somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিয়া হত্যার বিচারঃ হয়েছিল নাকি হয় নাই ??

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩০ শে মে ১৯৮১ সালে, দলীয় সফরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অবস্থানকালীন জিয়া সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের হাতে নিহত হয়। জিয়া হত্যার বিচার আজও হয় নাই, জিয়া হত্যার বিচার বলতে জিয়ার সমর্থকেরা, যে বিচারের কথা বলে , আসলে সে বিচার হয়েছিলো সামরিক অভ্যুথানের জন্য, জিয়া হত্যার জন্য নয়।

১)
" বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহীম।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর যে সামরিক আদালত গঠন করা হয়েছিল, সেখানে শুধু অভ্যুত্থানের বিচার হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনের ৩১ ধারায় সে বিচার হয়েছিল। সেখানে বিদ্রোহের বিচার হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হয়নি।

মি: ইব্রাহিম বলেন, "আমি সাক্ষী দিচ্ছি যে তাঁরা ন্যায় বিচার পায় নাই। ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে যতদিন কোর্ট মার্শাল চলা উচিত ছিল, সেটা চলতে দেয়া হয় নাই।যেসব সাক্ষী-প্রমাণ হাজির করার জন্য আমরা চেয়েছি, সেগুলো হাজির করতে আমাদের দেওয়া হয় নাই।"

যদি সব সাক্ষী-প্রমাণ হাজির করা সম্ভব হতো তাহলে আরো অনেক ব্যক্তি খালাস পেতো বলে মনে করেন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। "

সুত্রঃ জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক আদালতে সেনা অফিসাররা ন্যায় বিচার পাননি: অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহীম

২)
" ১৯৮১ সালের ২৯ ও ৩০ মে’র মধ্যবর্তী রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়া হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ওই বছরের ৪ জুলাই যে কোর্ট মার্শালটি গঠিত হয় সেখানে মূলত : সেনা বিদ্রোহের বিচার হয়েছে। এই বিচারে মোট ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল, তিন-চারজনকে চাকরিচ্যুত এবং বাকীদের খালাস দেওয়া হয়।

এছাড়া একই অভিযোগে গঠিত অন্য একটি কোর্ট মার্শালে আরেকজন সেনা অফিসারকে ফাঁসি দেওয়া হয়। দণ্ডিত অফিসারদের মধ্যে কয়েকজন জুনিয়র অফিসার ছাড়া সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, যাদের অনেকেই ছিলেন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। "

লক্ষ্য করুন , উক্ত বিচারে জিয়া হত্যাকান্ডের জন্য কোন অভিযোগই আনা হয় নাই >>>
" জিয়া হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যে কোর্ট মার্শাল গঠিত হয় তাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনটি: ১. বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহ ঘটানো, ২. বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহে যোগদান করা, ৩. বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহের উস্কানি দেওয়া।" ,

" ওই কোর্ট মার্শালের আসামীপক্ষের ডিফেন্ডিং অফিসার তৎকালীন কর্নেল আয়েনউদ্দিন (পরবর্তীতে মেজর জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬ সালে চাকরিচ্যুত) এবং ওই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করা সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিকের মতে বিচারটি ছিল নীল নকশা বাস্তবায়নের বিচার। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা নিধন।.....

......ওই কোর্ট মার্শালে মোট ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৫ জনই ছিলেন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে তিন জন ছিলেন বীরবিক্রম এবং দুই জন বীরপ্রতীক।

.... ৭ সদস্যের ওই কোর্টের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুর রহমান ছিলেন পাকিস্তান ফেরত একজন সেনা কর্মকর্তা। ...তাছাড়া জজ অ্যাডভোকেট এবং তিনজন প্রসিকিউটর বা সরকার পক্ষের কৌসুলীর সবাই ছিলেন পাকিস্তান ফেরত কর্মকর্তা। আয়েনউদ্দিন অভিযোগ করেন, কর্তৃপক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে এমন একজনকে (মতিউর রহমানকে) বেছে নিয়েছিলেন যার কাছ থেকে তারা মন মত ব্যবহার পাবে। "

সুত্রঃ জিয়া হত্যার নয়, সেনা বিদ্রোহের বিচার হয়, দণ্ডিতদের বেশিরভাগই মুক্তিযোদ্ধা

৩)
" ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া দুই দফায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আরও একবার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে একমাসের বেশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এটি সত্যিই রহস্যজনক যে জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করলেন না। সে কারণে জনগণের মনেও এটি প্রশ্ন যে, জিয়া হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে বলেই কি তিনি বিচার করেননি? ",

জিয়া হত্যার বিচার জিয়ার বউ খালেদা জিয়া, ছেলে তারেক জিয়া সহ বিএনপির কেউই চায় নাই , কেন???

সূত্রঃ দুই দফা ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক: তথ্যমন্ত্রী

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪০
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইরান ইসরাইলের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ আর আমাদের সুন্নী-শিয়া মুমিন, অ-মুমিন কড়চা।

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

(ছবি: © আল জাযীরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক)

শ্রদ্ধেয় ব্লগার সামিউল ইসলাম বাবু'র স্বাগতম ইরান পোষ্টটিতে কয়েকটি কমেন্ট দেখে এই পোষ্ট টি লিখতে বাধ্য হলাম।
আমি গরীব মানুষ, লেখতে পারিনা। তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×