somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ডা. মোহাম্মদ মোমিনুজ্জামান খান
আমি, নিতান্তই একজন সাধারণ বাংলাদেশি। এই ব্লগে আমি আমার গল্প বলি — আমার কথা, আমার ভাবনা, একজন সাধারণ মানুষের, যে তার আয়নায় অসাধারণ স্বপ্ন দেখে। চলুন, একসঙ্গে খুঁজে দেখি আমার আয়নার সেই প্রতিচ্ছবি, যেখানে আমি শুধু আমি নই, আমি আমার বাংলাদেশ।

বিএনপির ৩১ দফা: পরিধি, ব্যাপকতা, মূল্যায়ন, বাস্তবতা ও বাস্তবায়নের সম্ভাবনা

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই একটি যুগান্তকারী রাজনৈতিক রূপরেখা হিসেবে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই দফাগুলো শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি নয়, বরং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত কাঠামোর একটি সুসংহত সংস্কার পরিকল্পনা। এই কর্মসূচি গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো বিস্তৃত বিষয়কে সম্বোধন করে। এই লেখায় বিএনপির ৩১ দফার পরিধি, ব্যাপকতা, এর মূল্যায়ন, বাস্তবতা এবং বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা হবে। সেই সঙ্গে এর সার্বিক গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা হবে।

বিএনপির ৩১ দফা: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রে সংস্কারের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা। এই দফাগুলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত হয়েছে এবং দলটির ঐতিহাসিক ১৯ দফা, ভিশন ২০৩০ এবং ২৭ দফার পরিমার্জিত ও সম্প্রসারিত রূপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো:
• গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
• সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ।
• পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন।
• নারী, যুবক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।
• প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ব্যবহারে আধুনিক বাংলাদেশ গঠন।

৩১ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
• সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন: গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন ও বিতর্কিত সাংবিধানিক সংশোধনী পর্যালোচনা।
• নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।
• অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন: ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমানোর জন্য সুষম উন্নয়ন।
• জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার।
• তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন: মহাকাশ গবেষণা ও আণবিক শক্তি কমিশনের প্রসার।
• নারী ক্ষমতায়ন: জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি।
• কৃষি উন্নয়ন: কৃষকদের জন্য ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও শস্য বিমা চালু।

৩১ দফার পরিধি
বিএনপির ৩১ দফার পরিধি বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এর পরিধি নিম্নরূপ:
জাতীয় পরিধি:
• গণতন্ত্র ও সুশাসন: স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, এবং প্রশাসনিক সংস্কার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে।
• অর্থনৈতিক উন্নয়ন: কৃষি, শিল্প, এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করবে।
• সামাজিক সমতা: নারী, যুবক, এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন।
আন্তর্জাতিক পরিধি:
• জলবায়ু কূটনীতি: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।
• বৈদেশিক সম্পর্ক: জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের উপর জোর দেওয়া বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
• প্রযুক্তিগত অগ্রগতি: তথ্যপ্রযুক্তি ও মহাকাশ গবেষণার উন্নয়ন বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একটি প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

৩১ দফার ব্যাপকতা
বিএনপির ৩১ দফা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রায় সব দিককে সম্বোধন করে। এর ব্যাপকতা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে প্রকাশ পায়:
• রাজনৈতিক সংস্কার: সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
• প্রশাসনিক সংস্কার: প্রশাসনের দলীয়করণ ও পৃষ্ঠপোষকতার সংস্কৃতি দূর করে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গঠন।
• অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার: অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির সুফল সুষম বণ্টন এবং বৈষম্য হ্রাস।
• সামাজিক অন্তর্ভুক্তি: নারী, যুবক, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
• পরিবেশ ও প্রযুক্তি: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, নদী দূষণ প্রতিরোধ, এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও মহাকাশ গবেষণার প্রসার।
• মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গুম-খুনের অবসান, এবং মানবাধিকার কমিশনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।
এই দফাগুলো বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক বৈষম্য, এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে একটি ব্যাপক ও দূরদর্শী রূপরেখা হিসেবে বিবেচিত। বিএনপি দাবি করে যে, এই দফাগুলো মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি বহন করে।

