বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে না।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি বাংলাদেশের জনসংখা। শ্রীলঙ্কার প্রায় ৯ গুন।
বঙ্গবন্ধু অবস্য প্রায়ই বলতেন জনগনই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, তখন সেটা ছিল রাজনৈতিক বক্তব্য, তখন ছিল বেশী জনসংখা মানেই বেশী ক্ষুধা বেশী দারিদ্র।
বর্তমানে সময় বদলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিশাল জনসংখা মানেই বিশাল সম্পদ। সেটা তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা।
বিপুল বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদের হুশিয়ারি উপেক্ষা করে বিপুল ব্যায়ে অতি উচ্চমুল্য দিয়ে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছেন।
অতি সামান্য ব্যাতিক্রম বাদে প্রত্যেক বাড়ীতে বিদ্যুত, প্রত্যেক বাড়ীতে ফোন প্রত্যেক বাড়ীতে ইন্টারনেট, রাস্তা ঘাট সেতু হয়েছে, এখন বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ১০-১২ ঘন্টার ভেতর ঢাকা পৌছানো যাচ্ছে।
সবাই কিছু না কিছু করছে। মৎস উৎপাদনে পৃথিবীতে ২য়, ছাগল গরু মুরগী, দুধ ডিম, শাক সবজি উৎপাদনেও ভাল অবস্থানে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ প্রাপ্তির কারনে উদ্যক্তা, কৃষক, মাছমুরগী চাষিদের উৎপাদন ৫০গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিদেশী রেমিটেন্সের কথা বাদ, এখন অনেকে ঘরে বসেই রেমিটেন্স আনছে।
ফ্রিল্যান্সিংএ বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ভেতর ২য়, ভারতের পরেই ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট (ওআইআই) এর এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে অনলাইন শ্রমিক সরবরাহে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার এর অংশ বিশ্বের ১৬ শতাংশ।
এছাড়া বাণিজ্যবিষয়ক পত্রিকা ফোর্বস এর তথ্যমতে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়ে এগিয়ে থাকা শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ফ্রিল্যান্সিং মোট আয়ে বাংলাদেশ এর অবস্থান অষ্টম এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ।
বিশ্বে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে আউটসোর্সিংয়ে। বাংলাদেশে এই খাতে আয় ১ বিলিয়ন হলেও, সম্ভাবনা আছে ৫ বিলিয়ন ডলারের।
এছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে একক অনলাইনে ভিডিও কন্টেন্ট, জামা কাপড় ও বিভিন্ন বেচাকেনা ও এটা সেটা করেও উপার্যন চলছে।
এক্সপোর্ট বড় মাত্রায় কমে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব একটা ধাক্কা খাবে না।
এর কারন দেশে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে একটি বিশাল সংখক সক্ষম ক্রেতা ভোক্তা।
বাংলাদেশের দেসজ উৎপাদনের শিংহভাগই ক্রেতাই আভ্যন্তরিন, শৃলংকার মত এক্সপোর্ট নির্ভর জিডিপি নয়। বিশাল সংখক ভোক্তা, ভোক্তার সক্ষমতাও অনেক বেড়েছে। ইস্পাত শিল্প, সিমেন্ট, কাঁচ, মাছ গরু মুরগী .. সব ক্রেতাই আভ্যন্তরিন। চা রপ্তানির তুলনায় দেশেই বেশী বিক্রি হয়। ধিরে ধিরে দেশে তৈরি হয়েছে কোটি কোটি সক্ষম ক্রেতা। বড় শিল্প বাদেই তৃনমুলে উৎপাদন ও সেবার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। ফুটপাথ ভিত্তিক অর্থনীতিও একটা বিশাল ক্ষেত্র।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প শ্রীলঙ্কার মত বিদেশী পর্যটক নির্ভর নয়।
