই সময়ে ১৪ দিন ইটালির মত কার্ফিউ দিয়ে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা দেয়া হলে ভাইরাসটি নির্মুল হয়ে যেত।
নির্মুল হবেই কারন মানব দেহ বাদে দেহের বাহিরে বেশিক্ষন বাঁচে না এই ভাইরাস।
এই ১৪ দিনে যাদের জ্বর-কাসি হবে তাদের হাসপাতালে নিয়ে ও সেসব পরিবারকে আরো ১৪ দিন সেলফ বা ফোর্স কোয়ারেন্টাইন। ব্যাস, ৩০ দিনে সারা পৃথিবী করনা মুক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৭