বুল্লি বাই কিংবা সুল্লি ডিলস ইত্যাদি নিয়ে এ কদিন মিডিয়ায় বেশ সোরগোল দেখা গেল।
কদিন আগে আল-জাজিরা এসব নিয়ে একটি রিপোর্ট করে। পরে বিবিসি বাংলাও এটি নিয়ে একাধিক রিপোর্ট করে।
ঘটনা হচ্ছে একটি নারী বেচাকেনার এপে ভারত ও পাকিস্তানের কিছু ভিআইপি (সাংবাদিক, মহিলা পাইলট, শিক্ষক, অভিনেত্রী ইত্যাদি) অন্যান্ন নারীদের সাথে মুসলিম মহিলার ছবি দিয়ে এপটিতে নিলামে তোলা নিয়ে মুসলিমদের অপমান নিয়ে শোরগোল।
কিন্তু এসব নারী বেচাকেনার নিলাম কি, নিলামের ক্রেতা কারা এই ব্যাপারটা কৌশলে চেপে গেল বিবিসি।
প্রথমআলো তো এতকিছু বোঝার চেষ্টা করে নি। যাষ্ট কপিপেষ্ট করেছে।
এসব নারী বেচাকেনার এপের খবর তো সাধারনের কারো জানার কথা না।
পুলিশও জানে না। প্লে স্টোরে এসব এপ কোন ভাবেই পাওয়া সম্ভব না।
দুবাই লেবানন ও এথেন্স ভিত্তিক কিছু আন্তর্জাতিক নারী ব্যাবসায়ী (বেশিরভাগই ভারতীয়) ভারতীয় 'ভিআইপি সেক্স টুর ব্যাবসায়ী' ভারত ও পাকিস্তানের কিছু পেশাদার দেহপসারনি যোগার করে কিছু টুইটার একাউন্ট থেকে এসব নারী সংগী ভাড়া (বিবাহ) সংক্রান্ত এপের লিঙ্ক টার্গেটেড ধনী আরব নারীখোরদের কাছে পাঠানো হয়।
নারী নিলামে তোলা হয়। নারী নিলাম মানে শর্টটাইম টুর বিবাহ নারী কেনা লেনদেন শেষ হয়ে ফাইনাল হওয়ার পর লাইভ ভিডিওতে দেখা ইন্টারভিউ হয়, পরে ভারতে বা দুবাইতে তাদের এনআইডি/পাসপোর্ট দিয়ে জেনুইন ভাবে বিয়ে রেজিষ্টেশন সম্পন্ন হয়, এবং টুর সংগী হয়ে ভারতের কোন দ্বীপ, গোয়ার রিসর্ট, শেসেলসে বা দুবাইয়ের হোটেলে কয়েক দিন ফুর্তি করা, এরপর টিপস সহ টাকাপয়শা তালাক দিয়ে খেলা খতম।
অতিগোপন এই নিলামে সংগী বেছে নেয়ার সুযোগ আছে,
সুন্দরীদের দাম বেশী, সবচেয়ে বেশী চাহিদা হালাল মাল অর্থাৎ মুসলিম মেয়েদের। (এতে পাপ কম হয় মনে হয়)
যেখানে অজস্র কাঁচা টাকার ছড়াছড়ি সেখানে অবধারিত ভাবে দুইনম্বরিরা ঢুকবেই। সেটাই হয়েছে।
কিছু চতুর বাটপার ভুয়া নারী নিলাম এপ (শর্টটাইম বিবাহ টুর) ভুয়া এপ খুলে ভারতীয় অনান্য নারীদের সাথে মুসলিম সাংবাদিক মহিলা পাইলট, শিক্ষক চলচিত্র অভিনেত্রীদের ছবি দিয়ে নিলামে তুলে ধনাড্য আমিরাতি কাতারি সৌদি কুয়েতিদের বিপুল বুকিং মানি অর্থ হাতিয়ে নেয়। এরা প্রতারিত হয়েও পুলিশে রিপোর্ট করতে পারে নি লজ্জায়, পরে কাতারে আলজারিরার সাংবাদিক জানতে পেরে সেইসব ছবির মানুষকে জানায় এবং Islamophobia হিসেবে ইংগিত করে।
বিবিসি আরেক ধাপ এগিয়ে সম্পুর্ন ব্যাপারটিকে সম্পুর্ন ভাবে মুসলিম বিদ্বেষ বলে ভারতীয় কট্টরপন্থি বিজেপি হিন্দুত্ববাদিদের চক্রান্ত বলে সব দোষ চাপিয়ে দেয়।
কিন্তু ভারতীয় জুয়াড়ী ও দেহ ব্যাবসায়ী গ্যাং সিন্ডিকেট ও আরব নারী ক্রেতাদের বিষয়টি সম্পুর্ন ভাবে চেপে যায়।
কিন্তু বিবিসি ৪-৫ বছর আগে এই (শর্টটাইম বিবাহ টুর) ব্যাপারটি ভাল ভাবেই তুলে ধরেছিল। কিন্তু এখন সময় বদলাইছে না!
বিবিসির ২০১৭র একটি এনালগ খবর, তখন হয়তো আরবরা ডিজিটাল হয় নি, বা হলেও গোপন এপ জনপ্রীয় হয় নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:০৭