নিওকোভ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই
করোনার কথিত নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিওকোভ নিয়ে ভুয়া/অতিরঞ্জিত সংবাদে মিথ্যা আতঙ্ক শৃষ্টি করছে কিছু মিডিয়া।
একটি রিসার্চ পেপারে একটি চাইনিজ বাঁদুড়ের শরীরে করোনা জাতিয় একটি ভাইরাস পাওয়া গেছে বলা হচ্ছে যেটা মিউটেড হলে সম্ভাব্য বিপদ হতে পারে বলে বলেছিল কিছু চীনা বিজ্ঞানী।
তারা বলেছেন যদি এই ভাইরাস মিউটেশনের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশের ক্ষমতা পায় তবে এটা ভয়ংকর হতে পারে।
যদি!
যদি তো অনেক কিছুই হতে পারে। প্রানীদেহে কোটি কোটি ভাইরাস আছে। যদি? যদি? যদি? যদি ভাইরাস মিউটেশনের মাধ্যমে ...?
কিন্তু বাস্ততা হচ্ছে বায়োলজিক্যাল ভিন্নতার কারনে এসবের ভাইরাসের পক্ষে এখন মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা নাই।
এধরনের বহু ভাইরাস প্রানীজগতে আছে যেটা মানুষে চলে আসলে বিপদ হতে পারে। এখনি পৃথিবীতে এরকম ১৫০ টা রোগ আছে যাতে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মারা যায়।
বাংলাদেশেই শুধু ক্যানসারে দেড় লাখের মত লোক মারা যায়, প্রতি বছর। প্রতি বছর ক্যান্সার ও হৃদরোগে মৃত্যু ৩ লক্ষের উপরে
আর এখন পর্যন্ত ২ বছরে করোনা মৃত্যু মাত্র ২৮,৩২৯
বাদুড় ভাইরাস নিওকোভ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
এটা সুদূরের একটা সম্ভাবনা। যা ঘটতে পারে কেবল মিউটেশন হয়ে এটা মানব শরীরে প্রবেশের ক্ষমতা পেলে।
এটাকে নিওকোভ চলে এসেছে বলে আতংক ছড়ানোর কোন অর্থ নাই।
বরং সবাই ভিড় এড়িয়ে চলুন, ভিড় এড়াতে না পারলে মাস্ক পরুন। হাত জীবাণুমুক্ত রাখুন। হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে না পারলে হাত যাতে চোখে নাকে না যায় সেই চেষ্টা করুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আর অবস্যই টিকা নিন,
আর অশিক্ষিত মিডিয়াগুলি ফলো না করে সঠিক ভেরিফাইড সোর্সের মাধ্যমে যাচাই করুন।
কোন দেশের একটি রিসার্চ পেপারের খন্ডিত অংশ নিয়ে মিডিয়াতে এসব অবৈজ্ঞানিক হাবিজাবি সংবাদে বিশ্বাস করবেন না।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসলে মার্কিন মহামারি নিয়ন্ত্রন সংস্থা সিডিসি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই বক্তব্য দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