অনেক কথা বলেছি, বলে যাচ্ছি। অনেক চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি, সত্যকে ধারণ করতে। অন্তত প্রকাশ্যে! লেখায় মননে আচরণে। অন্তত যতটুকু দেখা যায়। পাঠককে শ্রোতাকে সহযাত্রীকে সহকর্মীকে বুঝাবার চেষ্টা করেছি যে, অনেকের মধ্যে আমি উত্তম। আমার হাসি শুধুই আনন্দের কথা বলে। বলতে চেষ্টা করেছি, আনন্দই সত্য।
বলতে চেয়েছি, বিষাদ অভাব বেদনা অপ্রাপ্তি... এসবই অসত্য অস্থায়ি অনুভূতি। এসব অবিচার বৈষম্য পুঁজিবাদ বিচারহীনতা আর দুঃশাসনের ফল। সবই ক্ষণকালের। কিন্তু বাস্তবতা কঠিন সত্যকে তুলে ধরে - অনেকটা রূঢ়ভাবেই। এত সত্য যে মানুষ একে মোকাবেলা করতে ভয় পায়।
মুত্যুর মতো 'অনিবার্য সত্য' প্রতিটি ললাটে অংকিত থাকলেও, মানুষ এ থেকে প্রেরণা নেয় না। অনেক ছল-ছাতুরির আশ্রয় নেয়। ফলে সত্য থাকে মেঘে-ঢাকা-চাঁদের মতো। তাই আনন্দকে পুরো সত্য ধরা যায় না।
মানুষের বাহ্যিক দিকটি চাতুর্য্যময়তা আর ছলনায় ভড়া। মুখমণ্ডল মনের অভ্যন্তরকে কদাচিৎ প্রকাশ করে।
উত্তম সদাচরণ সদ্ভাব সহমর্মিতা সবসময় ধরে রাখা যায় না। সবসময় সত্য হয় না। কিছু আসে অন্তর থেকে, বাকিটুকু সামাজিক। মুখমণ্ডলগুলো জীবন্ত চামড়ার মুখোশ, যাতে ঢেকে থাকে ঈর্ষা পরশ্রীকাতরতা কপটতা আর নিজেকে জয়ী রাখার স্বার্থপর চেষ্টা।
মুখোশই সত্য!