৩১ দফার মূল্যায়ন
বিএনপির ৩১ দফা দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে, তবে এর সমালোচনাও কম নয়। নিম্নে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো বিশ্লেষণ করা হলো:
ইতিবাচক দিক
• অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি: ৩১ দফা বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির মতামতের সমন্বয়ে প্রণীত, যা জাতীয় ঐক্য গঠনে সহায়ক।
• বিস্তৃত কাভারেজ: এই কর্মসূচি রাজনৈতিক সংস্কার থেকে শুরু করে পরিবেশ সুরক্ষা পর্যন্ত বিস্তৃত ক্ষেত্র সম্বোধন করে, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।
• জনগণের সম্পৃক্ততা: বিএনপি এই দফাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য লিফলেট, সামাজিক মাধ্যম, এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালাচ্ছে।
• বাস্তবমুখী প্রতিশ্রুতি: শিক্ষিত বেকারদের ভাতা, নারী ও কৃষকদের জন্য বিশেষ কার্ড, এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নের মতো প্রতিশ্রুতি জনগণের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ।
• মধ্যপন্থী রাজনীতি: ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং "ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার" নীতির উপর জোর দেওয়া এই কর্মসূচিকে বহুত্ববাদী ও মধ্যপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে।
নেতিবাচক দিক ও সমালোচনা
• বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ: রাজনৈতিক সহিংসতা, প্রশাসনের দলীয়করণ, এবং জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সচেতনতার অভাব বাস্তবায়নের পথে বড় চ্যালেঞ্জ।
• অস্পষ্টতা: কিছু দফা, যেমন অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশনের কার্যপ্রণালী বা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা, অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
• রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা: বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতার অভাব এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরোধিতা এই দফাগুলোর বাস্তবায়নকে জটিল করতে পারে।
• জনগণের কাছে প্রচারের সীমাবদ্ধতা: পতিত ফ্যাসিস্ট আমলে বাক্‌স্বাধীনতার অভাবের কারণে এই দফাগুলো সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছায়নি।

বাস্তবতা বিশ্লেষণ
বিএনপির ৩১ দফার বাস্তবতা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে। নিম্নে এর বাস্তবতা বিশ্লেষণ করা হলো:
• রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: বাংলাদেশে গত দশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনী বিতর্ক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পরও রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং নির্বাচন ব্যবস্থার দুর্বলতা ৩১ দফার প্রাসঙ্গিকতা বাড়িয়েছে। তবে, বিএনপির ক্ষমতায় আসা এবং এই দফাগুলো বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।
• অর্থনৈতিক বৈষম্য: বাংলাদেশের অর্থনীতি মধ্যম আয়ের দেশের দিকে অগ্রসর হলেও, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য, মুদ্রাস্ফীতি, এবং বেকারত্ব এখনো বড় সমস্যা। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে শীর্ষ ১০% জনগোষ্ঠী মোট আয়ের ৩৫% নিয়ন্ত্রণ করে, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে। অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন এবং কৃষি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এই সমস্যাগুলোর সমাধানে কার্যকর হতে পারে, তবে এর জন্য বিপুল অর্থায়ন ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
• সামাজিক কাঠামো: নারী ক্ষমতায়ন, যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন, এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে, সামাজিক রক্ষণশীলতা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতা বাস্তবায়নের পথে বাধা হতে পারে।
• পরিবেশগত ঝুঁকি: বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপ্রবণ দেশগুলোর একটি। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় হুমকি। প্রতি বছর গড়ে ১০টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে, যা জিডিপির ১-২% ক্ষতি করে। বন্যা, খরা, এবং জলাশয় দূষণ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি সময়োপযোগী। তবে, আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং নদী খননের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন একটি চ্যালেঞ্জ।
• তথ্যপ্রযুক্তি খাত: বাংলাদেশের আইটি খাত বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করে, তবে এটি এখনো বিশ্ব বাজারের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও কৌশল
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা, জনগণের সমর্থন, এবং সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক কাঠামো অপরিহার্য। নিম্নে বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও কৌশল আলোচনা করা হলো:
সম্ভাবনা
• জনগণের সমর্থন: বিএনপি সারা দেশে ৩১ দফা নিয়ে প্রচারাভিযান চালাচ্ছে, যা জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াচ্ছে।
• আন্তর্জাতিক সমর্থন: এই দফাগুলোর মধ্যপন্থী ও বহুত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আকর্ষণ করতে পারে।
• তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ: যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি তরুণদের এই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারে।
চ্যালেঞ্জ
• রাজনৈতিক সহিংসতা: বিরোধী দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ এবং সহিংসতা বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
• অর্থায়নের অভাব: জলবায়ু মোকাবিলা, তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন, এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন, যা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় চ্যালেঞ্জিং।
• প্রশাসনিক দুর্বলতা: প্রশাসনের দলীয়করণ ও দুর্নীতি সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
বাস্তবায়নের জন্য সাজেশন
• প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণ ও দলীয় কর্মীদের মধ্যে ৩১ দফার লক্ষ্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন।
• জাতীয় ঐক্য গঠন: অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়ায় সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
• অর্থায়নের পরিকল্পনা: আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহ।
• প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি: তথ্যপ্রযুক্তি ও জলবায়ু মোকাবিলার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ ও দেশীয় জনশক্তির প্রশিক্ষণ।
• স্বচ্ছ বাস্তবায়ন কাঠামো: প্রতিটি দফার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও সময়সীমা নির্ধারণ, এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্বাধীন তদারকি কমিটি গঠন।

বিএনপির ৩১ দফা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামত ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি দূরদর্শী ও ব্যাপক রূপরেখা। এর ব্যাপকতা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রকে সম্বোধন করে, যা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ, এবং টেকসই রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সম্ভাবনা রাখে। তবে, এর বাস্তবায়ন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, জনগণের সমর্থন, এবং প্রশাসনিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে। সঠিক পরিকল্পনা, অর্থায়ন, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই দফাগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বিএনপির এই রূপরেখা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যদি এটি আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়িত হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৯
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×