যখন একের পর এক চালচোর ধরা শুরু হয়েছে, তখন কিছু চিহ্নিত মানুষ বলে যাচ্ছে 'করোনার ভেতর চাল চুরি শুরু হয়েছে', শুরু হয়েছে সরকারি দলের অন্যায়, অবিচার, চুরি, ডাকাতি, লুট বানিজ্য।
এমন ভাব যে দেশের মানুষ এই প্রথম বার চুরি দেখল.. আগে কোন দিন দেশে চুরি হয়নি..
দেশে এমন সুদিন আসেনি যে সব চুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
এতদিন চাল গম আত্নসাত করে যাচ্ছিল সরকারি লোকজন, চাল চুরি গম চুরি এদেশে নতুন কিছু না। পাকিস্তান আমল থেকেই চলছে।
এতদিন ওরা নির্ভয়ে চাল চুরি করে যাচ্ছিল, এখন একে একে ধরা হচ্ছে, বিশেষ প্রকৃয়ায়।
এতদিন
মেম্বরকে বাঁচিয়েছে চেয়ারম্যান,
চেয়ারম্যানকে উপজেলা চেয়ারম্যান,
উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাংসদ
সাংসদ কে মন্ত্রী।
এইবারের চাল বিতরণের সিষ্টেমটা একটু আলাদা ছিল!
প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ৬৪টি জেলার ডিসি দের সাথে ভিডিও কনফারেন্স যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করে আসছেন। বহু আগ থেকেই ভিডিও কনফারেন্স যোগাযোগ করা হলেও বর্তমানে প্রতি সপ্তাহেই যোগাযোগ হচ্ছে। যখন তখন আপডেট জানতে ফোন করা হচ্ছে ডিসিদের
আর এইবারের খাদ্য ত্রাণ আর সরাসরি সাংসদ'দের হাত দিয়ে যায় নি। বরং ডিসি'-সাংসদদের যৌথ ত্বত্ত্বাবধনে সরাসরি প্রান্তিক অঞ্চলে জনপ্রতিনিধি'দের হাতে দিয়েই বিতরণ করা হচ্ছে। এবং নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তি ফলোআপ আপডেট জানাতে হচ্ছে।
কিছু চেয়ারম্যান মেম্বার পুরানো খাসলত বদলাতে না পেরে। ধরা পড়ছে। ডিসি টিএনও দের হাতে।
আত্নসাতকারি চোর ধরা পরার পর নিউজ হচ্ছে।
কিন্তু পত্রিকাগুলো একটু চালাকি করে খবর শিরনাম করছে, কি কায়দায় ধরা হচ্ছে কেউ বলছে না। চোর ধরার পর কোন এপ্রিশিয়েট নেই
আর কিছু ব্লগার ফেবুকার দল বেধে বলা সুরু করেছে চাল চুরির উৎসব সুরু হয়েছে। কবিগনও কবিতা লিখছেন, ফেবুতে গানও বের হয়েছে দেখলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৮