পর্যটন শিল্প ৯৯% দেশি পর্যটক নির্ভর। লাখ লাখ দেশী টুরিষ্ট, বিদেশে টুরিষ্ট দরকার পরে না। দেশী পর্যটকদের পকেটে বিদেশী পর্যটকদের চেয়েও বেশী টাকা। হোটেল রিসোর্ট ভাড়া উন্নতদেশের সমপর্যায়ে বা তারচেয়ে বেশী ভাড়া, কোন হোটেল রিসোর্ট খালি থাকে না। ৩০ টাকার নাস্তা ৭০০ টাকায় বিক্রি এর পরেও ভিড়ে উপচে পড়ে।
ঢাকার ও পুরোনো ঢাকার রেষ্টুরেন্টগুলোও পর্যন্টন স্পট হয়ে উঠছে, এখন মফস্বলেও দেখা যাচ্ছে। শত অভাবেও কেউ বলছেনা বেশী মুল্যের কারনে কাষ্টোমার পাচ্ছে না।
কারন আমাদের আছে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ১০ গুন বেশী সক্ষম ক্রেতা ভোক্তা।
বাংলাদেশের দেসজ উৎপাদনের (জিডিপির) শিংহভাগই ক্রেতাই আভ্যন্তরিন,
শৃলংকার মত এক্সপোর্ট নির্ভর জিডিপি নয়। বিশাল বিশাল ইস্পাত শিল্প, বড় বড় সিমেন্ট শিল্প, কাঁচ শিল্প, মাছ গরু মুরগী .. সব ক্রেতাই আভ্যন্তরিন। দেশের বিপুল চা উৎপাদনের চা রপ্তানির তুলনায় দেশেই বেশী বিক্রি হয়।
তাই এক্সপোর্ট ও রেমিটেন্স বড় মাত্রায় কমে গেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব একটা ধাক্কা খাবে না।
সরকারের আয় কিছু কমবে।
সরকার একটু তৎপর হলে সেটা কমবে না। ট্যাক্স ও ভ্যাট ব্যাবস্থা সম্পুর্নভাবে মেকানাইজড করা হলে এসব খাতে বড় অর্থ ঘুষখোরদের হাতে না যেয়ে সবটাই সরকারের হাতে আসবে।
বৈদেশিক ঋণের কারনেও বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমান ১৩১.১৪ বিলিয়ন, যা ২০২০ সালের জিডিপির মাত্র ৩৪.৮১%; দক্ষিন এশিয়ার মাঝে সবচেয়ে ভাল।
মোট বৈদেশিক ঋণ জিডিপির অনুপাতে
Kuwait 17.78%
Bangladesh 34.81% দেবপ্রীয়রা অবস্য বলছে আভ্যন্তরিন ঋন সহ ৪০%
Malaysia 56.32%
Pakistan 77.00%
Sri Lanka 82.99% বর্তমানে ১১২%
Venezuela 214.45%
সুত্র - World Population Review ও IMF:
[
sb]রেমিটেন্স
বিএনপি আমল
2002–2003 - US$ 3,061.97 M
2003–2004 - US$ 3,371.97 M
2004–2005 - US$ 3,848.29 M
2005–2006 - US$ 4,802.41 M
রেমিটেন্স বর্তমান আমল
2016–2017- US$ 12,769.45 M
2017–2018- US$ 14,981.69 M
2018–2019- US$ 16,419.63 M 5.73%
2019–2020 -US$ 18,205.01 M
2020-2021 - $ 22 billion
সুত্র উইকিপিডিয়া।
বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মত হবে, এমনটা হবেই বলে যাচ্ছেন নিজ দেশকে উগান্ডা বলা বিপুল সংখক মানুষ।
এমন বড় সংখার উন্নয়ন অনিচ্ছুক, বিজ্ঞান অনিচ্ছুক জনগোষ্ঠি যে দেশের নাগরিক সেই দেশের সর্বনাশ ঠেকানো আসলেই মুশকিল।
নিজের ভালোতো পাগলেও চায়। দেশটা কার ভাই? উগান্ডা বাসিদের? দেশটাতো আমার, আপনার সবার।
উগান্ডা সরকারের না। তাইলে শেখ হাসিনার উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আপনি নিজের দেশের নিজের পরিবারের সর্বনাশের স্বপ্নে উল্লাস করছেন। কী ভাই?
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রাজা পাকশের শ্রীলঙ্কার দিকে যাবেনা।
কারণ শেখ হাসিনা রাজাও না পাকশে না।
পাকশে ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতিবাজ ছিলো এবং তার পরিবার ক্ষমতার অংশ ছিলো। শেখ হাসিনার পরিবার দুর্নীতিতে অংশ নেয়নি।